কুমিল্লার শিশু শ্রমিকের সংখ্যা জানে না কেউ; বেশির ভাগ শ্রমিক সংগঠন নিষ্ক্রিয়

আবু সুফিয়ান রাসেলঃ কুমিল্লায় কী পরিমান শিশু শ্রমিক আছে এ সংখ্যা জানা নেই কারো। শ্রম আইন ২০০৬ অনুযায়ী ১৪ বছরের কম বয়সীদের কাজ করানো হলে শিশু শ্রমের অন্তর্ভুক্ত হিসাবে গণ্য হবে। ভবন নির্মাণ, ব্রিক ফিল্ড, ইটভাঙা, লোহা কাটা, যানবাহন, ওয়ার্কসপ, ভিক্ষাবৃত্তিসহ নানা ঝুঁকিপূর্ণ কাজে দেখাযায়। পেশা ও স্বাস্থ্যগত বিষয় বিবেচনায় ৩৮টি কাজকে অতিঝুঁকি পূর্ণ ঘোষণা করেছে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর (ডিআইএফই)। এসব বিষয়ে শ্রমিকদের সংগঠন গুলোও কোন ভূমিকা নেই।

কুমিল্লা পরিসংখ্যান অধিদপ্তরের নিকট এ বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কোন তথ্য নেই। জেলা সমাজ সেবা অধিদপ্তরের সূত্র মতে, গরিব ও অসহায় শিশুদের জন্য শিশু পরিবার রয়েছে। তবে শিশু শ্রমিকদের কোন সংখ্যা সমাজ সেবা কার্যালয়ে নেই।

নগরীর দূর্গাপুর টু-স্টার ওয়ার্কসপে কাজ করে ১১ বছরের শিশু আ. কাদের। মা-বাবা নেই। দৈনিক ১২-১৫ ঘন্টা কাজ করে ১০০ টাকা পায় সে। তার বাড়ি চান্দিনার মহিসাইলের বামটিয়া গ্রামে। প ম শ্রেণি পড়ার পর আর পড়ার সুযোগ হয়নি।

শিশু শ্রম ও শ্রমিক সংগঠন বিষয়ে, আ লিক শ্রম দপ্তর উপ-পরিচালক মো. মনিরুজ্জামান জানান, কুমিল্লা অ লের ৫টি জেলায় ২২৩টি শ্রমিক সংগঠন রয়েছে। অধিকাংশ সংগঠন অনুমতি নেওয়ার পর নানা কারণে নিষ্কিৃয় হয়ে পরে। অনেকে রিটার্ন দাখিল করে না। আর শিশু শ্রমিকদের সংখ্যার নিয়ে কোন তথ্য দপ্তরে নেই। অনেক সংগঠন কমিটি নবায়ন করে না।

কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর আ লিক অফিস কুমিল্লা সহকারি মহাপরিদর্শক সৈয়দ নাজমুল রাশেদ জানান, কুমিল্লা জেলার শিশু শ্রমিক সংখ্যা, বয়স, অভিবাক ঠিকানা, কোন সেক্টরে কাজ করে, কোন এলাকায় কাজ করে এসকল তথ্য সংগ্রহের জন্য কুমিল্লার তিনটি বেসরকারি সংগঠনকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। সরকারে তাদের ধারাবাহিক ভাবে শেখ রাসেল পুনর্বাসন শিশু পরিবারে স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আশা করা যায় চলতি বছরেই এ পরিসংখ্যানের কাজ শেষ হবে।

আরো পড়ুন