কুমিল্লায় তরুণীদের পছন্দের শীর্ষে ভারতীয় থ্রি-পিস

ডেস্ক রিপোর্টঃ আর কয়েকদিন পরেই ঈদ। ঈদকে সামনে রেখে কুমিল্লা মহানগরসহ জেলার বিভিন্ন উপজেলার মার্কেটগুলোতে বেচাকেনার ধুম পড়েছে। অভিভাবক থেকে শুরু করে তরুণ-তরুণী এমন কি শিশুরাও পছন্দের পোশাক কেনার জন্য ছুটছেন এক মার্কেট থেকে অন্য মার্কেটে। ভারত সীমান্তবর্তী এ জেলার ফ্যাশন সচেতন তরুণীদের পছন্দের শীর্ষে এবারও রয়েছে ভারতীয় বিভিন্ন ব্র্যান্ডের পোশাক।

কুমিল্লা নগরীর কান্দিরপাড় মনোহরপুরের খন্দকার হক টাওয়ার, সাত্তার খান কমপ্লেক্স, হিলটন টাওয়ার, কান্দিরপাড়ে নিউ মার্কেট, ময়নামতি গোল্ডেন টাওয়ার, সাইবার ট্রেড, চৌরঙ্গী শপিং সেন্টার, নূর মার্কেট, আনন্দ সিটি, লাকসাম রোডে বিবি সমতট, রামঘাট এলাকায় কুমিল্লা টাওয়ার, রেইসকোর্সে ইস্টার্ন এয়াকুব প্লাজা, নজরুল এভিনিউতে রঙ, বিশ্বরঙ, আড়ং, ফড়িং, সাদাকালো, অঞ্জনস, বাদুরতলায় সেইলর, ইনফিনিটি, ক্যাটসআই, লাকসাম রোডে ইজি শো-রুম, ইপিজেড রোডে রোসা সুপার মার্কেট, স্বপ্ন, কান্দিরপাড়ে ওয়ার্ল্ডসম্যানস এবং ক্যান্টনমেন্ট এলাকায় ময়নামতি সুপার মার্কেট, পদুয়ার বাজার বিশ্বরোড এলাকায় হোয়াইট হাউজ শপিং সেন্টারে সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত পছন্দের পোশাক খুঁজে বেড়াচ্ছেন ক্রেতারা।

তরুণীদের পছন্দের শীর্ষে রয়েছে ভারতীয় ব্র্যান্ডের থ্রি-পিস। সাড়ে ৩ হাজার থেকে ১৫ হাজার টাকার মধ্যে পাওয়া যাচ্ছে এসব ব্র্যান্ডের থ্রি-পিস। খন্দকার হক টাওয়ারে থ্রি-পিস কিনতে আসা কলেজছাত্রী প্রিয়াংকা জানান, দেশি ব্যান্ডের ভালো থ্রি-পিস না পেয়ে সাড়ে ৩ হাজার টাকায় ভারতীয় থ্রি-পিস কিনতে হয়েছে।

নগরীর নজরুল এভিনিউ এলাকায় অবস্থিত আড়ংয়ে শাড়ি কিনতে আসা নগরীর দক্ষিণ চর্থা এলাকার স্কুল শিক্ষিকা সুলতানা রহমান জানান, আড়ংয়ের কাপড় মানেই ডিজাইনে আলাদা একটি বৈশিষ্ট থাকে, তবে দাম অনেক বেশি। হাতে কাজ করা একটি শাড়ি তিনি ক্রয় করেছেন সাড়ে ৪ হাজার টাকায়।

এবারের ঈদে অঞ্জনসে ১২শ টাকা থেকে ৮ হাজার টাকার পাঞ্জাবি পাওয়া যাচ্ছে। নগরীর কান্দিরপাড় এলাকার স্কুল শিক্ষক মিজানুর রহমান জানান, তিনি নিজের জন্য একটি ও দুই আত্মীয়র জন্য দুটি সাদার মধ্যে কাজ করা পাঞ্জাবি কিনেছেন। প্রতি পিস পাঞ্জাবি দেড় হাজার টাকা দরে কিনেছেন।

অন্যদিকে ঈদের বাজারে রমণীদের পছন্দের বাহারি ডিজাইনের শাড়ির বিপুল সমাহার ঘটেছে নগরীর শাড়ি-কাপড় বিক্রির দোকানগুলোতে। ইস্টার্ণ এয়াকুব প্লাজার মীম শাড়ি বিতানের মালিক সহিদুল আলম বাবুল ও কয়েকটি শপিংমলের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গরমের কারণে তরুণীদের জর্জেটের চাহিদা কিছুটা কমেছে। ঈদকে সামনে রেখে এবারও তরুণদের পোশাকে আধুনিকতা এবং ফ্যাশনের ছোঁয়া রয়েছে। ছেলেদের ফ্যাশন সমৃদ্ধ শর্ট শার্ট, দেশি বিদেশি বিভিন্ন ব্রান্ডের শার্টের মধ্যে ডিঅ্যান্ডজি, আরমানি, কিউজি, কোলকটন, ব্রান্ড, প্রিমিয়াম, প্লাস, নেক্সট, ওয়ানম্যান, দ্য ওয়ান কালেকশন, প্যান্টের মধ্যে চায়না ও থাইল্যান্ডের সেমি ন্যারো জিন্স, গেভাডিন এবং দেশি-বিদেশি বিভিন্ন ব্রান্ডের শিশু-কিশোরদের পোশাক বিক্রিও জমে উঠেছে।

বিক্রেতারা বলছেন, গত ঈদের এ সময়ের তুলনায় এবার ঈদে বিক্রি বেশ ভালো হচ্ছে। রোজার শেষ পর্যায়ে এসে বেচাকেনা আরও জমে উঠবে।

সূত্রঃ জাগোনিউজ

আরো পড়ুন