কুমিল্লায় তরুনীর সাথে দুই কাজীর অদ্ভুদ প্রতারণা

ডেস্ক রিপোর্টঃ কুমিল্লায় আমেনা আক্তার (শিখার) বিয়ের কাবিন রেজিস্ট্রি না করে প্রতারণা করার অভিযোগে নিকাহ রেজিস্টার (কাজী) মো. অলিউল্লাহ ভূঁইয়া ও তার সহকারী মো. বেলাল উদ্দিন চৌধুরীকে কারাগারে প্রেরণ করেছে বিজ্ঞ আদালত। সোমবার কুমিল্লার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ আদালতের বিজ্ঞ বিচারক এম.এ আউয়াল এ আদেশ দেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেন আদালতের স্পেশাল পিপি অ্যাডভোকেট প্রদীপ কুমার দত্ত।

মামলার অভিযোগে জানা যায়, কুমিল্লা নগরীর রেসকোর্স এলাকার আতিকুর রহমান নিলয়ের সঙ্গে চাঁদপুরের শাহরাস্তি উপজেলার দেবকরা গ্রামের আমেনা আক্তারের (শিখা) বিয়ে সম্পন্ন করেন কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের ২১নং ওয়ার্ডের মধ্যম আশ্রাফপুর এলাকার নিকাহ ও তালাক রেজিস্টার কাজী মাওলানা মো. অলিউল্লাহ ভূঁইয়া ও তার সহকারী মো. বেলাল উদ্দিন চৌধুরী। গত ৩ জুলাই এ বিয়ে হয়।

বিয়ের পর থেকে শিখার স্বামী ও শ্বশুর বাড়ির লোকজন যৌতুকের দাবিতে নানাভাবে নির্যাতন শুরু করে। এ অভিযোগে শিখা বাদী হয়ে তার স্বামীসহ তিনজনের বিরুদ্ধে গত ১৬ সেপ্টেম্বর কুমিল্লা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে বিয়ের কাবিননামা সংযুক্ত করে মামলা দায়ের করেন। এদিকে নিকাহ রেজিস্টার অলিউল্লাহ তার প্যাডে আতিকুর রহমান নিলয়কে এক ঘোষণাপত্র প্রদান করেন।

এতে তিনি উল্লেখ করেন, তার অফিসে ওই তারিখে তাদের বিয়ে কিংবা বিয়ের কাবিন রেজিস্ট্রি হয়নি এবং তার নাম ব্যবহার করে ওই নামে কোন কাবিন উপস্থাপন করলে তা সর্ব আদালতে অগ্রাহ্য বলে গণ্য হবে।

আদালতের স্পেশাল পিপি অ্যাডভোকেট প্রদীপ কুমার দত্ত জানান, ‘কাজী ও তার সহকারীকে সোমবার আদালতে হাজির করা হয়। এসময় তারা ওই বিয়ে ও কাবিননামা সম্পাদন করেছেন এবং তা রেজিস্টারে রেকর্ড করেননি বলে আদালতে স্বীকার করেন। এ ধরণের কাবিননামা সৃষ্টি করে বিয়ে ও প্রতারণার প্রতিকার চেয়ে আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালত তাদেরকে কারাগারে প্রেরণের আদেশ দেন।’

আরো পড়ুন