কুমিল্লায় বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে প্রেমিকার অনশন

তিতাস সংবাদদাতাঃ কুমিল্লা তিতাস উপজেলার নাগের চর গ্রামে বিয়ের দাবিতে গত বৃহস্পতিবার থেকে প্রেমিকা ইয়াসমিন আক্তার (১৮) প্রেমিক জিলানীর (২২) বাড়িতে ৫ দিন ধরে অবস্থান করে অনশন করে আসছে।
প্রেমিকা ইয়াসমিন তিতাস উপজেলার ভিটিকান্দি ইউনিয়নের মানিক কান্দি গ্রামের আব্দুল বাতেনের মেয়ে । প্রেমিক জিলানী একই উপজেলার কলাকান্দি ইউনিয়নের মাছিমপুর গ্রামের মৃত আজিবরের ছেলে।
স্থানীয় এলাকাবাসীর সুত্রে জানা য়ায়, ইয়াসমিন ও জিলানী তারা একে অপরের খালাতো ভাই-বোন। তাদের গত ২ বছর ধরে প্রেমের সম্পর্ক এবং গত ৫ মাস আগে পারিবারিক ভাবে আংটি বদল হয়। এক পর্যায়ে প্রেমিক জিলানী বিয়ের প্রলোভনে প্রেমিকাকে সাথে নিয়ে বিভিন্ন স্থানে বেড়াতে যায় এবং  দৈহিক সম্পর্ক গড়ে তোলে। সম্প্রতি প্রেমিকা বিয়ের জন্য চাপ দিলে প্রেমিক জিলানী ও তার পরিবার অসম্মতি জানায়। ফলে বিয়ের দাবিতে ওই প্রেমিকা জিলানীর বাড়িতে বৃহস্পতিবার থেকে অবস্থান নিয়ে অনশন করে আসছে।

প্রেমিকা কান্না জড়িত কন্ঠে বলেন, জিলানীর বাড়িতে অবস্থান করার সাথে সাথে তার পরিবারের লোকজন আমার উপর শারিরিক নির্যাতন করে এবং ঘর থেকে বের করে দেয়। তারা ঘরে তালা লাগিয়ে চলে য়ায়। এসময় তিনি আরও বলেন, জিলানীর সাথে আমার বিয়ে হবে, নয়তো আত্মহত্যার পথ বেছে নিতে হবে আমাকে (ইয়াসমিন) এমনটাই দাবি তার। গত এক বছর যাবত আমরা স্বামী স্ত্রী হিসেবে বিভিন্ন জায়গায় একত্রে বসবাস করে আসছি। তার সাথে আমার দৈহিক সম্পর্ক হয়েছে অনেক বার তাই, এখন আমার আর ফিরে যাবার পথ নাই।

তবে প্রেমিকের বড় ভাইয়ের সাথে কথা বলে জানা যায় যে, মেয়ের একাধিক ছেলের সাথে সম্পর্ক থাকার কারনে ছেলে বিয়েতে অসম্মতি জানায়।

এছাড়াও ভিটিকান্দি ইউপি চেয়ারম্যান আবু মোল্লার কাছে ঘটনা সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন যে, গত ২ দিন আগে মেয়ের পক্ষ থেকে আমাকে বিষয়টি জানান এবং  ছেলের গ্রাম থেকেও আমাকে ফোন করেন।
তাই আমি বিষয়টি সুষ্ঠু সমাধানের লক্ষে দুই পক্ষকে ডাকলে মেয়ের পক্ষ সময় মত হাজির হলেও ছেলের পক্ষ থেকে কেউ আসে নাই। তাই সমাধান করা সম্ভব হয় নাই।

এ ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। প্রতিদিন ওই বাড়িতে প্রেমিকাকে দেখতে এলাকাবাসী ভিড় করছে।

তবে এ ঘটনার পাঁচ দিন অতিবাহিত হলেও কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছেন না জিলানীর পরিবার এবং চোখে পড়েনি স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের।

আরো পড়ুন