ইভটিজিংয়ে বাধা দেয়া ব্রাহ্মণপাড়ায় পিতাকে কুপিয়ে আহত করেছে সন্ত্রাসীরা

ব্রাহ্মণপাড়া প্রতিনিধিঃ ইভটিজিংয়ে বাধা দেয়ার জের ধরে কুমিল্লা জেলার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার চান্দলা ধলগ্রাম এলাকায় এক পিতাকে কুপিয়ে মারাত্নকভাবে আহত করেছে সন্ত্রাসীরা। ওই পিতা বর্তমানে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে।

এব্যাপারে আহতের পিতা বাদী হয়ে ৫জন নামীয় ও অজ্ঞাত ৬/৭ জনকে আসামী করে থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে। মামলার এজাহার ও অন্যান্য সূত্রে জানা যায়, উপজেলার চান্দলা ধলগ্রাম এলাকার বিল্লাল হোসেনের ছেলে বোরহান উদ্দিন (১৬) এর সাথে গত ৫/৬ মাস পূর্বে এলাকার কিছু বখাটে যুবকের তার চাচাত বোনকে ইভটিজিং করার কারনে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এরপর থেকে ওই যুবকরা প্রায়ই বোরহানের সাথে গায়ে পড়ে ঝগড়া করার চেষ্টা করে আসছিল।

এরই জের ধরে গত ২ মে সকাল ১১টায় চান্দলা ধলগ্রাম আশ্রমের কাট বাগানের নিকট বোরহান পৌছামাত্র পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী বখাটে যুবকরা তাকে ধরে নিয়ে আশ্রম এর চিতাসাল মাঠে নেবার পর তাকে কিল-ঘুষি ও লাঠি দিয়ে পেটাতে থাকে। খবর পেয়ে বোরহানের বাবা ওই গ্রামের দুলাল মিয়ার ছেলে বিল্লাল হোসেন (৩৬) ও তার ছোট ভাই মো কাউছার (১৯) ঘটনাস্থলে পৌছে বোরহানকে রক্ষা করার চেষ্টা করে। এসময় চান্দলা মধ্যপাড়া গ্রামের কাউছার পারভেজের ছেলে মোঃ আকাশ (১৮) তার হাতে থাকা ধারালো দা দিয়ে বোরহানের পিতা বিল্লালকে মাথায় কোপ দিয়ে মারাত্নকভাবে আহত করে। আকাশ ও তার সহযোগীদের হামলায় বোরহানের চাচা কাউছারও এসময় আহত হয়। তাদের চিৎকারে আশেপাশের লোকজন ছুটে এলে হামলাকারীরা দৌড়ে পালিয়ে যায়। মারাত্নকভাবে আহত বিল্লালকে রক্তাক্ত অবস্থায় প্রথমে ব্রাহ্মনপাড়া সাস্থ্য কমপ্লেক্সে এরপর কুমিল্লা কুচাইতলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও অবস্থার অবনতি হলে ওইদিনই রাত ১০টায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

পারিবারিক সূত্র জানায় তার মাথায় ১২টি সেলাই করা হয় এবং মাথায় প্রচন্ড আঘাত পাবার কারনে সে স্মৃতিশক্তি হারিয়ে অচেতন অবস্থায় আছে। অন্যান্য আহতরা কুমিল্লার বিভিন্ন প্রাইভেট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এ ঘটনায় গত ৩ মে আহত বিল্লালের পিতা মোঃ ছালাম মিয়া বাদী হয়ে চান্দলা মধ্যপাড়া গ্রামের আকাশকে প্রধান আসামী করে চান্দলা হুড়ার পাড় গ্রামের কুদ্দুসের ছেলে রুহুল আমিন (২২), মোঃ শাহজাহানের ছেলে মোঃ বাবু (২২), নান্নু মিয়ার ছেলে মো আক্তার হোসেন (২০), জামাল সরকারের ছেলে মোঃ ফারুক(২৪)সহ অজ্ঞাত ৬/৭ জনকে আসামী করে থানায় একটি মামলা দায়ের করে।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা থানার ওসি (তদন্ত) সামসউদ্দিন মোহাম্মদ ইলিয়াস ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আসামীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। খুব শিগ্রই তাদের গ্রেপ্তার করে বিচারের আওতায় আনা হবে।

আরো পড়ুন