কুবিতে ছাত্রলীগের দু’গ্রুপের সংঘর্ষ, আহত ১০

কুবি প্রতিনিধিঃ কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে শাখা ছাত্রলীগ আয়োজিত বিজয় দিবস ক্রিকেট টুর্নামেন্টকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগের দু’গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। বৃহষ্পতিবার বিকেলে এ সংঘর্ষের ঘটনায় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকসহ দুই গ্রুপের কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়েছেন বলে জানা যায়। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ক্যাম্পাসে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। তবে মারামারিতে অংশ নেওয়া ছাত্রলীগের নেতাদের অধিকাংশই ক্যাম্পাসের ১ম ও ২য় বর্ষের শিক্ষার্থী ও শাখা ছাত্রলীগের কমিটিতে আছেন। ছাত্রলীগের প্রকৃত রাজনীতিতে বিচরণ না করেই দলবাজির কারণে তাদেরকে কমিটিতে স্থান দেওয়ার ফলে এমন ঘটনা ঘটেছে বলে মনে করছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে শাখা ছাত্রলীগ আয়োজিত ক্রিকেট টুর্নামেন্টের প্রথম রাউন্ডে কাজী নজরুল ইসলাম হলের কলা ও সমাজবিজ্ঞান অনুষদ এবং শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত হলের বিজ্ঞান ও প্রকৌশল অনুষদের মধ্যে খেলা অনুষ্ঠিত হয়। খেলা চলাকালীন সময়ে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল ইসলাম মাজেদের সাথে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক স্বজন বরণ বিশ্বাসের মধ্যে বাকবিতন্ডতা হয়। এক পর্যায়ে মাজেদের অনুসারী ও উপ প্রচার সম্পাদক আহমেদ আলী বুখারী স্বজন বরণকে স্ট্যাম্প দিয়ে কোমরে আঘাত করে। এসময় ছাত্রলীগ কর্মী সিফাত ফয়েজ এগিয়ে এলে মাজেদের অনুসারী ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বায়েজিদ ইসলাম গল্প, উপ-আইন বিষয়ক সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম সৈকত, উপ-সমাজসেবা বিষয়ক সম্পাদক মুনতাসির আহমেদ হৃদয় স্বজনের অনুসারী সিফাত ফায়েজ ও আতিকুর রহমানকে স্ট্যাম্প দিয়ে মাথায় আঘাত করলে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন তারা। গুরুতর আহত হওয়ায় আতিকুর রহমানকে তাৎক্ষনিক কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়।

ঘটনাস্থলে উপস্থিত শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ইলিয়াস হোসেন সবুজ তাদের নিবৃত করার চেষ্টা করেন এবং তাদেরকে হলে ফিরে যাওয়ার জন্য বলেন। হলে ফেরার পথে শালবন বিহারের সামনে রেজাউল ইসলাম মাজেদ নিজ অনুসারী উপ প্রচার সম্পাদক আহমেদ আলী বুখারী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল হাসান শাওন, সজীব দেবনাথ ও বায়জিদ ইসলাম গল্প ও সাংগঠনিক সম্পাদক মেজবাহুল হক শান্তকে নিয়ে আবারও স্বজন বরণের উপর হামলা চালান। স্বজন বরণ বিশ্বাসকে মাটিতে ফেলে ক্রিকেটের ব্যাট দিয়ে বেধড়ক পিটিয়ে গুরুতর আহত করা হয়। গুরুতর আহত হওয়ায় স্বজনকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়।

এঘটনায় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল ইসলাম মাজেদ বলেন, ‘কোন গ্রুপ নয়। খেলার ভিতরে একটু হাতাহাতি হয়েছে। আমরা বসে সমাধান করব।’

শাখা ছাত্রলীগ সভাপতি ইলিয়াস হোসেন সবুজ বলেন, ‘আমি ঘটনার সময় উপস্থিত ছিলাম। আমি তাদের নিবৃত করার চেষ্টা করেছি। যারা মারামারি করেছে তাদের সকলকে আমি দেখেছি। কেন্দ্রের সাথে আলোচনা করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. কাজী মোহাম্মদ কামাল উদ্দিন বলেন, ‘খেলাকে কেন্দ্র করে ছাত্রদের মধ্যে মারামারি হয়েছে। আমি ঘটনার শুনেই এ্যাম্বুলেন্স পাঠিয়েছে। আমরা বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করছি।’

আরো পড়ুন