কুমিল্লা মুরাদনগরে ল্যাংটা পীরের যত ভন্ডামী!

ডেস্ক রিপোর্টঃ কুমিল্লা মুরানগর উপজেলার যাহাপুর ইউনিয়নের শশুন্ডা নয়কান্দি বেড়িবাঁধ গ্রামে ল্যাংটা পীর বাবার আর্বিভাব হওয়ার তথ্য পাওয়া গিয়েছে। শুশুন্ডা নয়াকান্দি বেড়িবাঁধ গ্রামের মৃত.মুন্সি টেংগু মিয়ার পুত্র বৃদ্ধ ল্যাংটা ফকির পীর বাবা নামে পরিচিত নুরুল ইসলাম (৬০) নিজেকে পীর বা ল্যাংটা বাবা বলে দাবি করে আসছেন।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়- ল্যাংটা পীর বাবা নুরুল ইসলাম এর বিলাসবহুল বিল্ডিংটিতে প্রবেশ করলেই মাজারের ন্যায় আস্তানা করে আসন পেতে বসে থাকেন ভন্ড বাবা পীর নুরুল ইসলাম। ভন্ড ল্যাংটা বাবা পীর নুরুর ইসলামের আসন্তানায় বিভিন্ন এলাকা হতে আগত যুবতী নারী পুরুষের সমাগমের চিত্র দেখা যায়। ভন্ড পীর ল্যাংটা বাবা নুরুল ইসলামের কাছে বিভিন্ন এলাকার নারী পুরুষ তাদের রোগ মুক্তির জন্য আসে বলে জানা যায়। নাম প্রকাশে অনুচ্ছুক এক নারীর সাথে কথা বললে তিনি জানান- আমার ব্যক্তিগত সমস্যা ও আমার ছেলের রোগমুক্তির জন্য পীর ল্যাংটা বাবা’র আস্তানায় সব সময় আসি, বাবাই সব রোগের সমাধান দিবে। মুরাদনগর শশুন্ডা গ্রামের ভন্ড প্রতারক নুরুল ইসলাম শুধুই ভন্ড পীর বা ল্যাংটা বাবার মধ্যেই সীমাবদ্ধ নন, তাহার বাড়ির আস্তানার মধ্যে চলে নারীদের দিয়ে দেহ ব্যবসা, মাদক বা গাঁজা সেবনকারীদের একমাত্র সেবন আবাসস্থল , রাত দিন জুয়ারীদের জন্য চলে রমরমা জুয়ার ব্যবসা।

শুক্রবার ও মঙ্গলবার সকাল ৮টা হতে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত চলে নারী ও পুরুষদের নাচের অনুষ্ঠান। পুরোদমে ঢোল বাঝিয়ে চলে গান বাঁজনা। নুরুল ইসলাম ভন্ডামী করে নিজেকে ল্যাংটা বাবা পীর বলে দাবি করে বিভিন্ন নারী ও পুরুষদের হতে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

স্থানীয় সাধারন মানুষের সাথে কথা বলে জানা যায়- মুরাদনগর উপজেলার কোম্পানিগঞ্জ শিশু বিদ্যা নিকেতনের শিক্ষিকা রেহেনা বেগম ভন্ড পীর ল্যাংটা বাবা নুরুল ইসলামের কাছে চিকিৎসার জন্য যায়। এক পর্যায়ে ভন্ড বাবা শিক্ষিকা রেহেনা বেগমকে তাহার মুরিদ বানিয়ে শর্ত দেয় যে, কখনোই যেন স্বামীর সংসারে ফিরে না যায়। তাহলেই সকল বিপদ হতে মুক্তি পাবেন বলে জানায় প্রতারক ভন্ড ল্যাংটা বাবা। ল্যাংটা বাবার কথা অনুযায়ী আদো পর্যন্ত শিক্ষিকা রেহেনা বেগম তাহার স্বামীর কাছে আর ফিরে যাননি, ল্যাংটা বাবার আস্তানাটি যেন তাহার স্বামীর ঘর হয়ে গেল। এমন অসংখ্য নারীদের কাহিনী যেন তৈরি করছে এই ভন্ড প্রতারক ল্যাংটা বাবা নামে পরিচিত পীর নুরুল ইসলাম। আমাদের প্রতিবেদক তাহার তথ্য চিত্র সংগ্রহ করতে বিভিন্ন বাঁধা বিপত্তির মাঝেও পরতে হয়েছে। ভন্ড প্রতারক ল্যাংটা বাবা নুরুল ইসলামের আস্তানার আসে পাশে তাহার ভাড়াটে কিছু তরুন রয়েছে যাদের সাহসীকতার মাধ্যমেই ল্যাংটা বাবা বিভিন্ন নারীদের সাথে কৌশল অবলম্বন করে বিভিন্ন অনৈতিক কাজ সম্পূর্ণসহ মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। ল্যাংটা বাবা ভন্ড পীর নুরুল ইসলাম অবৈধ ভাবে সাধারন মানুষের রোগ মুক্তির সমাধান করার কথা বলে হাতিয়ে নিচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকা। যাহার মাধ্যমে ল্যাংটা বাবা নুরুল ইসলাম নির্মিত করেছে বিলাস বহুল বাড়ি। ল্যাংটা বাবা ভন্ড পীর নুরুল ইসলামের প্রতারনার বিষয়ে তাহার সাথে কথা বললে তিনি জানান- আমাকে সবাই ল্যাংটা বাবা পীর হিসেবে জানেন, আমি রোগের সমাধান করি না। উচিলা মাত্র আমি, তবে যাহার যেটা সাধ্য হয় তা আমাকে দান করে থাকে।

ল্যাংটা বাবাকে ইসলাম ধর্মের কিছু প্রশ্ন করলে সে কোন প্রকার যথার্থ উত্তর দিতে পারেননি বরং ল্যাংটা বাবা বলেন, নামায রোজার কোন প্রয়োজন নেই। তিনি আরো বলেন-আমি কুমিল্লা জেলা প্রশাসক কে অবগত করে এখানে আস্তানা করেছি। তবে ল্যাংটা বাবা জেলা প্রশাসক মহোদয়ের কোন প্রকার অনুমোদিত কাগজপত্রাদি দেখাতে পারেননি।

বিষয়টি সংশ্লিষ্ট মুরাদনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মঞ্জুর ইসলামকে জানালে তিনি জানান-থানার এসআই শওকত ভন্ড প্রতারক ল্যাংটা বাবা নুরুল ইসলামের আস্তানা পরিদর্শন করেছেন, ল্যাংটা বাবা বা কথিত পীর নুরুল ইসলামকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে যে তাহার আস্তানায় কোন প্রকার যুবতী নারী ও মেয়েদের সমাগম হতে পারবে না। যদি এ ধরনের পরিপন্তি মৌলক কর্মকান্ড ঘটায় তাহলে তাহার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হইবে।

আরো পড়ুন