কুমিল্লা ঈশ্বর পাঠশালার শতবর্ষ উদযাপন

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ ঐতিহত্যবাহী কুমিল্লা ঈশ্বর পাঠশাল উচ্চ বিদ্যালয়ে বর্ণাঢ্য আয়োজনে শতবর্ষ উদযাপন হয়েছে। শনিবার সকালে জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও শোভাযাত্রার মাধ্যমে উক্ত অনুষ্ঠানের আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কুমিল্লা সদর আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার।

শতবর্ষ উৎসব উদযাপন কমিটির আহবায়ক বিদ্যালয়ের সভাপতির বাবু বিষ্ণু পদ সিন্হা’র সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ডের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান প্রফেসর আবদুস ছালাম, কুমিল্লা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল (অব:) জনাব আবু তাহের, কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ প্রফেসর আমির আলী, কুমিল্লা মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অঞ্চলের পরিচালক প্রফেসর হারাণ চন্দ্র দেবনাথ, কুমিল্লা জেলা শিক্ষা অফিসার জনাব মো: আবদুল মজিদ, স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বাবু শুধাংশু কুমার মজুমদার, টি.টি কলেজের অধ্যাপক শিশির কুমার ভদ্র।

আলোচনা সভায় শুরুতে বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা দানবীর মহেশ চন্দ্র ভট্টাযার্চ্য ও মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহন কারী উক্ত বিদ্যালয়ের ১৪ জন শহীদ শিক্ষক ও শিক্ষার্থী জন্য এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে কুমিল্লা সদর আসনের সংসদ সদস্য আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার, স্কুলের অবকাঠামো নির্মাণ করার দায়িত্ব আমার আর পড়ালেখার ও শিক্ষার্থীদের মানুষ কারার দায়িত্ব শিক্ষকদের। খুব দ্রুত কুমিল্লা ঈশ^র পাঠাশালা বিদ্যালয়ের জন্য ৬ তলা বিশিষ্ট ভবন করা হবে।

তিনি আরো বলেন,আমাদের দেশে অনেক ভাল ছাত্র তৈরি করেছে কিন্তু ভাল মানুষ তৈরি করতে পারি নাই। যার জন্য জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর মতো মানুষকে আমরা হত্যা করেছি। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু স্বপ্ন দেখতেন বিশে^র সকল মানুষের মতো আমরাও মাথা উচু করে দাঁড়াবো। সেই বঙ্গবন্ধুকে আমারা তিন বছরের মাথায় হত্যা করেছি। তাই বলতে চাই দেশ প্রেমিক সৃষ্টি করতে হবে। একজন খাটি দেশ প্রেমিক সৃষ্টি করতে পারলে তখনই শিক্ষকদের পরিশ্রম সার্থক হবে। আলোচনা সভায় প্রাক্তন শিক্ষকদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, ইন্দু কুমার সিংহ, হরিপদ সূত্র ধর, বিমল চক্রবর্ত্তী, অনিল কুমার বনিক,

অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বে বিকালে প্রাক্তণ শিক্ষক ও ছাত্ররা অনুভূতি প্রকাশ করেন। তারা বলেন, শতবর্ষে অনুষ্ঠানে এসে আমাদের খুব ভাল লেগেছে। অনেক অনেক পুরানো বন্ধুদের পেয়ে আমরা খুবই আনন্দিত। যারা উক্ত অনুষ্ঠান আয়োজন করেছন তাদেরকে অভিনন্দন জানান। এসময় প্রাক্তণ শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা বর্তমান ছাত্র ও অভিভাবকদের দিক নির্দেশনামূলক বক্তব্য প্রদান করেন। উক্ত অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনায় ছিলেন উক্ত বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক সঞ্জিত কুমার মজুমদার ও সৈয়দা হোসনে সুলতানা। সন্ধ্যায় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। উল্লেখ্য ১৯১৪ সালে দানবীর মহেশ চন্দ্র ভট্টাযার্চ্য এই কুমিল্লা ঈশ্বর পাঠশালা উচ্চ বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা করেন।

আরো পড়ুন