বুড়িচংয়ে ড্রেজার দিয়ে অবৈধ ভাবে মাটি উত্তোলন, ফসলী জমিসহ বাড়ী ঘরের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি

মোঃ জহিরুল হক বাবুঃ কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার মোকাম ইউনিয়নের দূর্গাপুর এলাকায় বিভিন্ন ফসলী জমিতে ড্রেজার দিয়ে অবৈধ ভাবে মাটি উত্তোলন করা হচ্ছে। এতে করে ফসলী জমি, বাড়ী ঘরের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হচ্ছে। এ বিষয়ে এলাকাবাসী ড্রেজার মালিকদের বিভিন্ন ভাবে বাঁধা প্রদান করলেও ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে দিনে রাতে মাটি কেঁটেই যাচ্ছে।

জানা যায়, উপজেলার মোকাম ইউনিয়নের দূর্গাপুর এলাকার আবদুল খালেকের পুত্র আনোয়ার হোসেন, আবদুর রব এর জমিতে পরিহলপাড়ার গ্রামের বিল্লাল, হারুন, শরীফ অবৈধ ভাবে ফসলী জমিতে ড্রেজার স্থাপন করে দীর্ঘদিন ধরে মাটি উত্তোলণ করে আসছে। সম্প্রতি কয়েক দিন ধরে একই এলাকার আবুল কালাম, আবুল কাশেমের মালিকীয় জমিতে ড্রেজার স্থাপন করে মাটি উঠানোর পায়তারা করছে। একই এলাকার মোবারক হোসেন ড্রেজারের মালিক বলে এলাকাবাসী জানান। এলাকাবাসী ক্ষুদ্ধ হয়ে ড্রেজার বন্ধের প্রতিবাদ জানালেও ড্রেজারের মালিক কোন কর্নপাত না করে তাঁদের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। এই এলাকার বাসিন্দা মোঃ ফরিদ উদ্দিন বলেন, প্রায় এক মাস যাবত আমার বসত বাড়ীর বিল্ডিংয়ের পাশে অবৈধ ড্রেজার স্থাপন করে মাটি উত্তোলন করে আসছে। এতে করে আমার বসত ভিটা ও বাড়ীর মটি ধ্বশে পরছে। বর্তমানে আমার বাড়ী ঘর ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে। পাশ্ববর্তী জমির মালিক খোকন মিয়া বলেন, অভিযুক্ত আবুল কালাম ও আবুর কাশেম আমার ভাই। ড্রেজার লাগানোর খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে এসেছি। যে জমিতে ড্রেজার স্থাপন করা হয়েছে ওই জমিটির দু’পাশে রাস্তা, পরের জমিগুলি আমার ও অপর ভাইদের। ড্রেজার দিয়ে মাটি তোলার কারনে রাস্তাসহ পাশের জমি গুলি বিলীন হওয়ার আশংখা দেখা দিয়েছে। আমরা ড্রেজার দিয়ে মাটি না কাটার অনুরোধ করা হলেও ড্রেজারের মালিক কথা না শুনে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।

ঘটনাস্থলে গিয়ে ড্রেজারে মালিক মোবারক হোসেনের সাথে কথা বলতে চাইলে সে নিজের পরিচয় গোপন করে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়।

এ বিষয়ে বুড়িচং উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) তাহ্মিদা আক্তার বলেন, ড্রেজার দিয়ে মাঠি কাঁটা সম্পূর্ন অবৈধ, বিষয়টি যেহেতু আমি জানতে পেরেছি, সেহেতু দ্রুত ড্রেজার বন্ধের ব্যবস্থা গ্রহন করবো।

আরো পড়ুন