কুমিল্লা নগরীতে ৪৭২ অবৈধ ভবন চিহ্নিত, শিগগিরই অভিযান

কুমিল্লার সিটি করপোরেশেনের কান্দিরপাড় দীপিকা সিনেমা হলের বিপরীতে অবস্থিত কাজী টাওয়ার। কুমিল্লা নগরীর প্রাণকেন্দ্রে এ ভবনটি স্থাপিত হতে যাচ্ছে সিটি করপোরেশনের একাধিক নির্দেশনা উপেক্ষা করে।

কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের দেয়া শর্তানুসারে কোনো ভবনের নির্মাণ কাজ পুরোপুরি শেষ না করে ভাড়া দেয়া যাবে না। অথচ কাজী টাওয়ার সে নির্দেশনা বাস্তবায়ন করেনি।

সিটি করপোরেশনের আরেকটি নির্দেশনা হলো- সুউচ্চ ভবন তৈরির ক্ষেত্রে ভবনের সামনে যথেষ্ট পরিমাণ জায়গা খালি রাখতে হবে। কিন্তু কাজী টাওয়ারে সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, এর সামনে যথেষ্ট পরিমাণ খালি জায়গা রাখাতো দূরের কথা, বরং কাজী টাওয়ার ভবনটি চলে এসেছে ফুটপাতের ওপরে।

এ বিষয়ে কাজী কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলতে কাজী টাওয়ারের অফিসিয়াল নম্বরে একাধিকবার চেষ্টা করে কাউকে পাওয়া যায়নি। শুধু কাজী টাওয়ার নয়, কুমিল্লা সিটি করপোরেশনে নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে গড়ে উঠেছে এমন অসংখ্য ভবন। কাজী টাওয়ার তার একটি মাত্র।

কুমিল্লা সিটি করপোরেশন এ পর্যন্ত ৪৭২টি বহুতল ভবন চিহ্নিত করেছে। যারা সিটি করপোরেশনের দেয়া নিয়ম অনুসরণ করে ভবন তৈরি করেনি। সম্প্রতি এ তালিকা হালনাগাদের কাজ চলছে। হালনাগাদ শেষ হলে এর সংখ্যা ৫০০ অতিক্রম করবে বলে জানিয়েছেন কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের মেয়র মনিরুল হক সাক্কু। আর গুরুতর অনিয়ম না করলেও গুটিকয়েক ভবন ছাড়া কুমিল্লার বেশিরভাগ ভবন সিটি করপোরেশনের নকশা বহির্ভূত নির্মাণ হয়েছে বলে জানিয়েছেন সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী প্রকৌশলী আবু সায়েম ভূঁইয়া।

কুমিল্লা সিটি করপোরেশন সূত্রমতে, কয়েক ধরনের ভবনকে নকশা বহির্ভূতভাবে স্থাপিত হয়েছে বলে ধরা হয়। অনুমোদন ও পরিকল্পনা ছাড়া ভবন তৈরি; স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর করে প্রয়োজনীয় জায়গা ছাড়ার কথা বলেও তা না মানা ও জায়গা না ছেড়ে অধিক উচ্চতার ভবন তৈরি; যত তলা বিশিষ্ট ভবন তৈরির কথা, তার চেয়ে বেশি তলা বিশিষ্ট ভবন তৈরি; ভবন নির্মাণের কাজ শেষ না করে অফিস, শোরুম ও গ্যারেজ হিসেবে ভাড়া দেয়া হলে তা সিটি করপোরেশনের নকশা বহির্ভূত হিসেবে ধরা হয়।

কুমিল্লার সিটি মেয়র মনিরুল হক সাক্কু জানান, নকশা বহির্ভূতভাবে তৈরি ভবনগুলো চিহ্নিত করা হচ্ছে। আগামী ৯ মার্চ কুমিল্লা সদর আসনের এমপি বীর মুক্তিযোদ্ধা হাজী আ.ক.ম বাহাউদ্দিন বাহার, কুমিল্লার ডিসি আবুল ফজল মীর, সিটি করপোরেশনের পরিকল্পনা কমিটি, পিডব্লিউটিএ ও এলজিইডির একটি বৈঠক হবে। সেদিন নির্ধারিত হবে, ঠিক কী উপায়ে এসব ভবন মালিকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা যায়। এরইমধ্যে সাতটি ভবনের বিদ্যুৎ ও গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে।

সূত্রঃ ডেইলি বাংলাদেশ

আরো পড়ুন