জন্মধাত্রী মা‘কে নির্যাতনের অভিযোগে ছোট ছেলের বিরুদ্ধে -থানায় জিডি করেছে হতভাগ্য মা।

কুমিল্লার কোতয়ালী মডেল থানার ফেনুয়া গ্রামের আমিনুরের বিরুদ্ধে জোরপূর্বক দাদী, মা, ভাই,বোন ও এতিম ভাগিনা-ভাগ্নীদের জমি ও দোকান ঘর দখলের চেষ্টা সহ মাকে নির্যাতন করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ২৩/০৯/২০২০ তারিখ বিকালে আমিনুর তার ৬২ বছরের বৃদ্ধা বিধবা মাকে মারা জন্য মায়ের ঘরে হামলা ও ভাংচুর করে । এসময় দরজা বন্ধ থাকায় মা রক্ষা পান। পরবর্তীতে হতভাগ্য মাতা মরিয়ম আক্তার থানায় একটি জিডি করেন । উক্ত জিডিতে তিনি উল্ল্যেখ করেন , তার দুই ছেলে এবং এক মেয়ে জীবিত। এবং ছোট মেয়ে তিনটি সন্তান রেখে মারা যায়। পরবর্তীতে সন্তানগুলোর বাবা ও মারা যাওয়ায় ওরা এখন এতিম। আমিনুর সবার ছোট ছেলে । আমিনুরের বাবা জীবনদশায় বাড়ীর সামনে একটি মার্কেট তৈরি করেন । সেই মার্কেটে ১৩টি দোকান রয়েছে । যা বর্তমান ভাড়া দেয়া অবস্থায় রয়েছে । গত দুই বছর আগে আমিনুরের বাবা মারা যান । এরপর আমিনুর স্থানীয় ভুমি অফিসের যোগসাজসে সেই মার্কেটের ১০টি দোকান দাদী, মা, ভাই, বোন ও এতিম ভাগিনা-ভাগ্নীদের অগোচরে অবৈধ ভাবে বন্টন নামা করিয়া কৌশলে তার স্ত্রী ফেরদৌসী এবং পরবর্তীতে তার সন্তান জোবায়েরের নামে দলিল করিয়া নিয়েছে ।
এর পর তার বিধবা মা মরিয়ম আক্তার এলাকার মুরুব্বীদের নিয়ে বিষয়টি সামাধানের জন্যে কয়েকবার দরবারের আয়োজন করেছে । কিন্তু আমিনুর গ্রাম্য শালিস তোয়াক্কা না করিয়া দোকানগিলো দখলের জন্য মা, ভাই- বোন ও এতিম ভাগিনা – ভাগ্নীদের উপর দৈহিক ও মানসিক অত্যাচার চালাচ্ছে। তার মাতা পৈতিক এই সম্পত্তি আইন অনুযায়ী প্রাপ্য সকলের মাঝে বন্টনের আবেদন জানান । কিন্তু মাদকাসক্ত আমিনুর তার কথায় কর্নপাত না করে প্রায়ই মায়ের উপর অত্যাচার করে।
এমন অবস্থায় মাতা মরিয়ম আক্তার ছোট ছেলে আমিনুরের অত্যাচারে অতিষ্ঠ বলে জানান । সেই তিনি তার জীবন নিয়ে শংকাও প্রকাশ করেছেন । এর আগে তিনি ছোট ছেলের বিচার চেয়ে ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বারের কাছে আবেদন করেছিলেন।
স্থানীয় মেম্বার ঘটনার ব্যাপারে জানান যে, আমিনুল অবৈধভাবে দাদী, মা, ভাই,বোন এবং এতিম ভাগিনা-ভাগ্নীদের সম্পত্তি অবৈধভাবে দখলের জন্য জন্মদাত্রী মায়ের উপরও আক্রমণ চালাতে দ্বিধা করছে না। এবং সে গ্রামের শালিস দরবার কিছুই মানেনা।
গ্রাম বাসীর প্রশ্ন হচ্ছে কিভাবে ভূমি অফিস যাচাই-বাছাই ছাড়া বন্টন নামা ও দলিল সম্পাদন করিয়া দেয়।
মাকে নির্যাতন করার অভিযোগের বিষয়ে কথা বলার জন্য আমিনুরের মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন করলেও তিনি তা ধরেননি।
উল্লেখ্য যে, আমিনুল ঢাকা থাকা অবস্থায় নারী নির্যাতন মামলায় জেল খাটিয়া বর্তমানে বাড়িতে অবস্থান করছে এবং ইয়াবা সহ বিভিন্ন মাদকদ্রব্য বিক্রয়ের সাে জড়িত আছে।

আরো পড়ুন