কুমিল্লা নিমসার বাজারে সরকারী ইজারার বকেয়া কোটি টাকা !

মো.জাকির হোসেনঃ আগামী মাসেই শেষ হবে কুমিল্লার নিমসার কাঁচা বাজারের ইজারার মেয়াদ। তবে মেয়াদ শেষে এখনো বকেয়া রয়েছে সরকারী ইজারার কোটি টাকা। ইজারা মেয়াদ শেষে এসেও সরকারী রাজস্বের এত টাকা বকেয়া আদায়ের প্রশাসনিক কোন দূর্বলতা রয়েছে কিনা তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।

সূত্র জানায়, গত বছরের কোটি টাকা বকেয়া থাকার পরও বাজারের রাজত্ব ধরে রাখতে নতুন ইজারার কার্যক্রম স্থগিত চেয়ে আদালতে রীট করে মামুন।

জানা যায়, ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারী মাসে নিমসার দৈনিক কাঁচা বাজারটি প্রায় ২ কোটি ৭৩ লাখ টাকায় ইজারা দেয়া হয় স্থানীয় ইজারাদার আব্দুল্লাহ আল মামুনকে। এককালীন ইজারার টাকা পরিশোধের নিয়ম থাকলেও ওই সময় মামুন কৌশলে অল্প পরিমানের টাকা পরিশোধ করে বাজারের ইজারা তুলতে থাকে।

উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বেশ কয়েকটি নোটিশ দেয়ার পরও মামুন রাজস্বের বকেয়া টাকা পরিশোধ করেনি। পরবর্তীতে মামুন প্রতিপক্ষের মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে বলে টাকা পরিশোধের সময় চেয়ে উপজেলা প্রশাসনের কাছে আবেদন করে। এদিকে বছর শেষ হয়ে এলেও এত টাকা বকেয়া রয়েছে কেন তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অন্য ইজারাদাররা।

বছর শেষে ১৪২৭ বাংলা সনের জন্য নতুন ইজারা ঘোষনা করে উপজেলা প্রশাসন, সে অনুযায়ী দরপত্র ক্রয় করে অন্যান্য ইজারাদারগন। গত ২৪ ফেব্রুয়ারী সোমবার বুড়িচং উপজেলা প্রশাসনের কার্যালয়ে বাজারের দরপত্র খোলার দিন ধার্য্য ছিলো। সে অনুযায়ী নিমসার বাজারের দরপত্র খোলা হয়। দরপত্রে দু’জন ইজারাদারের মধ্যে একজন সর্বোচ্চ ৫ কোটি ৭১ লাখ ও ২য় ৫ কোটি ৫৩ লাখ টাকা দর দরপত্র আহ্বান করেন। এর পরপর বর্তমান ইজারাদার মামুন নিমসার বাজার নিয়ে আদালতের একটি নির্দেশনা দেখান। নির্দেশনার প্রেক্ষিতে নিমসার বাজারের ইজারার কার্যক্রম সাময়িক বন্ধ রাখা হয়।

আদালতের নির্দেশনার বিষয়ে বুড়িচং উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা ইমরুল হাসান বলেন, দরপত্র খোলার দিন বর্তমান ইজারাদার মামুন আদালতের একটি নির্দেশনা দেখান। নির্দেশনায় আগামী ৩ মাসের জন্য ইজারা কার্যক্রম বন্ধ রাখার কথা বলা হয়েছে। তবে আদালতের নির্দেশনাটি অফিসিয়ালি আমাদের কাছে আসেনি বিধায় আমরা এর জবাব দেইনি। অফিসিয়ালি আমাদের কাছে নির্দেশনা আসার পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা এবং এর জবাব দেয়া হবে।

রাজস্ব বকেয়ার বিষয়ে তিনি জানান, কত টাকা বকেয়া রয়েছে তা এখন সুনির্দিষ্ট করে বলতে পারবো না। এ বিষয়ে উপজেলার সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা বলতে পারবেন।

বছর শেষে এত টাকা কেন বকেয়া রয়েছে এ প্রশ্নের জবাবে তিনি আরো জানান, ইজারা প্রাপ্ত আব্দুল্লাহ আল মামুন মাসিক রাজস্ব সভায় হাজির হয়ে জানিয়েছেন সে অন্য ইজারাদারদের কারনে আর্থিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। তাই সে সময় চেয়েছে। সভায় সর্বসম্মতিক্রমে সময় দেয়া হয়েছে।

বকেয়া টাকা আদায়ে প্রশাসনিক পদক্ষেপ কি হতে পারে এ বিষয়ে নির্বাহী কর্মকর্তা ইমরুল হাসান জানান, আমরা তাকে সময় দিয়েছি । এখন যথা সময়ে ইজারার বকেয়া টাকা পরিশোধ না করলে পিডি এ্যাক্ট অনুযায়ী তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হবে।

আরো পড়ুন