কুমিল্লার দাউদকান্দিতে সাঁকো দিয়ে উঠতে হয় সেতুতে

কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার জিংলাতলী ইউনিয়নের গলিয়ারচর-ছান্দ্রা সড়কের গলিয়ারচর খালের ওপর নির্মিত সেতুটি দীর্ঘদিন ধরে বেহাল। এই বেহাল সেতু দিয়ে মানুষ ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে।

সম্প্রতি সরেজমিন দেখা গেছে, চারপাড়া গ্রামে নির্মিত ওই সেতুর দৈর্ঘ্য ৪০ মিটার ও প্রস্থ পাঁচ মিটার। সেতুটির রেলিং ভেঙে গেছে। সেতুর দুই পাশের সংযোগ সড়কে মাটি নেই। সেতুটিতে ওঠার জন্য দুই পাশে বাঁশের সাঁকো স্থাপন করা হয়েছে। এই সাঁকো দিয়ে স্থানীয় লোকজন ঝুঁকি নিয়ে সেতুতে উঠছে। সেতুটি দিয়ে উপজেলার গলিয়ারচর, চররায়পুর, চরচারিপাড়া গ্রামসহ আশপাশের প্রায় তিন হাজার মানুষ চলাচল করে।

গলিয়ারচর গ্রামের কৃষক মহিউদ্দিন সরকার ও শহীদ উল্লাহ সরকার বলেন, গ্রামের দক্ষিণ পাশে দুটি ফসলের মাঠ রয়েছে। মাঠের কৃষিপণ্য বাড়িতে আনতে হলে সেতুটি ব্যবহার করতেই হয়। এ সেতু ছাড়া চলাচলের বিকল্প কোনো ব্যবস্থা নেই। সেতুর সংযোগ সড়কের মাটি সরে যাওয়ায় জনগণ সাঁকো পার হতে গিয়ে প্রায়ই দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে।

গলিয়ারচর গ্রামের দশম শ্রেণির ছাত্রী তানজিনা আক্তার বলে, ঝড়-বৃষ্টির সময় এই সাঁকো পার হতে খুবই ভয় লাগে। পা পিছলে কেউ সাঁকো থেকে পড়লে হাত-পা নিশ্চিত ভেঙে যাবে।

চরচারিপাড়া গ্রামের স্কুলশিক্ষক হাবিবুর রহমান বলেন, সড়কের ওই স্থানের সেতুটি পুনর্নির্মাণ করা হলে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সঙ্গে গ্রামবাসীর যাতায়াতের দূরত্ব কমে আসবে।

স্থানীয় জিংলাতলী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ২ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মো. আনোয়ার বলেন, শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও জনগণের যাতায়াত এবং গ্রামের দুটি মাঠের কৃষিপণ্য বাড়িতে আনতে এই খালে একটি নতুন সেতু নির্মাণ করা খুবই প্রয়োজন।

জিংলাতলী ইউপির চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেন বলেন, এ ইউনিয়নের চারপাড়া গ্রাম থেকে ছান্দ্রা হয়ে সড়কটি ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে মিলিত হয়েছে। যাতায়াতের জন্য এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ সড়ক। সেতুটির দুই পাশে মাটি না থাকায় জনগণ ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করছে। গ্রামের মাঠের কৃষিপণ্য বাড়িতে আনতে কষ্ট হচ্ছে। তাই এই খালের সেতুটি পুনর্নির্মাণের জন্য তিনি চেষ্টা চালাচ্ছেন।

স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) দাউদকান্দি উপজেলা কার্যালয়ের প্রকৌশলী আহসান আলী বলেন, সেতুটি প্রায় ৪২ বছর আগে নির্মাণ করা হয়েছিল। সরেজমিন গিয়ে খালের ওপর একটি সেতু নির্মাণে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সূত্রঃ প্রথম আলো

আরো পড়ুন