কুমিল্লার সিভিল সার্জনসহ তিনজনকে হাইকোর্টে তলব

যুগান্তরঃ যমজ সন্তানের একটি বের করার পর আরেকটিকে ভেতরে রেখেই নারীর পেট সেলাই করে দেয়ার ঘটনায় সেই চিকিৎসক ও কুমিল্লার সিভিল সার্জনসহ তিনজনকে তলব করেছেন হাইকোর্ট।

আগামী ৭ নভেম্বর আদালতে হাজির হয়ে তাদের ওই ঘটনার বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে।

রোববার বিচারপতি সালমা মাসুদ চৌধুরী ও বিচারপতি একেএম জহিরুল হক সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের একটি ডিভিশন বেঞ্চ স্বপ্রণোদিত হয়ে এ আদেশ দেন।

যে তিনজনকে তলব করা হয়েছে, তারা হলেন- কুমিল্লার দাউদকান্দির গৌরীপুর লাইফ হসপিটাল অ্যান্ড ডিজিটাল ডায়াগনস্টিক সেন্টারের চিকিৎসক শেখ হোসনে আরা বেগম, কুমিল্লার সিভিল সার্জন এবং ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিক।

একটি জাতীয় পত্রিকায় এ সংক্রান্ত খবর আদালতের নজরে আনেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মাহফুজুর রহমান মিলন। পরে আদালত বিষয়টি আমলে নিয়ে স্বপ্রণোদিত হয়ে এ আদেশ দেন।

কুমিল্লার হোমনা উপজেলার দৌলতপুর গ্রামের আউয়াল হোসেনের স্ত্রী খাদিজা আক্তারের প্রসব ব্যথা উঠলে গত ১৮ সেপ্টেম্বর গৌরীপুরের লাইফ কেয়ার অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার নামে একটি ক্লিনিকে নিয়ে যাওয়া হয়।

ওই দিনই অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে তার একটি মেয়ে জন্ম হয়। তখন তার স্বজনরা ডাক্তারকে খাদিজার পেটে যমজ বাচ্চা আছে জানালে ডা. শেখ হোসনে আরা স্বজনদের জানান, খাদিজার পেটে বাচ্চা একটিই। অন্যটি টিউমার। ৪ দিন ভর্তি রাখার পর তাকে ক্লিনিক থেকে ছুটি দিয়ে দেয়া হয়।

ক্লিনিক থেকে খাদিজাকে বাসায় নিয়ে যাওয়া হয়। এর কয়েক দিন পর থেকে তার আবার সমস্যা দেখা দেয়। ১৫ দিন পর আবার পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর তারা জানতে পারেন খাদিজার পেটে আরেকটি বাচ্চা আছে।

এর পর ২২ অক্টোবর রাত ৮টায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ২৫ অক্টোবর সকালে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে তার পেট থেকে একটি মৃত ছেলে বের করা হয়।

আরো পড়ুন