কুমিল্লায় ধর্ষিতার বাবার বিরুদ্ধেই উল্টো ধর্ষণের মামলা

ডেস্ক রিপোর্টঃ কুমিল্লায় ধর্ষণ মামলা তুলে না নেয়ায় উল্টো ধর্ষকের স্ত্রীকে ভিকটিম সাজিয়ে ধর্ষণ চেষ্টার মামলা দিয়ে ধর্ষিতার বাবাকে জেলহাজতে পাঠানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় এলাকায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়।

শুক্রবার ধর্ষিতার বাবাকে গ্রেফতারের পর শনিবার আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়। নাঙ্গলকোট উপজেলার একটি গ্রামে এ চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটে। তবে পুলিশের বক্তব্য আদালতে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে সিআর মামলা দায়ের করার পর আদালত সরাসরি গ্রেফতারি পরোয়ানা ইস্যু করায় ভিকটিমের বাবাকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।

মামলার অভিযোগ, চলতি বছরের ৬ মার্চ জেলার নাঙ্গলকোট উপজেলার একটি গ্রামের আবু তাহের চিকিৎসার জন্য স্ত্রীকে নিয়ে কুমিল্লা শহরে আসেন। এ সময় বাড়িতে একা পেয়ে তার নবম শ্রেণির পড়ুয়া মেয়েকে ধর্ষণ করে একই গ্রামের কাজী আব্দুস সাত্তারের ছেলে কাজী আবুল কালাম মামুন। এ ঘটনায় যাতে মামলা করতে না পারে তাই ধর্ষিতার পরিবারকে ৬ দিন বাড়িতে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়। পরে পালিয়ে গিয়ে ধর্ষিতা নিজে বাদি হয়ে কুমিল্লার আদালতে ধর্ষকের বিরুদ্ধে মামলা করেন। ওই মামলার আসামি মামুন উচ্চ আদালত থেকে জামিনে এসে মামলা তুলে নেয়ার জন্য ধর্ষিতা ও তার পরিবারকে চাপ প্রয়োগসহ প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে আসছিল। এরপর মামুন নিম্ন আদালতে হাজির হলে আদালত তাকে জেল হাজতে পাঠান। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ধর্ষকের স্ত্রী নুরুন নাহার আক্তার নুপুর বাদি হয়ে কুমিল্লার আদালতে ধর্ষিতার বাবাকে আসামি করে ধর্ষণ চেষ্টার একটি মামলা দায়ের করলে আদালত থেকে আবু তাহেরের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে।

ধর্ষিতার মা জানান, ধর্ষক পরিবারের লোকজন মামলা তুলে নেয়ার জন্য বিভিন্নভাবে হত্যার হুমকি দিচ্ছে। ওরা মিথ্যা মামলা দিয়ে আমার স্বামীকে গ্রেফতার করিয়েছে।

অপরদিকে অভিযুক্ত আসামির বাবা কাজী আবদুস সাত্তার বলেন, আমার ছেলে ধর্ষণের সঙ্গে জড়িত নয়, মিথ্যা মামলা দিয়ে তাকে ফাঁসানো হয়েছে।

এ বিষয়ে রোববার দুপুর ১২টার দিকে নাঙ্গলকোট থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নজরুল ইসলাম জানান, ধর্ষিতার বাবা আবু তাহেরের বিরুদ্ধে ধর্ষক মামুনের স্ত্রী আদালতে ধর্ষণ চেষ্টার একটি সিআর মামলা করায় আদালত থেকে সরাসরি গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করার কারণ তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ ছাড়া ওই স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণের বিষয়টি সত্যতা পাওয়া গেছে। মামলাটি এখন তদন্তের শেষ পর্যায়ে রয়েছে বলে জানান পুলিশের এ কর্মকর্তা।

সূত্রঃ জাগোনিউজ

আরো পড়ুন