কুমিল্লায় ১০ লাখ টাকা মূল্যের অবৈধ সেগুন কাঠসহ কাভার্ডভ্যান জব্দ

কুমিল্লায় কাভার্ডভ্যান বোঝাই বিপুল পরিমাণের সেগুন কাঠ জব্দ করেছে বন বিভাগ। এসময় ১০ লাখ টাকা মূল্যের অবৈধ সেগুন কাঠসহ কাভার্ডভ্যান রেখে পালিয়ে যায় চালক ও তার সহযোগী। শনিবার রাতে কুমিল্লার ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের চাষাপাড়া এলাকা থেকে অবৈধ সেগুন কাঠসহ ওই কাভার্ডভ্যানটি জব্দ করা হয়। এছাড়া কুমিল্লা জেলা প্রশাসক, জেলা পরিবেশ ও বন উন্নয়ন কমিটির অনুমোদন না নিয়ে কুমিল্লার সদর উপজেলা পরিষদের সামনের সড়ক থেকে অবৈধভাবে একটি রেইনট্রি করই গাছ কেঁটে ফেলার অভিযোগ উঠেছে জেলা সড়ক ও জনপদ বিভাগের বিরুদ্ধে। পরবর্তীতে খবর পেয়ে বন বিভাগ গাছ ও পরিবহনের কাছে ব্যবহৃত একটি ট্রাক্টরও জব্দ করেন।

রবিবার (১৮ অক্টোবর) কুমিল্লা সামাজিক বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা কাজী মুহাম্মদ নূরুল করিম জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সুয়াগাজী ফরেস্ট চেক স্টেশনে ঢাকা অভিমুখী কাভার্ডভ্যানটিকে থামার জন্য সংকেত দিলে চালক দ্রুতগতিতে পালাতে চেষ্টা করে। পরবর্তীতে অন্য একটি গাড়ি দিয়ে কাভার্ডভ্যানটিকে ধাওয়া করলে সদর দক্ষিণ উপজেলার চাষাপাড়া এলাকায় গিয়ে চালক ও তার সহযোগী অবৈধ কাঠ বোঝাই কাভার্ডভ্যান মহাসড়কে রেখে পালিয়ে যায়। পরে তল্লাশী চালিয়ে কাভার্ডভ্যানের ভিতর থেকে প্রায় ১০ লাখ টাকার অবৈধ সেগুন কাঠ জব্দ করা হয়। কাঠে বন বিভাগের কোনপ্রকার হাতুড়ি চিহ্ন না থাকায় বুঝা যাচ্ছে যে, কাঠগুলো অবৈধভাবে পাচার করা হচ্ছে। এ ছাড়া গাড়িতে কাঠের বৈধতার স্বপক্ষে কোনপ্রকার কাগজপত্র পাওয়া যায়নি।

বিভাগীয় বন কর্মকর্তা বলেন, কাভার্ডভ্যান দিয়ে অবৈধভাবে কাঠ পাচারের ঘটনায় কুমিল্লার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে (বন আদালত) একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

অভিযানে বন বিভাগের ফরেস্ট রেঞ্জার মোঃ তোষাররফ হোসেন, ফরেস্টার দিলীপ কুমার দাস, ফরেস্ট গার্ড এম এ মান্নান, মোঃ আবুল কালাম আজাদ এবং মোঃ জুলফু মিয়া অংশগ্রহণ করেন। ফরেস্ট রেঞ্জার মোঃ তোষাররফ হোসেন বলেন যে, মহাসড়কে অবৈধ কাঠ পাচার বন্ধে চলমান অভিযান অব্যাহত থাকবে।

কুমিল্লার সদর উপজেলা বন কর্মকর্তা হাফেজ আহম্মদ জানান, গত (১৪ অক্টোবর) কুমিল্লার সদর উপজেলা পরিষদের সামনের সড়কের উপর থেকে কুমিল্লা সড়ক ও জনপদ বিভাগ কুমিল্লা জেলা প্রশাসক, জেলা পরিবেশ ও বন উন্নয়ন কমিটির অনুমোদন না নিয়ে রেইনট্রি করই গাছ কেঁটে নিয়ে যাওয়ার সময় একটি ট্রাক্টরসহ গাছটি জব্দ করা হয়। বর্তমানে গাছ ও ট্রাক্টর কুমিল্লা জেলা বন বিভাগের হেফাজতে রয়েছে।

আরো পড়ুন