কুমিল্লা ডায়াবেটিক হাসপাতাল-স্টেশন সড়ক, ৭৮৬ মিটারে যত ভোগান্তি

ডেস্ক রিপোর্টঃ সড়কটির দৈর্ঘ্য ৭৮৬ মিটার। এটুকু অংশে তৈরি হয়েছে শতাধিক গর্ত। নিচু হওয়ায় সামান্য বৃষ্টিতে সড়কটিতে পানি জমে যায়। পানি নামার পথও তেমন নেই। ফলে পচা গন্ধে অতিষ্ঠ আশপাশের বাসিন্দা ও পথচারীরা। এটি বাগিচাগাঁও ডায়াবেটিক হাসপাতাল-রেলস্টেশন সড়ক।

বাগিচাগাঁও এলাকাবাসী বলছেন, দুই বছর আগে সড়কটি মেরামত করা হলেও জলাবদ্ধতার কারণে তা টেকসই হচ্ছে না। এ জন্য পরিকল্পনা করে কাজ করতে হবে। সড়ক ও নালা উঁচু করতে হবে। সড়কটি সরু হওয়ায় একসঙ্গে দুটি যানবাহন আসা-যাওয়া করতে বেগ পেতে হয়। এটি প্রশস্তও করতে হবে।

সড়কটি কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের ৯ নম্বর ওয়ার্ডে অবস্থিত। এর দুধার জনবসতিতে ঠাসা। এ সড়ক ব্যবহার করে কুমিল্লা রেলস্টেশন, বিআরটিসির বাস ডিপো, ডায়াবেটিক হাসপাতাল, ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজের ডিগ্রি শাখার ক্যাম্পাস, পুলিশ লাইনস প্রাথমিক ও উচ্চবিদ্যালয়, বাগিচাগাঁও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও বাদশা মিয়ার বাজারে প্রতিদিন কয়েক শ যানবাহন আসা-যাওয়া করে।

গতকাল সরেজমিনে দেখা যায়, পশ্চিম বাগিচাগাঁও স্টেশন সড়কের সবুজ রেস্টহাউসের অদূরে ইউনুস ফার্নিচার মার্ট, রাসেল ইলেকট্রনিকস, জ্যোতি সেলুন ও লাবণ্য স্টোরের সামনে পিচ ও খোয়া উঠে গেছে। সেখানে গর্তের মধ্যে পানি ও কাদা জমে আছে। রহমত মঞ্জিল ও আফছার মঞ্জিলের বিপরীত পাশে সড়কটি একেবারেই সরু। এখান দিয়ে দুটি যানবাহন একসঙ্গে দুই দিকে আসা-যাওয়া করতে পারে না। নালার ওপর গাড়ির এক চাকা তুলে দিয়ে কষ্ট করে চালকদের পার হতে হচ্ছে।

পশ্চিম বাগিচাগাঁও এলাকার বাসিন্দা খোরশেদ আলম বলেন, সড়কটি একেবারেই সরু। এর প্রস্থ বাড়ানোর পাশাপাশি উঁচু করা দরকার। বড় বরাদ্দ নিয়ে টেকসই কাজ করলে সড়ক টিকবে। অন্যথায় কয়েক মাস পর এই কাজ টিকবে না।

একই এলাকার ড্রিমল্যান্ড পার্ক বাসা ও মাস্টার ভিলার উল্টো দিকের অংশে নালার পানি উপচে সড়কের মধ্যে জমে আছে। সেখানে পচা গন্ধ তৈরি হয়েছে। জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইউসুফ জামিলের বাসার সামনের অংশেও পানি জমে আছে। ফাতেমা জামান স্মৃতি নীড় বাসার সামনে কয়েকটি গর্ত। ঝুমা স্টিলের দোকান, বাগিচাগাঁও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ঢোকার পথে পানি থইথই করছে। হাজী সিরাজুল ইসলাম সড়কের প্রবেশদ্বারে, কুহেলিকা বাসা, চুনি ভিলা, আল্লাহর দান, উইন্ড কনভেনশন সেন্টার, ইসলামিয়া হোটেল, ডায়াবেটিক হাসপাতালের লাগোয়া অংশে, মুরাদনগর ফার্মেসি, মিউনিক অপটিকস ও ওয়ান্ডারফুল স্টাইল সেলুন এলাকায় বড় ও ছোট আকারের কয়েক শ গর্ত।

স্থানীয় বাসিন্দা আশিকুর রহমান বলেন, এই সড়কের পাশেই কুমিল্লা ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স কার্যালয়। কোথাও আগুন লাগলে এই পথ ব্যবহার করে দমকল বাহিনীর সদস্যদের যানবাহন নিয়ে যেতে হয়। এখানে রয়েছে কর্মসংস্থান ও জনশক্তি অফিস। তাই এই সড়কের প্রতি নজরদারি বাড়াতে হবে সিটি করপোরেশনকে।

জানতে চাইলে সিটি করপোরেশনের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আবু সায়েম ভূঁইয়া বলেন, কুমিল্লা সিটি করপোরেশন রাস্তা, ড্রেন নির্মাণ ও সংস্কারকরণ প্রকল্পের আওতায় এই সড়কের কাজ হবে। ছয়টি প্যাকেজে ৪৫ কোটি টাকা ব্যয়ে নগরে কাজ হবে। এর মধ্যে দ্বিতীয় প্যাকেজে এর কাজ হবে। সড়কটির দৈর্ঘ্য ৭৮৬ মিটার। প্রস্থ ৪ দশমিক ৭৫ মিটার। যানজট ঠেকাতে সীমিত জায়গার মধ্যে সিটি করপোরেশন রাস্তা ও নালা মিলিয়ে পাকা করবে। চলতি অর্থবছরেই কাজ ধরা ও শেষ করা হবে। তখন নগরবাসীর ভোগান্তি কমে যাবে।

সূত্রঃ প্রথম আলো

আরো পড়ুন