কুমিল্লায় অটোরিক্সা চালক হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন : ঘাতক গ্রেফতার

ডেস্ক রিপোর্টঃ কুমিল্লায় ভাড়া বেশী চাওয়া নিয়ে বাকবিতন্ডার জের ধরেই অটোরিকশা চালক আজিম উদ্দিনকে হত্যা করা হয়েছে। নগরীর হাউজিং এস্টেটে দুর্বৃত্তের হাতে খুন হওয়ার ১৮ দিন পর জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) পুলিশের অভিযানে ওই ঘটনায় মাঈন উদ্দিন ওরফে টিনাকে গ্রেফতারের পর পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে সে এ তথ্য জানায়। পরে হত্যাকান্ডের দায় স্বীকার করে সে সোমবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে কুমিল্লার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ জালাল উদ্দিনের আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। ঘাতক মাঈন উদ্দিন নগরীর দক্ষিণ চর্থা থিরাপুকুরপাড় এলাকার আবুল মিয়ার ছেলে।

পুলিশ ও মামলার অভিযোগে জানা যায়, গত ১৯ জুন দিবাগত রাতে নগরীর হাউজিং এস্টেটের ১নং সেকশন এলাকায় দুর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে নিহত হন কুড়িগ্রাম জেলার কচাকাটা থানার খাসমহল গ্রামের সামছুল আলমের ছেলে অটোরিক্সা চালক আজিম উদ্দিন (৩২)। তাকে হত্যার পর মোবাইল ফোনটি নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় কোতয়ালী মডেল থানায় মামলা দায়ের করা হয়। পরে পুলিশ সুপারের নির্দেশে তদন্তে নামে ডিবি’র এলআইসি টিম। তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায়

গত ৭ জুলাই রাতে ডিবি’র ওসি মো. মাঈন উদ্দিন খানের নেতৃত্বে ডিবি’র এলআইসি টিমের প্রধান এসআই মোহা. ইকতিয়ার উদ্দিনসহ সঙ্গীয় টিম নগরীর চর্থা এলাকা থেকে হত্যাকান্ডে জড়িত সন্দেহে মাঈন উদ্দিনকে গ্রেফতার করা হয়। এসময় তার কাছ থেকে নিহত আজিমের লুণ্ঠিত মোবাইল ফোন ও হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত ছোরা উদ্ধার করা হয়। পরে পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত মাঈন উদ্দিন জানায়, ঘটনার দিন রাতে মাঈন উদ্দিন চট্টগ্রাম থেকে ট্রেনযোগে কুমিল্লা রেলওয়ে স্টেশন আসে। পরে সেখান থেকে আজিমের অটোরিকশাযোগে নগরীর হাউজিং এস্টেট এলাকায় যায়। সেখানে যাওয়ার পর রিক্শা ভাড়া নিয়ে উভয়ের মধ্যে বাকবিতন্ডা হয়। একপর্যায়ে মাঈন উদ্দিন তার ব্যাগে থাকা ছুরি দিয়ে উপর্যুপরি আঘাত করে আজিমকে হত্যা করে পালিয়ে যায়।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি’র এসআই মোহা. ইকতিয়ার উদ্দিন জানান, তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় আজিম হত্যাকান্ডের ১৮দিন পর মামলার রহস্য উদঘাটন এবং ঘাতক মাঈন উদ্দিনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সন্ধ্যায় সে হত্যাকান্ডের দায় স্বীকার করে কুমিল্লার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ জালাল উদ্দিনের আদালতে জবানবন্দী দিয়েছে।

আরো পড়ুন