ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী হলেন বৃহত্তর কুমিল্লার বিপ্লব !

ডেস্ক রিপোর্টঃ বিপ্লব কুমার দেব। ভারতের ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দল ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) ত্রিপুরা রাজ্যের সভাপতি। বিপ্লবের আসল পরিচয় তিনি বাংলাদেশি বাবা-মায়ের সন্তান। তার দাদার বাড়ি চাঁদপুর জেলার কচুয়া উপজেলার মেঘদাইর গ্রামে।

তিনি ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারে থাকা দলটির ত্রিপুরা রাজ্যের সর্বকনিষ্ঠ সভাপতি। গত ১৮ ফেব্রুয়ারি ত্রিপুরা বিধানসভার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। বিধানসভার ৬০ আসনের মধ্যে তার তরুণ নেতৃত্বে বিজেপি ৪৩ আসনে জয়লাভ করে। এ ছাড়া তিনিও ত্রিপুরার বনমালিপুর আসন থেকে নির্বাচিত হয়েছেন। বিজেপির কেন্দ্রীয় কমিটি বুধবার ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রীর ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে। কচুয়ার মেঘদাইর গ্রামের ঐতিহ্যবাহী ‘মাস্টার বাড়ি’র কবিরাজ গোবিন্দ চন্দ্র দেবের নাতি বিপ্লব কুমার দেব। কবিরাজ গোবিন্দ চন্দ্র দেবের ৪ ছেলে। তারা হলেন, হারাধন চন্দ্র দেব, হিরুধন চন্দ্র দেব, প্রাণধন চন্দ্র দেব এবং মধুসূদন চন্দ্র দেব। গোবিন্দ চন্দ্র দেবের দ্বিতীয় ছেলে হিরুধন চন্দ্র দেবের সন্তান হলেন বিপ্লব কুমার দেব। বিপ্লব কুমার দেবের বাবা-মা ছাড়া অন্যরা কচুয়া এবং মেঘদাইরে বসবাস করেন। তবে তার মেজ চাচা কবিরাজ প্রাণধন দেব কচুয়ার পরিচিত মুখ। তিনি কচুয়া উপজেলার হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি। থানা পুলিশিং কমিটির সভাপতির দায়িত্বেও রয়েছেন। কচুয়া সদরেই তিনি সপরিবারে বসবাস করেন। কবিরাজ গোবিন্দ চন্দ্র দেবের পারিবারিক সব অনুষ্ঠানেই তাদের আসা-যাওয়া রয়েছে। ত্রিপুরার রাজ্য সভাপতি হওয়ার কিছুদিন আগে চাচাতো ভাইয়ের বিয়ের অনুষ্ঠানে আসেন বিপ্লব। সঙ্গে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে আসেন তিনি। এর আগে গত বছর বিজেপির প্রতিনিধি দলের প্রধান হয়ে বাংলাদেশের ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কাউন্সিলে অংশ নেন তিনি। সেখান থেকে হেলিকপ্টারযোগে কচুয়া গিয়েছিলেন ত্রিপুরার হবু এ মুখ্যমন্ত্রী। ওই সময় কচুয়া প্রেস ক্লাবের পক্ষ থেকে তাকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। উল্লেখ্য, বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় বিপ্লব কুমার দেবের বাবা-মা ত্রিপুরা পাড়ি জমান। দেশ ছেড়ে ভারতের পাড়ি জমানোর কয়েক মাসের মাথায় ত্রিপুরাতেই মা মিনা রানী দেবের ঘর আলো করে জন্ম নেন বিপ্লব কুমার দেব।

মানিক সরকারের পদত্যাগঃ ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিলেন মানিক সরকার (৬৯)। রবিবার দুপুরের দিকে রাজভবনে গিয়ে রাজ্যটির রাজ্যপাল তথাগত রায়ের কাছে তিনি তার পদত্যাগপত্র জমা দেন। রাজ্যপাল তার পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেন। তবে পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে কেউ শপথ গ্রহণ না করা পর্যন্ত মানিক সরকারকেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব সামলানোর কথা বলা হয়েছে। পদত্যাগপত্র জমা দেওয়ার পরই মানিক সরকার গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে বলেন, ‘আমি রাজ্যপালের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছি এবং তিনি আমাকে নতুন মুখ্যমন্ত্রী না আসা পর্যন্ত দায়িত্ব সামলানোর কথা বলেছেন।’ মানিক সরকার আরও বলেন, ‘শান্তিপূর্ণ নির্বাচন পরিচালনা করার জন্য আমি সব সরকারি কর্মকর্তা ও নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের ধন্যবাদ জানাই।’

সূত্রঃ বাংলাদেশ প্রতিদিন

আরো পড়ুন