কুমিল্লা নগরীর গুরুত্বপূর্ণ অনেক জায়গা, সিটিতে আছে করপোরেশনে নেই!

ডেস্ক রিপোর্টঃ নগরীর গুরুত্বপূর্ণ অনেক স্থাপনা ও এলাকা সিটি করপোরেশনের বাইরে রয়েছে। সেগুলো হচ্ছে- কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজ ডিগ্রি শাখা, শাসনগাছা বাসটার্মিনাল, রেলস্টেশন, কুমিল্লা মেডিকেল হাসপাতাল ও চাঁন্দপুর। সমগ্র সিটি করপোরেশনের বর্তমান এলাকা ৫৩.০৪ বর্গকিলোমিটারের সঙ্গে ও তার পার্শ্ববর্তী ৯৬.৯৬ বর্গকিলোমিটার প্রস্তাবিত এলাকা নির্দিষ্ট করা হয়েছে

শহরের ভিতরের অনেক গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা। অথচ সেগুলো সিটি করপোরেশনের আওতায় নেই। কুমিল্লা সিটি করপোরেশন ঘোষণার পর সে সব এলাকা করপোরেশনের আওতাভুক্ত না হওয়ায় নাগরিক সুবিধার আওতায় আসতে পারেনি। এতে অসংখ্য মানুষ নাগরিক সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। কর পাচ্ছে না সিটি করপোরেশন। ২০১২ সালে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে আয়তন বৃদ্ধির আবেদন জানানো হলেও ৭ বছরে মন্ত্রণালয় থেকে সিদ্ধান্ত আসেনি।
নগরীর গুরুত্বপূর্ণ অনেক স্থাপনা ও এলাকা সিটি করপোরেশনের বাইরে রয়েছে। সেগুলো হচ্ছে- কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজ ডিগ্রি শাখা, শাসনগাছা বাসটার্মিনাল, রেলস্টেশন, কুমিল্লা মেডিকেল হাসপাতাল ও চাঁন্দপুর এলাকা। সমগ্র সিটি করপোরেশনের বর্তমান এলাকা ৫৩.০৪ বর্গকিলোমিটারের সঙ্গে ও তার পার্শ্ববর্তী ৯৬.৯৬ বর্গকিলোমিটার প্রস্তাবিত এলাকা নির্দিষ্ট করা হয়েছে। প্রস্তাবিত এলাকা বর্তমান এলাকার সঙ্গে সংযুক্ত হলে কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের আয়তন হবে ১৫০ বর্গকিলোমিটার। ২০১১ সালের ১০ জুলাই কুমিল্লা পৌরসভার ১৮টি ওয়ার্ড এবং পাশের কুমিল্ল­া সদর দক্ষিণ পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ড নিয়ে কুমিল্ল­া সিটি করপোরেশন গঠন করা হয়।

নারী সংগঠক ইয়াসমিন রীমার বাসা নগরীর শাসনগাছায়। তিনি বলেন, শাসনগাছা বাসটার্মিনালসহ আবাসিক এলাকা নগরীর গুরুত্বপূর্ণ এলাকা। তবে সিটি করপোরেশনের বাইরে হওয়ায় এই এলাকার বাসিন্দারা জলাবদ্ধতা ও আবর্জনা অপসারণের সমস্যায় ভুগছে। নগরীর পশ্চিম অংশের বাসিন্দা কামাল হোসেন বলেন, কুমিল্লা সদর উপজেলার উত্তর ও দক্ষিণ দুর্গাপুর ইউনিয়নের অনেক এলাকা সিটি করপোরেশনের আওতায় আনা উচিত। এখানে অনেক গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা রয়েছে। এছাড়া সিটি করপোরেশন ও ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী হওয়ায় অনেক এলাকার রাস্তা সংস্কারের কাজও আটকে থাকে। সচেতন নাগরিক কমিটি কুমিল্লার সভাপতি বদরুল হুদা জেনু বলেন, আয়তন কম থাকায় নগরীতে এখন ঘিঞ্জি পরিবেশ বিরাজ করছে। কিছুদিনের মধ্যে কুমিল্লা বিভাগ হচ্ছে, বিভাগের কাজের সুবিধার্থে নগরীর আয়তন আরও বাড়ানো প্রয়োজন।

কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের মেয়র মনিরুল হক সাক্কু বলেন, কুমিল্লা সিটি করপোরেশনকে পরিকল্পিতভাবে গড়ে তোলার জন্য আয়তন বাড়ানোর পরিকল্পনা করা হয়েছে। দ্বিগুণ আয়তন বাড়ানোর বিষয়ে মন্ত্রণালয়ে আবেদন জানানো হয়েছে।

সূত্রঃ বিডি প্রতিদিন

আরো পড়ুন