কুমিল্লায় প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাত চেয়ে সাংবাদিক সম্মেলন

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ মহান মুক্তিযুদ্ধালীন সময়ে জাতিরজনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পাকিস্থান কারাগারে আটক থাকাকালীন সময়ে বঙ্গবন্ধুকে খাওয়া সরবরাহকারী কর্পোরাল আবদুল মালেকের পরিবারের সদস্যদের প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার সাক্ষাত চেয়ে সংবাদ সম্মেলন।

শনিবার সকালে নগরীর নজরুল এ্যাভিউনিতে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, কর্পোরাল আবদুল মালেকের স্ত্রী আমিনা খাতুন, পুত্রবধু সালমা আক্তারসহ সাংবাদিকবৃন্দ।

উল্লেখ্য ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্থান কারাগারে বন্দী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে পাকিস্থান সেনাবাহিনীতে কর্মরত গার্ড কর্পোরাল আবদুল মালেক লুকিয়ে খাবার সরবরাহ করতেন। এক পর্যায়ে ধরা পরায় তার সাজা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে কর্পোরাল আবদুল মালেকের পুত্র হুমায়ুন কবির সরকার বলেন, আমার বাবা কর্পোরাল এম এ মালেক সরকার ১৯৬২ সালে তৎকালীন পাকিস্থান সসস্ত্র বাহিনীতে ভর্তি হওয়ার পর পশ্চিম পাকিস্থানে বদলী হন।

এক পর্যায়ে ১৯৭১ সালে মার্চে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে বন্ধী করে পাকিস্থানে নিয়ে গেলে সেখানে আমার বাবা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সামরিক কারাগারে গোপনে খাবার সরবরাহ করিতেন। উক্ত বিষয়গুলো আমার বাবার কমান্ডার কর্নেল তাহের অবগত ছিলেন। খাবার দিতে গিয়ে ১৯৭১ সালের শেষের দিকে আমার বাবা পাকিস্থান বাহিনীর হাতে ধরা পরলে আমার বাবাকে সেনা আইনে ভয়ানক শাস্তি প্রদান করা হয় এবং তিনি সাজা ভোগ করেন। ১৯৭৩ সালে ভারতের মধ্যস্থতায় বন্ধী বিনিময় চুক্তিতে আমার বাবা বাংলাদেশে ফেতর আসেন। ১৯৭২ সালের বঙ্গবন্ধু দেশে ফেরত আসার পর পাকিস্থান ফেরত সকল বাঙ্গালী সৈনিককে নিয়ে একটি সামরিক সমাবেশ করেন। ওই সমাবেশে আমার বাবার সাথে আমিও উপস্থিত ছিলাম। আমার বাবা ওই সমাবেশে কর্নেল তাহেরের মাধ্যমে তার নাম লিখে দিলেও কর্নেল তাহের সেখানে নিজ নাম লিখে দিয়ে বাবার নামটি আরাল করে যান। আর সেই কারনে সেদিন বঙ্গবন্ধু তাঁর উপকারীকে খুজতে গিয়ে কর্নেল তাহেরের নাম উচ্চারন করে বাকীটা ‘কে যেন’ বলেছিলেন। আর এই কে যেন ব্যক্তটিই আমার বাবা কর্পোরাল এম এ মালেক সরকার ১২৫৩৬৬১ আর্টিলারী। আমার বাবা তখন কান্নায় ভেঙ্গে পরেন। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট স্ব-পরিবারে বঙ্গবন্ধুকে নির্মমভাবে হত্যা করা হলে আমার বাবার সকল স্বপ্ন ভেৃঙ্গে চুরমার হলে যায়। এ আঘাত সইতে না পেরে মানষিক রোগে আক্রান্ত হয়ে কুমিল্লা সামরিক হাসপাতালে মৃত্যুবরন করেন। আমি কর্পোরাল এম এ মালেক সরকারের সন্তান হিসেবে প্রধানমন্ত্রী ও জননেত্রী শেখ হাসিনার সাথে স্বাক্ষাত করে আমার বাবার ব্যদনার কথা জানাতে চাই।

আরো পড়ুন