তিতাসে প্রাথমিক সহকারী শিক্ষকদের মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান

মোঃ জুয়েল রানাঃ ‘দাবী মোদের একটাই, সহকারী শিক্ষকদের ১১ তম গ্রেড চাই’ এই স্লোগানকে সামনে রেখে সারা দেশের ন্যায় কুমিল্লা তিতাস উপজেলার সকল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকরা ১১তম গ্রেডে বেতন বাস্তবায়নের দাবীতে মানবন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান করেছেন।

বৃহস্পতিবার(১৪ মার্চ) বিকালে উপজেলা চত্বরে ঘন্টা ব্যাপী মানববন্ধন শেষে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের মাধ্যমে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেন।

বাংলাদেশ প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক সমিতির সভাপতি নাজমুল হোসেন মুরাদ এর নেতৃত্বে মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন, সমিতির উপদেষ্টা লালপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবদুল হালিম সরকার, জিয়ারকান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন, বাতাকান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আক্তার হোসেন, গাজীপুর মডেল সরকারি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাহবুবুল হক সরকার। সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোয়াজ্জম হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক আলী আহমেদ, সিনিয়র সভাপতি অনিতা সাহা, ফরিদ শিকদার, বাহাউদ্দিন, তাইজুদ্দিন আহম্মদ, সহ-সভাপতি সামসুল হাসান, রোমেন মিয়া, নাজমুল মামুন, আবদুল হালিম, অর্থ সম্পাদক মনির হোসেন, রবিউল্লাহ, কাশেম আহম্মদ, মোহাম্মদ হোসাইন, সহ সাংগাঠনিক সম্পাদক মোস্তফা কামাল প্রমূখ।

এছাড়াও আরো উপস্থিত ছিলেন, বাহাউদ্দিন মোল্লা, মাসুদ কামাল, মিজানুর রহমান হাবিব,, মিজান, আবুল হোসেন, মোহাম্মদ আলী, মনির, তানজুরুন নাহার, আছমা আক্তার, হালিমা আক্তার, রত্না আক্তার, লিপি সাহা, নাজমা আক্তার, আছমা লিপি, তাহমিনা আক্তার মাহমুদা, বকুল কাকরুল সাবুনা, নুর মোহাম্মদ, সাহেরা আক্তার, মোকাদ্দেস, রাসেল, হযরত আলী ও কাউছারসহ সহকারী শিক্ষক-শিক্ষিকাবৃন্দ।

স্মারক লিপিতে বলা হয়, প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষকরা বেতন বৈষম্যর শিকার। বেতন বৈষম্য নিরসনে শিক্ষকরা কয়েক বছর ধরে দাবি জানিয়ে আসছেন। ২০০৫ সালে পে স্কেলে প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকদের বেতনের মাত্র ১ ধাপ পার্থক্য ছিল, সেখানে বর্তমানে প্রধান শিক্ষকদের সঙ্গে সহকারী শিক্ষকদের ৩ ধাপ পার্থক্য বিরাজমান। এ বৈষম্য নিরসন করে প্রধান শিক্ষকদের পরের বেতন গ্রেড নিধারণ করার জন্য সহকারী শিক্ষকরা আমরণ অনশনও করেন। ২০১৭ সালের ২৩ ডিসেম্বর তৎকালীন গণশিক্ষামন্ত্রী বৈষম্য নিরসন করার আশ্বাস দিয়ে সহকারী শিক্ষকদের অনশন ভাঙ্গিয়ে ছিলেন। তাই আমাদের একটাই দাবী বর্তমান সরকারের নির্বাচনী ইশতেহার অনুযায়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষকদের বেতন বৈষম্য নিরসন করে ১১তম গ্রেডে বেতনের দাবী করেন।

আরো পড়ুন