কুমিল্লায় এখনও রহস্যেই ঘেরা যুবলীগ নেতা হত্যাকাণ্ড

ডেস্ক রিপোর্টঃ কুমিল্লায় যুবলীগ নেতা ও জেলা পরিষদ সদস্য খায়রুল আলম সাধনের রহস্যঘেরা হত্যাকাণ্ড নিয়ে জেলার সর্বত্রই আলোচনা চলছে।

চাঞ্চল্যকর এ হত্যাকাণ্ড নিয়ে রাজনৈতিক তথা সুশীল সমাজের আলোচনার ঝড় বইছে। কি কারণে সাধনকে হত্যা করা হতে পারে এমন চুলচেরা বিশ্লেষণ করছে এলাকাবাসী এবং তদন্তকারী সংস্থাগুলো।

আলোচিত এ হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটনে পুলিশের পাশাপাশি র‌্যাব, পিবিআইসহ অন্যান্য সংস্থাগুলোও চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

গতকাল শুক্রবার রাতে র‌্যাবের একটি দল নিহত সাধনের পরিবারের সাক্ষাৎকার গ্রহণ করেছে।

আজ শনিবার আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একাধিক দল ঘটনাস্থল পরিদর্শনসহ নিহতের স্বজনদের সঙ্গে কথা বলেছেন।

এদিকে এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী নাসিমা সুলতানা বাদী হয়ে গতকাল শুক্রবার রাতে অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে সদর দক্ষিণ থানায় মামলা করেছেন।

জানা যায়, গেল বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকার বনশ্রীর নিজ বাসা থেকে এলাকায় আসার পথে কুমিল্লা জেলা পরিষদের সদস্য ও মুরাদনগর উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক খায়রুল আলম সাধনকে অপহরণ করা হয়। পরে বিকেলে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সদর দক্ষিণ উপজেলার মোস্তফাপুর এলাকা থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

গতকাল শুক্রবার বিকেলে মুরাদনগর ডিআর উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে তার জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এতে বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মী তথা বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার লোকজন অংশগ্রহণ করেন। তার মরদেহ দেখতে হাজার হাজার জনতা ভিড় জমায়। নিহত সাধন মুরাদনগর উপজেলার ভুবনঘর গ্রামের মৃত সুলতান মাহমুদের ছেলে। স্ত্রী ও একমাত্র পুত্রসন্তানকে নিয়ে তিনি ঢাকায় ভাড়া বাসায় বসবাস করতেন।

পুলিশ বলছে, মুজিববর্ষ উদযাপনে সাংগঠনিক অনুষ্ঠানে খরচের জন্য খায়রুল আলম সাধন ঢাকার বাসা থেকে দুই লাখ টাকা সঙ্গে নিয়ে বের হয়েছিলেন। মরদেহ উদ্ধারের সময় তার টাকা ও মোবাইল সঙ্গে পাওয়া যায়নি।

এদিকে হত্যাকারীদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছেন মুরাদনগর আসনের সংসদ সদস্য ও এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি আলহাজ ইউসুফ আবদুল্লাহ হারুন এফসিএ।

তিনি বলেন, মুজিববর্ষ উদযাপনের জন্য ঢাকা থেকে নিজ এলাকা মুরাদনগরে ফেরার পথে সাধনকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে। এ হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার ও বিচার দাবি করছি।

কুমিল্লা জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হেলাল উদ্দিন বলেন, জেলা পরিষদ সদস্য সাধন মুরাদনগর এলাকা থেকে সদস্য নির্বাচিত হন। তার এই মৃত্যু কিছুতেই মেনে নেয়া যায় না। হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক বিচার দাবি করছি।

কুমিল্লা জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান ও মহানগর যুবলীগের আহ্বায়ক আবদুল্লাহ আল মাহমুদ সহিদ জানান, এটি একটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। যারা এ হত্যাকাণ্ডে জড়িত তাদেরকে অবিলম্বে গ্রেপ্তার করতে হবে।

এ বিষয়ে কুমিল্লার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবদুল্লাহ আল মামুন আরটিভি অনলাইনকে বলেন, খায়রুল আলম সাধন হত্যাকাণ্ডটি একটি স্পর্শকাতর ঘটনা। কি কারণে কোন জায়গায় তাকে খুন করা হয়েছে সে বিষয়ে অনুসন্ধান চলছে। ঘটনার ক্লু উদ্ধারের মাধ্যমে অপরাধীদেরকে শনাক্ত এবং আইনের আওতায় আনা হবে।

সূত্রঃ আরটিভি

আরো পড়ুন