কুমিল্লায় আবারো মাদ্রাসা শিক্ষার্থীকে বলাৎকার

কুমিল্লা নগরীতে মাদ্রাসার ১১ বছরের ছাত্রকে জোরপূর্বক বলাৎকারের অভিযোগে তানভীর আহাম্মেদ নামে এক মাদ্রাসা শিক্ষক কে গ্রেফতার করেছে কোতোয়ালি থানা পুলিশ। বৃহস্পতিবার (১৯ নভেম্বর) রাতে ওই শিক্ষককে গ্রেফতার করা হয়।

ভুক্তভোগী শিশুটি বলাৎকারের অভিযোগ নিয়ে ওই মাদ্রাসার বড় হুজুর ফারুক হোসাইনের কাছে বিচার জানালে, তিনি বিষয়টি বাবা-মা সহ কাউকে না জানিয়ে গোপন রাখতে বলেন। কাউকে জানালে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলিয়ে মারার ভয় দেখিয়ে চুপ থাকতে বলেন। তারপর বড় হুজুর ফারুক হোসাইন পরবর্তীতে শিশুটি কে কারেন্টের পেঁচানো তার (চাবুক) দিয়ে দুই পায়ের তালুতে আঘাত করে আহত করেন। বর্তমানে বড় হুজুর পালাতক রয়েছে।

কুমিল্লা নগরীর দক্ষিণ চর্থা এলাকায় অবস্থিত দারুল নাজাত হাফেজিয়া মাদ্রাসায় ঘটনাটি ঘটেছে। এই ঘটনায় শিশুর বাবা বাদী হয়ে শুক্রবার (২০ নভেম্বর) কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানায় বিকৃত যৌনাচারী ধর্ষক তানভীর আহম্মেদ (২৪) ও মাদ্রাসার বড় হুজুর ফারুক হোসাইনকে (৪৮) আসামি করে মামলা দায়ের করেন।

তানভীর আহাম্মেদ চাঁদপুর জেলার সদর উপজেলার মমিনপুর গ্রামের মো. ফারুক আহাম্মেদের ছেলে এবং ফারুক হোসাইন একই জেলার হাজীগঞ্জ উপজেলার পূর্ব হাটিলা গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে। তারা দু’জনই ওই মাদ্রাসার শিক্ষক।

শিশুটির বাবা মামলায় উল্লেখ করেন, ৫-৬ মাস আগে তার ১১ বছরের ছেলেকে ওই মাদ্রাসায় ভর্তি করান। ধর্ষক তানভীর আহাম্মেদ তার ছেলের কোরআন শরীফ ছবক দিতেন । গত ১৯ নভেম্বর স্ত্রীকে নিয়ে ওই মাদ্রাসায় ছেলেকে দেখতে এসে দেখেন, ছেলে ভয়ে কাতর এবং অসুস্থ। কারণ জানতে চাইলে শিশুটি তার বাবাকে সব জানায় এবং মাদ্রাসার শিক্ষক তানভীরের বলাৎকারের বিষয়টিও বলে।

কুমিল্লা কোতোয়ালি থানার ওসি আনোয়াল হক জানান, মাদ্রাসায় শিশু ছাত্রকে ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত হুজুরকে গ্রেফতার করা হয়েছে। শুক্রবার আদালতের মাধ্যমে তাকে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। অপর আসামি পালাতক রয়েছে।

আরো পড়ুন