কুমিল্লায় মহাসড়কের নিষিদ্ধ এলাকায় অবৈধ গাড়ি পার্কিং ও বাস টার্মিনাল!

জাতীয় প্রধান ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লার নন্দনপুরে নিষিদ্ধ এলাকায় চলছে অবাধে গাড়ি পার্কিং। একইসাথে কাছাকাছি দুরত্বে মহাসড়কের উপর অলিখিত বাস টার্মিনাল,মাইক্রোবাস ও সিএনজি ষ্ট্যান্ড’এ যাত্রীর জন্য হাকডাক দিচ্ছে চালক,কন্ডাক্টর ও হেলপাররা। এচিত্র প্রতিদিনের হলেও সংশ্লিষ্টরা নিরব।

সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ফোরলেনের কুমিল্লার সদর দক্ষিণ উপজেলার নন্দনপুর এলাকায় ঢাকাগামী অংশে সড়ক ও জনপথ বিভাগ থেকে সাইনবোর্ড টানিয়ে গাড়ি পার্কিং নিষিদ্ধ ঘোষনা করলেও কেউ তা মানছেনা। বলতে গেলে স্থায়ী পার্কিং জোনে পরিনত হয়েছে এই এলাকাটি। ঢাকাগামী বিভিন্ন পরিবহনের বাসগুলো এখানে মহাসড়কের পাশে রাত-দিন পার্কিং করে রাখছে। পরবর্তিতে একাধিক বাস নিকটবর্তী নন্দনপুর এলাকায় মহাসড়কের উপর থাকা ফুটওভার ব্রীজের নিচে সাড়িবদ্ধভাবে দাড় করিয়ে ভোর থেকে রাত পর্যন্ত যাত্রী বোঝাই করে ছুটছে ঢাকা সায়েদাবাদ বাস টার্মিনালের গন্তব্যে ।

এলাকাবাসী সুত্র জানায়, ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুরের বিভিন্ন গন্তব্যগামী একাধিক পরিবহনের বাসগুলো কুমিল্লায় এসে তাদের যাত্রাপথ বাতিল করে। এতে বাস মালিকদের সংশ্লিষ্ট জেলার আন্তঃজেলা বাসটার্মিনালে দেওয়া কথিত জিপি’র টাকা পরিশোধ করতে হয়না। পরবর্তীতে বাসগুলো আবারো নন্দনপুর এলাকা থেকে ঢাকামুখী ছেড়ে যাচ্ছে। মহাসড়কের উপর নিষিদ্ধ বাস টার্মিনালের এই দৃশ্য প্রতিদিনের হলেও হাইওয়ে পুলিশ বা অন্যান্য আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী,বিআরটিএ’র লোকজনদের এব্যাপারে কার্যকর কোন ব্যবস্থা নিতে দেখা যায়নি। এছাড়াও একই এলাকায় মহাসড়কের ফোরলেনের দু’পাশে ঢাকা ও চট্টগ্রামগামী অংশে আরো দুটি সিএনজি অটোরিক্সা ও মাইক্রোবাস স্ট্যান্ডও গড়ে উঠেছে। নন্দনপুর এলাকায় মহাসড়ক পেরিয়ে একদিকে কুমিল্লা মহানগরী ও অন্যদিকে কুমিল্লার ঐতিহাসিক ময়নামতির শালবন বৌদ্ধ বিহার, ইটাখোলা মুড়া, রূপবান মুড়া, ময়নামতি যাদুঘর ছাড়াও কোটবাড়ি বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন একাডেমী (বার্ড), ময়নামতি সেনানিবাস, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়’এ যাওয়ার প্রধান সড়ক। ফলে এমনিতেই এই স্থানটি খুবই ব্যস্ততম। প্রতিদিন অসংখ্য মানুষ ঐতিহাসিক নিদর্শন, যাদুঘর, বিশ্বদ্যিালয়সহ বার্ড দেখতে এই সড়ক পথে চলাচল করে।

মহাসড়কের উপর অবৈধ পার্কিং ও বাস টার্মিনাল, মাইক্রোবাস, সিএনজি অটোরিক্সা ষ্ট্যান্ড থাকায় একদিকে দুরপাল্লার দ্রুতগতির যানবাহনসমুহ চলাচলে যেমন অসুবিধার সম্মুখিন হচ্ছে তেমনি এখানকার ইউটার্নে গাড়ি ঘুড়িয়ে দু’পাশে পারাপারেও চরম অসুবিধার সম্মুখিন হচ্ছে যানবাহনের চালকরা। স্থানীয়সহ সচেতন মানুষদের দাবী মহাসড়কের নিষিদ্ধ পার্কিং জোনে এবং মহাসড়কের উপর অবৈধ টার্মিনাল, ষ্ট্যান্ড বন্ধ করে স্বাভাবিক যানবাহন চলাচলের ব্যবস্থা করা হউক।

ময়নামতি হাইওয়ে ক্রসিং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাফায়েত হোসেন মহাসড়কের নিষিদ্ধ এলাকায় গাড়ি পার্কিং রাখার বিষয়টি স্বীকার করে জানান, আমরা প্রায়ই অভিযান চালাই ,আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করি।

আরো পড়ুন