কুমিল্লা কাস্টমসের অভিযানে চোরাচালানের ১৬ লাখ টাকার দুই টন চা আটক

প্রায় পাঁচ বছর পর কুমিল্লা কাস্টমসের অভিযানে ১৬ লাখ টাকার দুই টন অবৈধ চা পাতা আটক করা হয়েছে । গত ২২ জুলাই রাত ১১ টায় কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার কোম্পানীগঞ্জ এলাকা থেকে কুমিল্লা কাস্টমসের ১০ সদস্যের একটি দল অভিযান পরিচালনা করে দুই টন চা আটক করে। যার বাজার মূল্য ১৬ লাখ টাকা।

দীর্ঘদিন যাবৎ দেশের চা উৎপাদক ও ব্যবসায়ীরা চা চোরাচালানীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে আসছিলেন। অবৈধপথে আনা বিদেশী চা এর কারণে দেশী চা এর চাহিদা ও মূল্য হ্রাস পাচ্ছিল।

জানা যায়, কুমিল্লা কাস্টমস এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেটের কমিশনার হিসেবে সদ্য যোগদান করা মোহাম্মদ বেলাল হোসাইন চৌধুরী মুঠোফোনে চোরাচালানের বিষয়টি জানতে পেরে তাৎক্ষনিক অভিযান পরিচালনার নির্দেশ প্রদান করেন এবং অভিযান পরিচালনার জন্য ১০ সদস্য বিশিষ্ট প্রিভেন্টিভ টিম গঠন করেন।

টিম লিডার রাজস্ব কর্মকর্তা মোহাম্মদ নিজাম উদ্দিন এর নেতৃত্বে কোম্পানীগঞ্জের দুর্গম ও ঝুকিঁপূর্ণ এলাকায় অভিযান চালিয়ে দুই টন চা আটক করা হয়। এসব পণ্য শুল্ক ফাকি দিয়ে চোরচালানের মাধ্যমে আনা হয়েছিলো। অভিযানের বিষয়ে টের পেয়ে চোরাকারবারিরা চা ফেলে পালিয়ে যায়।

পরে পরিত্যক্ত স্থান হতে মালিকবিহীন ০২ (দুই) টন চা পাতা আটক করা হয়। যার মূল্য প্রায় ১৬ লাখ টাকা। আটককৃত মালামাল বর্তমানে কুমিল্লা বিভাগীয় শুল্ক গুদাম সংরক্ষিত আছে। এ ঘটনায় দি কাস্টমস এ্যাক্ট, ১৯৬৯ এর আওতায় মামলা দায়ের প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানা গেছে।

রাজস্ব কর্মকর্তা মোহাম্মদ নিজাম উদ্দিন বলেন, অতিক্রম নয় ব্যতিক্রম এরকম ব্যতিক্রমী প্রত্যয় নিয়ে কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট, কুমিল্লায় দায়িত্ব গ্রহণ করেন কমিশনার মোহাম্মদ বেলাল হোসাইন চৌধুরী। কমিশনার মহোদয়ের গোপন সংবাদ, প্রত্যক্ষ তত্বাবধান, সদয় এবং সার্বিক নির্দেশনায় আমরা অভিযানে সফলতা লাভ করি। অভিযানে সহায়তা করার জন্য প্রথমে বিজিবিকে অনুরোধ করা হয়। তাদের সীমা ৮ কিলোমিটার অতিক্রম হওয়ার কারণে তারা যেতে অপারগতা প্রকাশ করেন। পরবর্তীতে র‌্যাব ও আনসারকে অনুরোধ করা হলে তারাও রাতের অভিযানে অংশ নিতে অপারগতা প্রকাশ করে।

অবশেষে পুলিশ সুপার, কুমিল্লা মহোদয়ের আন্তরিক সহযোগিতায় কুমিল্লার রিজার্ভ পুলিশ ফোর্স এর পাঁচ জন সদস্যসহ ও আমাদের প্রিভেন্টিভ টিম কর্তৃক অভিযান পরিচালনা করে সফলতা অর্জন করি।

এজন্য কমিশনার মহোদয় আন্তরিকভাবে কুমিল্লার পুলিশ সুপার কে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছেন।

আলোকিত কাস্টমস, আলোকিত বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে একইসাথে কর ফাঁকি রোধে এবং সরকারের যথাযথ রাজস্ব সুরক্ষার জন্য সকলের সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।

আরো পড়ুন