কুমিল্লা কমলাপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাপতি পদে আসছে “চরিত্রহীন মফিজুল”

ডেস্ক রিপোর্টঃ কুমিল্লা সদর উপজেলার ১ নং কালীর বাজার ইউনিয়ন এর কমলাপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাপতি পদে আসছে সাবেক ইউনিয়ন জাপা সেক্রেটারি ও বর্তমান আওয়মীলীগ নেতা মফিজুল (৫০)।

কমলাপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় এবং বাজার মসজিদ কমিটির সাবেক এই সভাপতির বিরুদ্ধে এলাকায় রয়েছে অসংখ্য অভিযোগ।

কিছুদিন আগে উপজেলার দৈয়ারা (দক্ষিণ সৈয়দপুর) এলাকায় এক বিধবা নারীর সাথে শয়নকক্ষে অনৈতিক কার্যকলাপের সময় তাকে
অর্ধনগ্ন অবস্থায় হাতেনাতে আটক করে এলাকাবাসী। প্রথমে উপস্থিত লোকজনকে ম্যানেজ করার নানা চেষ্টা করে ব্যর্থ হয় সে। ঘটনা জানাজানি হলে লোকজন বাড়তে থাকে। মুহূর্তেই খবর ছড়িয়ে পরে চারিদিকে। খবর পৌঁছে যায় স্থানীয় চেয়ারম্যান হাজী সেকান্দর আলীসহ আরও গণ্যমান্য ব্যক্তিদের কাছে। এই ঘটনার পর এলাকাবাসীর মুখে বলতে শোনা যায়, “ধরা খাইছে মফিজ বহুদিন পর।”

এলাকাবাসী জানান, মফিজুল সমাজ সেবকের আড়ালে গ্রামের নিরীহ, বিধবাসহ সুবিধা বঞ্চিত নারীদের সুবিধা দেওয়ার কথা বলে এইসব কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বহুদিন ধরেই এমন নানা অনৈতিক সম্পর্ক এবং বিতর্কিত নানা কার্যকলাপে যুক্ত মফিজুল। দরিদ্র নারী ও গরীব মেয়েদের ইজ্জত নষ্ট করেছে সে। টাকা আর ক্ষমতার জোরে প্রতিনিয়ত তিনি এসব কাজ করে যাচ্ছেন। একসময় জাতীয় পার্টির ইউনিয়ন সাধারণ সম্পাদক থাকলেও দলের বেহাল দশা দেখা দিলে যোগ দেন ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগে।

স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, এলাকার জনপ্রতিনিধিসহ বড় বড় নেতাদের সাথে ভাব জমিয়ে হয়ে যান কমলাপুর সরকারি হাইস্কুল ও মসজিদ কমিটির সভাপতি। এমন একজন চরিত্রহীন লোককে মসজিদ কমিটি ও স্কুলের মতো প্রতিষ্ঠানের বড় পদে থাকা কারো পছন্দ না হলেও ভয়ে মুখ খোলে না কেউ।

স্থানীয় একজন আওয়ামীলীগ নেতা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, মফিজুল আবার নতুন করে কমলাপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাপতি পদ পাওয়ার জন্য জোড় তদবির চালিয়ে যাচ্ছেন। তারমত এমন একজন চরিত্রহীন লোক কি করে বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাপতি পদে আসে?

নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন স্কুল শিক্ষক জানান, মফিজুল সভাপতি থাকা কালে নানা ভাবে হয়রানি সহ শিক্ষকদের সাথে খারাপ ব্যবহার করতেন।

আরো পড়ুন