কুমিল্লায় পৃথক ৩টি সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২, আহত ১৮

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ রবিবার দুপুরে ঢাকা চট্রগ্রাম মহাসড়কের বুড়িচংয়ের নাজিরা বাজার এলাকায় দ্রুতগামী একটি যাত্রীববাহী স্টারলাইন বাসের চাপায় একই উপজেলার ময়নামতি বাজেবাহের চর গ্রামের কাউছার মিয়ার পুত্র অপু মিয়া (১৬) নামের এক পথচারী কিশোর গুরুতর আহত হলে হাসপাতালে নেয়া হয়। কিুছুক্ষণ পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। এবং এসময় অপর আরেকটি শিশু গুরুতর আহত হয়ে বর্তমানে হাসপাতালে ভর্তি আছে । আহত শিশুটি ঘোষনগর উদয়নবাগ এলাকায় নানার বাড়িতে বেড়াতে এসেছে বলে জানা গেছে। ঘাতক বাসটিকে আটক করা সম্ভব হয়নি।

অপর এক দুর্ঘটনায় জনতা পরিবহনের একটি বাস কুমিল্লা ক্যান্টনমেন্ট থেকে গোমতী নদীর পাড় হয়ে শহরে প্রবেশের সময় দুর্গাপুর নামক এলাকায় দুপুর ২টায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে নদীর পাড়ে প্রায় ২৫/৩০ফুট নিচে উল্টে পরে । এসময় শিশু সহ ছয় জন আহত হয়েছে। রিনা আক্তার নামে গুরুতর আহত একজন কে ঢামেক হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।

এছাড়াও মহাসড়কের সৈয়দপুর এলাকায় ট্রাকের চাপায় ও জাঙ্গালিয়া বাসস্ট্যান্ডের সন্নিকেট পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় অটোরিক্সা যাত্রী সাজেদা (৩০) নিহত এবং চার জন আহত হয়। আহতরা হলো দেবিদ্বার উপজেলার হোসেনপুর গ্রামের হোসেন মিয়ার ছেলে সাগর (১৫), ডাকারিয়া গ্রামের আব্দুল হাশেমের ছেলে নুল মোহাম্মদ (৩২), মাশিকারা গ্রামের দুলাল মিয়ার ছেলে ইউসুফ (৩২), আশুরা গ্রামের শাহজাহান মিয়ার ছেলে বোরহনা (১০) এবং মুরাদনগর উপজেলার কাশিমপুর গ্রামের দুলাল মিয়ার স্ত্রী রিনা বেগম (৪০), ও সোনাকান্দা গ্রামের হাবিবুর রহমানের ছেলে অভিহ মিয়া (৪৫)।

সৈয়দপুর ও জাঙ্গালিয়া এলাকায় আহতরা হলো হোমনা উপজেলার কাশিপুর গ্রামের তাসলিমা (২০), বুড়িচং উপজেলার বাজেহুরা গ্রামের কাউসার মিয়ার ছেলে অপু (২১), কোতয়ালী থানার দীঘলগাও গ্রামের লিটন মিয়ার ছেলে লিমন (১৮), বুড়িচং উপজেলার নোয়াব আলীর স্ত্রী হোসনে আরা বেগম। বাকী আহতরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছে।

আহতরা সকলে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। ঘটনার সাথে সাথে কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলার ফায়ারসার্ভিস ইউনিট ও কোতয়ালী থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে এবং পরে আহতদের দেখতে হাসপাতালে খোজ নিয়েছে।

আরো পড়ুন