কুমিল্লায় কোরবানির পশুরহাটে শেষ মুহূর্তে জমজমাট কেনা-বেচা

ডেস্ক রিপোর্টঃ কোরবানির পশুর হাটগুলো। শেষ মুহুর্তে উঠেছে বিশাল বিশাল আকৃতির রাজা, মেসি, বাদশা, কিলারসহ নানা নামের গরু। তবে দাম এখনো অনেক বেশি বলছেন ক্রেতারা। ৬০ হাজার থেকে ৯ লাখ টাকার গরুও রয়েছে। জেলার ১৭ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় স্থায়ী-অস্থায়ী হাটে ইতোমধ্যেই পুরুদমে চলছে পশু কেনা-বেচা। বিক্রেতারা বলছেন দাম বেশি নয় নায্যমূল্য পাচ্ছেন খামারিরা। পশুর হাট ইজারাদাররা বলছেন, শেষ সময়ে দাম কমার সম্ভবনা রয়েছে।

আগামী সোমবার পবিত্র ঈদ উল আজহা। এরই মধ্যে শেষ সময়ে কুমিল্লায় জমজমাট কোরবানির পশুর হাটগুলো। বাজারগুলোতে ক্রেতা বিক্রেতার সমাগম ঘটছে প্রচুর, বিক্রিও হচ্ছে ভালো। শেষ মুহুর্তে উঠেছে বিশাল বিশাল আকৃতির রাজা, মেসি, বাদশা, কিলারসহ নানা নামের গরু। তবে দাম এখনো অনেক বেশি চাচ্ছেন বিক্রেতারা। নেউরা বাজার, চৌয়ারা বাজার, চকবাজারসহ অনেক বাজারে বড় বড় গরু উঠেছে বেশি। বড় জাতের সাড়ে ৩ লাখ থেকে ৯ লাখ, ছোট জাতের গরু ৬০ হাজার থেকে দেড় লাখ টাকার গরু পাওয়া যাচ্ছে। ক্রেতাদের অভিযোগ, গত বছরের তুলনায় এবার দাম বেশি। এবার ভারতীয় গরু না থাকার সুযোগে বিক্রেতারা দাম বেশি চাচ্ছেন। পশুর হাট ইজারাদাররা বলছেন শেষ সময়ে দাম কমার সম্ভবনা রয়েছে।

বাজার ঘুরে দেখা গেছে, কুমিল্লার নেউড়া পশুর হাটে উঠেছে বিশাল আকৃতির রাজা। রাজার দাম চাওয়া হচ্ছে সাড়ে আট লাখ টাকা। রাজার স্বভাবের জন্যই তার এমন নামকরণ। মেসির পয়ের কারুকাজ একদম আলাদা। যেন পেশাদার খেলোয়ার। তাই তার নামকরণ করা হয়েছে মেসি। দাম দাওয়া হচ্ছে সাড়ে ৫ লাখ। বাদশাহী চালচলন আর দেহের সুঠামো গঠনের জন্য বাদশাহ নামদেয়া গরুটির দামও চাওয়া হচ্ছে সাড়ে ৫ লাখ টাকা। শান্ত স্বভাবের গরুটি রাগলে থামানো দায়। তাই তার নাম কিলার। দাম চাওয়া হচ্ছে সাড়ে ৩ লাখ। ক্রেতার অপেক্ষায় রয়েছেন।

এ প্রসঙ্গে কুমিল্লার শাসনগাছা এলাকার সুলতান এগ্রো’র খামারি মো: আসলাম বলেন, অনেক কষ্ট করে গরু লালন-পালন করেছি। বাজারে গরুর খাদ্যের দাম বেড়েছে, কর্মচারিদের বেতন বেড়েছে। সব মিলিয়ে কোরবানির পশু লালন পালনের অনেক বেশি ব্যয় করতে হয়েছে। আশা রাখি আমরা ন্যায্য দাম পাবো।

কুমিল্লায় এবার ৩৯৩ টি স্থানে বসছে পশুর হাট। এরমধ্যে স্থায়ী হাট ৪৪টি, অস্থায়ী ৩৪৯টি। বড় বাজারের মধ্যে রয়েছে নেউরা, চাঁন্দপুর, বিবিরবাজার, চাঙ্গিনী, চৌয়ারা, চকবাজার পশুর হাট। এবার কুমিল্লার হাটগুলোতে ভারতীয় গরু না থাকায় নায্যমূল্য পাওয়ার আশায় রয়েছেন বিক্রেতারা। বিক্রেতাদের বলছেন, দাম স্বাভাবিকই আছে। ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে প্রতি বছরই কুমিল্লার বাজারগুলোত হাজার হাজার গরু আসেতো ভারত থেকে। কিন্তু এবার ব্যতিক্রম। তাই গরু পালন করে নায্যমূল্য পাচ্ছেন খামারিরা।

বাজার ইজারাদার বলছেন এখন দাম খানিকটা বেশি হলেও ঈদের আগমুহুর্তে দাম আরো কমে আসবে। বাজারের নিরাপত্তার ব্যবস্থা রয়েছে এবং হাসিল কম নেয়া হচ্ছে।

জানতে চাইলে কুমিল্লার নেউরা বাজারের ইজাদার আকবর হোসেন চৌধুরী বলেন, প্রতি বছরই প্রথম দিকে কোরবানির হাটে দাম একটু বেশি থাকে। কারণ তখন বেশির লোকজনই বাজারদর যাচাই-বাছাই করতে আসে। ঈদ ঘনিয়ে আসলে দামও স্বাভাবিক পর্যায়ে নেমে আসে।

বাজারগুলোতে যথেষ্ট পরিমান নিরাপত্তা জোরদার রয়েছে। সাদা পোশাকে নজরদারি রেখেছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনির সদস্যরা। সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তৎপর রয়েছে বলে জানিয়েছেন কুমিল্লার পুলিশ সৈয়দ নুরুল ইসলাম।

আরো পড়ুন