চৌদ্দগ্রামে বাড়ি-ঘরে আগুন, লুটপাট-ভাঙচুর

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে এক পরিবারের বৃদ্ধ, শিশু ও নারীসহ ১০ জনকে আহত করার পর এবার বাড়ি-ঘরে অগ্নিসংযোগ করেছে সন্ত্রাসীরা। শনিবার দুপুরে উপজেলার শ্রীপুর ইউনিয়নের শ্রীপুর গ্রামের দক্ষিণ পাড়ার হাজী মো.জয়নাল আবেদীনের নতুন বাড়িতে। এর আগে ওই সন্ত্রাসীরা হাজী মো.জয়নাল আবেদীনের পুরোনো বাড়িতে হামলা চালিয়ে তাঁর বসত ঘর ভাঙচুর ও ঘরের মালামাল লুটপাট করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ওই সন্ত্রাসীদে ভয়ে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের সদস্যরা বর্তমানে গ্রাম ছাড়া রয়েছে বলেও অভিযোগ রয়েছে।

হাজী মো.জয়নাল আবেদীন, তাঁর ছেলে মো.জামাল উদ্দিনসহ পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ, গত প্রায় তিন বছর আগে মো.জয়নাল আবেদীন তাঁর ভাই মো.হানিফ থেকে বাড়ির ১২ শতক সম্পত্তি ক্রয় করেন। এরপর জয়নালের আরেক ভাই সফিকুর রহমানের পরিবার সেই সম্পত্তি নিজেদের দখলে নিতে মরিয়া হয়ে উঠে। ওই সম্পত্তির জন্য জয়নাল আবেদীনের পরিবারকে হত্যার হুমকিও দেয় সফিকুর রহমানের পরিবারের সদস্যরা। এ ঘটনায় জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে কুমিল্লার আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন জয়নাল। ওই সম্পত্তি নিজেদের দখলে নিতে গত ৮জুলাই জয়নাল আবেদীনের পুরোনো বাড়ি-ঘরে সন্ত্রাসী হামলা চালায় সফিকসহ তার ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসীরা। সর্বশেষ শনিবার দুপুরে ফের ওই সন্ত্রাসীরা হাজী মো.জয়নাল আবেদীনের নতুন বাড়িতে প্রথমে হামলা চালায়। এরপর তিনটি ঘরে অগ্নিসংযোগ করে তারা। এতে ওই তিনটি ঘরে থাকা মালামালসহ ঘরগুলো পুড়ে ছাই হয়ে যায়। খবর পেয়ে চৌদ্দগ্রাম থেকে ফায়ার সার্ভিসের একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রনের চেষ্টা চালায়। তবে এতে শেষ রক্ষা হয়নি।

জয়নাল আবেদীনের অভিযোগ- সফিকুর রহমান, তাঁর ছেলে রাসেল, ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী নাহিদ, শাহাদাত হোসেন, হারুনুর রশিদ, জসিম উদ্দিন, মাইনুদ্দিন, কবির হোসেন, বিল্লাল, আবু তাহের, হেলালসহ ৪০/৫০ জন সন্ত্রাসী প্রথমে গত ৮জুলাই রবিবার বিকেলে আমার বাড়ি ঘরে অর্তকিত হামলা চালায়। ওই সন্ত্রাসীরা প্রথমে কুপিয়ে আমার টিনসেড ঘর এবং ঘরে থাকা আসবাবপত্র তছনছ করে। পরে ঘরে থাকা স্বর্ণালংকার, নগদ টাকাসহ বিভিন্ন মালামাল লুটপাট করে। এক পর্যায়ে ওই সন্ত্রাসীরা আমাকে, আমার ভাই আবদুর রবকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে আহত করাসহ মোট ১০ জনকে আহত করে। এছাড়া শিশুদের মারধর ও নারীদের শ্লীনতাহানির চেষ্টা চালায় তারা। আর ওই সন্ত্রাসীদের নেতৃত্ব দিয়ে সহযোগীতা করেছে একই গ্রামের আরিফুর রহমান, আবদুল গফুর, আবদুল আজিজ. জহিরুল ইসলামসহ কয়েকজন লোক। এ ঘটনার পর থেকে ওই সন্ত্রাসীরা আমার পরিবারের সদস্যদের বাড়িতে প্রবেশ করতে দিচ্ছে না। তাদের ভয়ে আমরা এখন বাড়ি ছাড়া হয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছি। এই অবস্থায় শনিবার আবারো আমার নতুন বাড়ির তিনটি ঘরে আগুন দেয় ওই সন্ত্রাসীরা।

তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করে অভিযুক্ত সফিকুর রহমান বলেন, আমি এই বিষয়ে কিছুই জানি না। কিভাবে ওই বাড়িতে আগুন লেগেছে সেটাও বলতে পারবো না। আমার বিরুদ্ধে করা এসব অভিযোগ মিথ্যা।

গতকাল বিকেলে এই প্রসঙ্গে জানতে চৌদ্দগ্রাম থানার ওসি মো.আবুল ফয়সলের মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।

আরো পড়ুন