কুমিল্লায় মিথ্যা অভিযোগে মামলা দায়েরে হয়রানীর প্রতিবাদে সাংবাদিক সম্মেলন

কুমিল্লায় পারিবারিক বিরোধের জেরে মৎস্য খামারে বিষ প্রয়োগে মাছ নিধনসহ নানা মিথ্যা অভিযোগে একের পর এক মামলা দায়েরে কয়েকটি পরিবারকে হয়রানী করা হচ্ছে। হয়রানীর শিকার পরিবারের পুরুষ সদস্যদের গ্রেফতার আতঙ্কে পালিয়ে বেড়াতে হচ্ছে। নানা কৌশলে হয়রানীর মাধ্যমে জোরপূর্বক জমি দখলের চেষ্টাও চলছে। গতকাল মঙ্গলবার নগরীর মনোহরপুর এলাকার একটি হোটেলে সাংবাদিক সম্মেলন করে জেলার আদর্শ সদর উপজেলার দূর্গাপুর ইউনিয়নের ঘোড়ামারা কৃষ্ণনগর গ্রামের মৃত: আবদুল মালেকের ছেলে আলমগীর হোসেনের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ করেন তার বড় ভাই আবদুল জলিল ও স্থানীয় ভূক্তভোগী পরিবারের লোকজন।

আবদুল জলিল অভিযোগ করে বলেন, গত বছরের ২৬ ডিসেম্বর তার ছেলে জসিম উদ্দিন আলেখারচর বিশ্বরোড এলাকার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে বাড়ি ফেরার পথে নোয়াপাড়া এলাকায় গেলে তার ছোট ভাই আলমগীর হোসেন পূর্বপরিকল্পিতভাবে জসিমের উপর হামলা চালায় এবং তাকে গুরুতর জখম করে। এ ঘটনায় আলমগীরসহ আরো ৫ জনকে আসামি করে মামলা হয়েছে। জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে এ হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগে বলা হয়। এরপর ওই মামলাটি প্রত্যাহারের জন্য আলমগীর ও সঙ্গীয়রা তাদেরকে নানাভাবে হুমকি দিয়ে আসছিল। একপর্যায়ে আলমগীর গত ১৬ ফেব্রুয়ারি আলেখারচর সংকরপুর এলাকায় তার একটি মাছের খামারের মাছ ধরে বিক্রির পর ওই খামারে বিষ প্রয়োগ করে মাছ নিধন করে এবং ২৫ লাখ টাকার মাছ মেরে ফেলা হয়েছে এমন অভিযোগে তাদের হয়রানী করা হচ্ছে।

ভূক্তভোগীরা বলেন, আলমগীর ঘোড়ামারা কৃষ্ণনগর গ্রামের রহম আলীকে দিয়ে তাদেরকে আসামি করে মিথ্যা মামলা দায়ের করে। এছাড়া দূর্গাপুর গ্রামের ডাহিনকে বাদী করে তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয় এবং ওই মামলায় বাদী ডাহিন কিছুই জানে না বলে আদালতে স্বীকারোক্তি প্রদান করলে আদালত মামলাটি খারিজ করে দেয়। এরপর স্থানীয় নাজমা বেগম নামের এক মহিলাকে দিয়ে জসিম উদ্দিনসহ তাদের আসামি করে আরো একটি মামলা দায়ের করে। এভাবে আলমগীর হোসেন ষড়যন্ত্রমূলকভাবে তার বড় ভাই আবদুল জলিল ও ভাতিজা জসিম উদ্দিনসহ পরিবারের লোকজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরে জায়গা-জমি দখলের চেষ্টা করছে বলে সাংবাদিক সম্মেলনে অভিযোগ করা হয়। সুষ্ঠু তদন্তপূর্বক এসব মামলা প্রত্যাহারসহ আলমগীর হোসেনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রশাসনের নিকট দাবি জানিয়েছেন ভূক্তভোগীরা। সাংবাদিক সম্মেলনে আবদুল জলিল, জসিম উদ্দিন, মো. রাসেল, সুজন দাসসহ স্থানীয় এলাকার ভূক্তভোগী পরিবারের লোকজন উপস্থিত ছিলেন।

আরো পড়ুন