কেন পড়বেন মার্কেটিং

গোলাম কিবরিয়াঃ বর্তমান যুগের চাহিদাসম্পন্ন বিষয় হয়ে উঠেছে মার্কেটিং।চাহিদার সাথে তাল মিলিয়ে শিক্ষার্থীরা কেন বেছে নিচ্ছেন মার্কেটিং,সে কথাই জানাচ্ছেন কজন শিক্ষার্থী।

কলেজে পড়ার সময় থেকেই মার্কেটিং এ পড়ার ইচ্ছে ছিল। তাই একাদশ শ্রেণীতে যখন বাণিজ্য শাখায় পড়া শুরু করি, তখন থেকে মার্কেটিং বিষয়টি আমার কাছে অনেক আনন্দের।সেই সুবাদে বিভিন্ন কর্পোরেট লিডারদের থেকে জানতে পারি বিবিএ তে ব্যবহারিক বিষয়টা অনেক জরুরি।আর অন্যসব বিভাগের তুলনায় মার্কেটিং এ ব্যবহারিক বা প্রায়োগিক বিষয় এর উপর বেশি গুরুত্ব দেয়া হয়।তাছাড়া মেয়েদের সব জায়গায় সীমাবদ্ধতা থাকলেও মার্কেটিং এ পড়াশোনা করা মেয়েদের চাকরির ক্ষেত্র অনেক বেশি বিস্তৃত। তাই বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার সময় আমার প্রথম পছন্দ ছিলো ‘মার্কেটিং’।

সুমাইয়া তাসকিন প্রিয়া
মার্কেটিং,রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়

বাংলাদেশের অর্থনীতির দিকে তাকালে দেখা যাবে প্রাইভেট সেক্টরগুলোর অবদান বৃহদাংশে।কিন্তু বিভিন্ন অর্থনৈতিক রিপোর্ট পর্যবেক্ষণ করলে দেখা যায় প্রাইভেট সেক্টরগুলোতে দক্ষ জনবলের অভাবে কোটি কোটি টাকা চলে যাচ্ছে বাহিরের দেশগুলোতে। বর্তমানে এই সমস্যা সমাধানে মার্কেটিং বা বিপণন বিশেষ ভূমিকা রাখছে। যার ফলে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানগুলোর ম্যানেজেরিয়াল সেক্টরগুলো এখন তাদের দখলে। যেহেতু মার্কেটিং এ বিজনেস সম্পৃক্ত ব্যবহারিক বিষয়গুলোর উপর বেশি জোর দেওয়া হয়ে থাকে তাই বিবিএ তে মার্কেটিং এর চাহিদা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।

মোহাম্মদ রাজীব
মার্কেটিং, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

ছোটবেলা থেকেই আমার স্বপ্ন কোনো বহুজাতিক কোম্পানিতে কাজ করার। মূলত সেই ইচ্ছাটাকে বাস্তবায়ন করার লক্ষ্যেই মার্কেটিং এ পড়তে আসা। আমি মনে করি ব্যবসায় শিক্ষার প্রতিটি ক্ষেত্র সম্পর্কে জানতে মার্কেটিং পড়ার কোনো বিকল্প নেই।এটি আপনাকে নতুন মানুষ সম্পর্কে জানা এবং তাদের সমস্যার সমাধান খুঁজে পেতে সাহায্য করবে। আর এর পুরোটাই নির্ভর করবে আপনার দক্ষতা এবং ব্যক্তিত্বের উপর।তাই যদি কমিউনিকেশনে ভালো হন এবং চ্যালেঞ্জ নিতে খুব পছন্দ করেন তাহলে মার্কেটিং কে ক্যারিয়ার হিসেবে বেছে নিন।

কাজী শাকিল
মার্কেটিং, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়

আমার পছন্দের ক্ষেত্র হচ্ছে বিপণন বা মার্কেটিং।আমি মনে করি, মানুষকে প্রভাবিত করে কিছু প্রতিষ্ঠিত করতে পারাটা একটি শিল্প; যা শুধু বাজারজাতকরণের মাধ্যমে সম্ভব। আমি চাই মার্কেটিংয়ে ক্যারিয়ার গড়তে। এতে যেমন অত্যাধিক চ্যালেঞ্জ আছে ঠিক তেমনি
আছে নিজের ক্যারিয়ারকে কাঙ্খিত স্থানে নিয়ে যাওয়ার অপূর্ব সুযোগ।এটি আমাকে দুই ধরনের কাজ করতে সাহায্য করবে। প্রথমত উদ্যোক্তা হয়ে নিজের মতো কাজ করতে।দ্বিতীয়ত অন্যের অধীনে চাকরি করতে।যার পুরোটাই নির্ভর করে মানুষকে তথ্য ও সেবা দেওয়ার পাশাপাশি নতুন নতুন সমস্যার সমাধান করা।এ জন্যেই বাংলাদেশে গড়ে উঠেছে প্রচুর সংখ্যক বহুজাতিক কোম্পানি। এইসব কোম্পানিতে পন্য বিপণন ও কোম্পানিগুলো চালনা করতে প্রয়োজন দক্ষ লোকবল।সেজন্য বিবিএ তে’ মার্কেটিং ‘মেজর থাকলে খুব সহজে ভালো চাকুরী পাওয়া সম্ভব।

জহির উদ্দিন
মার্কেটিং,জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়

আরো পড়ুন