কুমিল্লা সীমান্তে রমরমা মাদক ব্যবসা !

ডেস্ক রিপোর্টঃ কুমিল্লা সীমান্তে এখন রমরমা মাদকের হাট। সারা দেশের ন্যায় কুমিল্লায় মাদকের বিরুদ্ধে পুলিশের কঠোর অভিযানের ফলে জেলার অধিকাংশ মাদকের স্পট বন্ধ হয়ে যাওয়ার সুযোগ এখন কাজে লাগাচ্ছে সীমান্তবর্তী দুই দেশের মাদক ব্যবসায়ীরা। মাদকসেবী এখন মাদক সেবন করতে মোটরসাইকেল এবং সিএনজিসহ নানা প্রকার যানবাহনে ছুটছে কুমিল্লা সীমান্তে। প্রয়োজনীয় আলামত না থাকায় অধিকাংশ মাদক সেবনকারীদের আটক করতে পারছে না সীমান্তরক্ষা বাহিনী বিজিবিসহ অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, সারা দেশে মাদকের বিরুদ্ধে অভিযানের ফলে এখন আগের মতো যত্রতত্র আর মিলছে না মাদক। মাদকে সয়লাব ছিল যেসব স্পট সেখানে গিয়ে কাক্সিক্ষত মাদক না পেয়ে কুমিল্লাসহ আশপাশের জেলার মাদকসেবীরা এখন কুমিল্লা সীমান্তে এসে ভিড় জমাচ্ছে। সীমান্ত রক্ষাবাহিনী বিজিবির দুর্বল নজরদারির সুযোগে এসব মাদক সেবনকারী কুমিল্লা সীমান্তে এসে মাদক সেবন করছে।

সূত্র জানায়, সারা দেশে মাদকের সংকটের সুযোগে সীমান্তে দুই দেশের মাদক ব্যবসায়ীরা এখন রমরমা মাদক ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। বিজিবি এবং বিএসএফের টহলের ফাঁকে ফাঁকে এসব মাদক ব্যবসায়ী দুই দেশে আনাগোনা করছে এবং মাদক বেচাকেনা চালিয়ে যাচ্ছে। এ ছাড়া পাহাড়ের গহিন মেঠোপথ ব্যবহার করে দুই দেশের মাদক ব্যবসায়ীরা মাদকের কারবার চালিয়ে যাচ্ছে। সীমান্তবর্তী বাড়িঘরগুলো এসব মাদক ব্যবসার কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে দিন-দুপুরে মাদক বহনের জন্য সীমান্তের গ্রামগুলোর শিশুদেরও ব্যবহার করা হচ্ছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কুমিল্লা সীমান্তের বিভিন্ন এলাকায় চিহ্নিত ‘স্পট’গুলোতে সন্ধ্যার পরই পাল্টাতে থাকে চিত্র। রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এসব এলাকায় বাড়তে থাকে মাদকের বহর। সীমান্তের ওপাড় থেকে এপাড়ে মাদক চালানের অন্যতম ‘সহায়কের ভূমিকা’ পালন করে ‘লাইনম্যানরা’। সীমান্তের যেসব অংশে কাঁটাতারের বেড়া নেই- অরক্ষিত এসব জায়গা দিয়ে অনায়াসেই মাদক ঢুকছে কুমিল্লায়। বিশেষ করে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে মোটরসাইকেলসহ বিভিন্ন বাহনে কুমিল্লা সীমান্তে এসে মাদক সেবনকারীদের মাদক সেবন এখন চোখে পড়ার মতো।

বিজিবি সূত্র জানায়, ঈদের দিন কুমিল্লাসহ আশপাশের জেলা থেকে ১০টি মোটর সাইকেলযোগে বিভিন্ন বয়সের ২৮ জন তরুণ ও যুবক মাদক সেবন করতে কুমিল্লা সীমান্তে আসে এবং মাদক সেবন করে। এ সময় বিজিবির অভিযানে সীমান্তের মীর আলী চৌধুরী এলাকা থেকে তারা আটক হয়। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে তাদের বিভিন্ন মেয়াদে সাজা ও জরিমানা করা হয়। বিষয়ে কুমিল্লাস্থ ১০ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল খন্দকার গোলাম সারোয়ার জানান, সীমান্তে মাদকের ব্যবসা এবং মাদকসেবীদের সেবন রোধে বিজিবি সদস্যরা তৎপর রয়েছে। এসব মাদক কারবারি এবং সেবনকারীদের আটক করতে সীমান্তের বিভিন্ন পয়েন্টে প্রতিদিনই অভিযান চালানো হচ্ছে।

সূত্রঃ যুগান্তর

আরো পড়ুন