কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ড মডেল কলেজে পুরস্কার বিতরনী অনুষ্ঠান

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের অতিরিক্ত সচিব চৌধুরী মুফাদ আহমদ বলেছেন, শিশু শিক্ষার্থীরা হচ্ছে দেবদূত। পরিবেশ ও সমাজের অসংঘতির কারণে দিন দিন তাদের ডানাগুলো ছোট হয়ে যায়। বই পড়ে ভালো ফল অর্জন করা তাদের একমাত্র লক্ষ্য হতে পারে না। তাদের আনন্দের সাথে সত্যিকারের জ্ঞান অর্জনে আত্মপ্রত্যয়ী করে তুলতে হবে। তাদের ফার্মের মুরগী বানানো যাবে না। জিপিএ-৫ এর চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মানুষ হিসেবে গড়ে উঠা। সেই কাজটির দায়িত্বও প্রতিষ্ঠানকে নিতে হবে। কোন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থী যত ভালো ওই প্রতিষ্ঠানটি ততো ভালো।

গতকাল শনিবার কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ড সরকারি মডেল কলেজের বার্ষিক ক্রীড়া,সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগীতার পুরস্কার বিতরনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি’র বক্তব্যে কলেজ গভর্নিং বডির সভাপতি ও শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের অতিরিক্ত সচিব চৌধুরী মুফাদ আহমদ এসব কথা বলেন।

চৌধুরী মুফাদ আহমদ শিক্ষাথীদের উদ্দেশ্যে আরো বলেন,শুধু পাঠ্যবই মুখস্ত করে বেশি দূর এগুনো যায় না। সব ধরনের বই পড়তে হবে। নানা বিষয়ে জ্ঞান থাকতে হবে। পড়ার মধ্যে আনন্দ থাকতে হবে। আগ্রহ থাকতে হবে। নিজেকে ছোট ভাববে না। বড় আশা থাকতে হবে। সহ-শিক্ষা কার্যক্রমে অংশ নিতে হবে।

গতকাল সকাল ১০ টায় কলেজ অধ্যক্ষ ড.এ কে এম এমদাদুল হকের সভাপতিত্বে কলেজ মাঠে আয়োজিত ওই অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ড চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর মো.আবদুস ছালাম। এতে বক্তব্য রাখেন কুমিল্লা সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মো.রুহুল আমিন ভূইয়া,কুমিল্লা সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর সৈয়দা বিলকিস আরা বেগম, শিক্ষক পরিষদের সম্পাদক আবু নায়ীম আল মামুন, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক কমিটির আহবায়ক মোহাম্মদ সোহেল কবীর ও দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রী শামীমা মাহবুব। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মায়মুন শরীফ রায়হান।

বার্ষিক ক্রীড়া,সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগীতার পুরস্কার বিতরনী উপলক্ষে কলেজ প্রাঙ্গনকে সাজানো হয় বর্ণীল সাজে। সাংস্কৃতিক পর্বে কলেজের শিক্ষার্থীদের অংশ গ্রহনে সঙ্গীত ,নৃত্যাভিনয় ও কৌতুক অভিনয় অতিথি সহ দর্শকদের মুগ্ধ করে। আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শেষে বিভিন্ন প্রতিযোগীতায় বিজয়ী প্রায় তিন’শ শিক্ষার্থীর হাতে পুরস্কার তুলে দেন অতিথিরা।

আরো পড়ুন