‘চা-খরচের ব্যবস্থা নাই, বটগাছে ভোট চাই’-বরুড়ার খোমেনী হুজুর

জহির শান্তঃ কান ঝাঁঝালো মাইকিং কিংবা চারপাশ প্রকম্পিত করা স্লোগান নয়, কেবল বুকে নিজের ছবি সম্বলিত নির্বাচনী পোস্টার ঝুলিয়ে অভিনব প্রচারণায় নেমেছেন কুমিল্লা-৮ (বরুড়া) আসনের সংসদ সদস্য প্রার্থী আবদুল আজিজ খোমেনি। তার ভোট চাওয়ার ধরনটাও চমকে দেয়ার মতো— ‘চা খরচের ব্যবস্থা নাই, বটগাছ মার্কায় ভোট চাই’।

জানা গেছে, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের মনোনীত প্রার্থী খোমেনী হুজুর হিসেবে পরিচিত আবুল ফারাহ্ মো. আবদুল আজিজ খোমেনী বরাবরের মতো এবারও আছেন নির্বাচনী মাঠে।

অভিনব প্রচারণা ও ব্যতিক্রমী ‘স্বকীয়তার’ জন্য কুমিল্লার নির্বাচনী মাঠের ‘পূর্ব পরিচিতি খেলোয়াড়’ খোমেনী হুজুর।

পেশায় মাদ্রাসা শিক্ষক এ প্রার্থী আলোচনায়-কৌতূহলে আছেন এবারও। সোমবার প্রতীক পেয়ে প্রচার শুরুর দিন থেকেই বুকে নিজের পোস্টার ঝুলিয়ে, ‘চা খরচের ব্যবস্থা নাই, বটগাছ মার্কায় ভোট চাই’ স্লোগানে উপস্থিতি জানান দিচ্ছেন নিজস্ব কায়দায়।

কুমিল্লা-৮ সংসদীয় আসনের বিভিন্ন বাজার, দোকান-পাট কিংবা কিছুটা জনসমাগম এলাকায় গিয়ে নিজেই চালাচ্ছেন নিজের প্রচার। ধর্মের বাণী ছেড়ে মন জোগানোর চেষ্টা করছেন জনতার, ভোট চাচ্ছেন দলীয় প্রতীক বটগাছে।

ভোটার-জনতার উদ্দেশ্যে তিনি বেশিরভাগ সময় একটা কথাই বলেন, ‘আমি নির্বাচিত হলে বরুড়ার তলাগ্রামের নিজের জমিতে একটি ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় করবো।’

নির্বাচনী প্রচারণায় খোমেনী হুজুরের উপস্থিতি দেখলেই উৎসুক ভোটার-জনতা ভিড় জমা থাকেন চারপাশে। যদিও ভোটার আগ্রহের এ প্রভাব কখনোই পড়েনি নির্বাচনের ফলাফলে। প্রতিবারই তাঁকে খোয়াতে হয়েছে জামানত।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বরুড়া পৌরসভাধীন সাউদমারা গ্রামের সন্তান খোমেনী ১৯৯৬ সাল থেকেই প্রায় সবক’টি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন।

তারও আগে অংশ নিয়েছেন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে। তবে জয়ের দেখা মেলেনি একবারও।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে বরুড়া প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াছ আহমেদ বলেন, ‘ছোটবেলা থেকেই দেখে আসছি, আবদুল আজিজ খোমেনী সব নির্বাচনেই অংশ নিচ্ছেন। ’৯৬ সাল থেকে সংসদ নির্বাচন শুরু করেছেণ তিনি। তার আগে ইউনিয়ন পরিষদে নির্বাচন করতেন। তিনি সর্বশেষ বরুড়া দেওড়া দক্ষিণ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়েছিলেন গাভী প্রতীক নিয়ে। তবে সেবার শ’দুয়েকের বেশি ভোট বাগাতে পারেননি তিনি।’

আরো পড়ুন