কুমিল্লা আদর্শ সদরে সাত’শ কৃষকের মাঝে বিনামূল্যে সার ও বীজ বিতরণ
সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলার ৬ ইউনিয়নের ৭ শত জন কৃষকের মাঝে চলতি মৌসুমের আউশ উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে কৃষি প্রনোদনার অংশ হিসাবে বিনামূল্যে সার ও বীজ বিতরন করেছে উপজেলা কৃষি অফিস। সোমবার সকালে উপজেলাধীন শহরতলীর দূর্গাপুর (উত্তর) ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয় প্রাঙ্গনে কর্মসূচির উদ্বোধন করেন উপজেলা চেয়ারম্যান এডভোকেট মো.আমিনুল ইসলাম টুটুল,উপজেলা নির্বাহী অফিসার জাকিয়া আফরিন সহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
জানা যায়, ২০২০-২১ অর্থবছরের কৃষি প্রনোদনা কর্মসূচীর আওতায় উফশী আউশ আবাদের ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে কৃষি প্রনোদনার বিনা মূল্যে সার ও বীজ বিতরন করা হয়। এ সময় উপজেলার ৬ ইউনিয়নের ৭ শত জন কৃষকের মাঝে প্রত্যেকের জন্য ৫ কেজি বীজ, ২০ কেজি ডিএপি ১০ কেজি এমওপি সার বিতরন করা হয়।
এ সময় উপজেলা কৃষি অফিসার মোঃ মুশিউল ইসলাম, উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার মুহাম্মদ মোরশেদ আলম, দূর্গাপুর উত্তর ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদউপ-সহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষন কর্মকর্তা রওশন সুলতানা,উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা পিন্টু সরকার,আবদুল কাদেরসহ আরো অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
এসময় উপজেলা চেয়ারম্যান এডভোকেট মো.আমিনুল ইসলাম টুটুল বলেন,মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ঘোষনা অনুসারে কৃষি ও কৃষককে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে কৃষকদের মাঝে এ কৃষি প্রনোদনা বিতরণ করা হচেছ। বর্তমানে চলমান করোন মহাদূর্যোগে কৃষকরা যেন সমস্যায় না পড়ে সে কারণে বর্তমান কৃষিবান্ধব সরকার আগের ছেয়ে কৃষকের নিকট থেকে এবছর বেশি পরিমান ধান সংগ্রহ করার ঘোষনা দিয়েছেন। ধান বিক্রি করা নিয়ে কৃষকের কোন টেনশনের কারণ নেই।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার জাকিয়া আফরিন বলেন, দেশের করোনা ভাইরাসজনিত দূর্যোগে বর্তমান পরিস্থিতিতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ৩১ দফা নির্দেশনা প্রদান করেছেন। কোনো কৃষি জমি পতিত না রেখে দেশের খাদ্য উৎপাদন অব্যাহত রাখার জন্য আমাদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। আমরা সেই লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছি। জনসমাগম এড়াতে আমরা ইউনিয়ন পর্যায়ে কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে বীজ ও সার বিতরণ শুরু করেছি। ধাপে ধাপে আমরা সবার মাঝে বিতরণ করব।
উপজেলা কৃষি অফিসার মোঃ মুশিউল ইসলাম বলেন, আগামীতে যেন দেশে খাদ্য সংকট না হয় সেজন্য সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক আউশ উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে সঠিক সময়ে বীজতলা তৈরি, রোপণ, সেচ সহ শ্রমিক সংকট কাটিয়ে ওঠার জন্য কৃষির যান্ত্রীকিকরণ ও অন্যান্য ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বিভিন্ন কৌশল নিয়ে আমরা কৃষি বিভাগ সবসময় কৃষকের পাশে আছি।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার মুহাম্মদ মোরশেদ আলম বলেন, ফসল উৎপাদন ও চলমান সেচ, সার, বালাইনাশক সরবরাহ অব্যাহত রাখা, পুকুরপাড় ও রাস্তার পাশে সবজি চাষ, বসতবাড়ির আঙ্গিনায় ও আশেপাশে সম্ভাবনা স্থানে পেয়ারা, লেবু, পেঁপে ও অন্যান্য ফল চাষ করতে আমরা কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করছি। বর্তমান করোনা সংকটেও কৃষি উৎপাদন যেন ব্যাহত না হয় আমাদের কৃষি বিভাগের কর্মীরা সার্বক্ষনিক মাঠে কাজ করছি।