ব্রাহ্মণপাড়ায় ট্রাক চাপায় দুই স্কুল ছাত্র গুরতর আহত

আশিকুর রহমানঃ বৃহস্পতিবার সকালে কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়ায় পৃথক দুটি সড়ক দূর্ঘটনায় একই ট্রাকের চাপায় সাহেবাবাদ লতিফা ইসমাইল উচ্চ বিদ্যালয়ের মোঃ হৃদয় হোসেন ও মোঃ ই¯্রাফিল হোসেন নামের দুই ছাত্র গুরত্বর ভাবে আহত হয়। এ সময় স্থানীয় লোকজন আহতদের উদ্ধার করে বিভিন্ন হসপিটালে প্রেরণ করে। এ ঘটনায় কুমিল্লার মিরপুর সড়কের ব্রাহ্মণপাড়া সদরসহ সাহেবাবাদ লতিফা ইসমাইল উচ্চ বিদ্যালয় ও সাহেবাবাদ ডিগ্রি কলেজ এলাকা ঐ স্কুলের শিক্ষার্থীদের ভিক্ষোবে উত্তাল পরিস্থিতি বিরাজ করে। কুমিল্লা মিরপুর সড়কের পৃথক পৃথক স্থানে ঘন্টাব্যাপী অবরোদ্ধ করে যানবাহন চলাচল বন্ধ রাখে স্কুল শিক্ষার্থীরা।

পরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ জহিরুল হক, থানা অফিার ইনচার্জ সৈয়দ আবু মোঃ শাহজাহান কবির ও সাহেবাবাদ ইউপি চেয়ারম্যান, সাহেবাবাদ লতিফা ইসমাইল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ মোস্তফা ছারোয়ার খান সহ পুলিশের অন্যান্য সদস্যরা ঘটনা স্থাল পরিদর্শন করেন এবং ভিক্ষোব্দ শিক্ষার্থীদের সঠিক বিচার পাওয়ার আশ্বাস প্রদান করে তাদেকে স্কুলে পাঠান।

সরজমিনে ঘুরে দেখাযায় এবং উপস্থিত লোকজন থেকে জানা যায়, ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার সাহেবাবাদ লতিফা ইসমাইল উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণীর ছাত্র সাহেবাবাদ (নগরপার) গ্রামের জয়দল হোসেনের ছেলে মোঃ হৃদয় হোসেন (১৪) ঘটনার দিন সকালে প্রাইভেট পড়ে বাই সাইকেল যুগে কুমিল্লা মিরপুর সড়ক দিয়ে স্কুলে যাওয়ার পথে ব্রাহ্মণপাড়া দক্ষিণ বাজারের বি-পাড়া ডিজিটাল সাইন প্রেস দোকানের সামনে পৌছালে (ঢাকা মেট্রো-ট ২২-২৯০০) নং এর একটি বালু বুঝাই ডিষ্ট্রিক ট্রাক পেছনে ব্যাক করে হৃদয় হোসেনকে চাপা দেয়। এত হৃদয় হোসেন গুরত্বর আহত হয়ে সড়কে পরে থাকে। স্থানীয় লোকজন ঘটনাটি দেখে হৃদয় হোসেনকে উদ্ধার করে প্রথমে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ (কুমেক) হাসপালে প্রেরণ করে। এই ঘটনার খবর পেয়ে সাহেবাবাদ লতিফা ইসমাইল উচ্চ বিদ্যলয়ের শিক্ষার্থীরা সড়ক অবরোধ সহ বিক্ষোভ মিছিল করে। এ সময় বেশ কিছু বিক্ষোব্দ শিক্ষার্থী মিছিল করে ব্রাহ্মণপাড়া থানার প্রধান ফটকে আসে এবং ফটকের ব্রীজের উপর অবস্থান নেয়। এসময় ঘটনাস্থল থেকে ট্রাকটিকে পুলিশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যাওয়ার পথে থানার প্রধান ফটকের ব্রীজে উঠার সময় ট্রাকটির পেছনের চাকা ডেবে হেলে গিয়ে ঐ স্কুলের সপ্তম শ্রেণীর ছাত্র সাহেবাবাদ গ্রামের নূরুল ইসলামের ছেলে মোঃ ইস্রাফিল হোসেন (১৩) কে ব্রীজের পূর্ব পাশের রেলিং (হাতল) এর সাথে চাপা দেয়। এসময় ব্রীজের উপরে থাক বেশ কিছু শিক্ষার্থী পনিতে ঝাপিয়ে পরে নিজের প্রাণ বাঁচায়। পরে থানা অফিসার ইনচার্জ সৈয়দ আবু মোঃ শাহজাহান কবির জীবনের ঝুকি নিয়ে বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে ব্রীজের রেলিং (হাতল) ভেঙ্গে ইস্রাফিলকে উদ্ধার করে স্থানীয় লোকজনের সহযোগিতায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত ডাক্তার মোঃ সোহেল রানা ইস্রাফিলের অবস্থা আশংখাজনক দেখে তাকে দ্রুত কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ (কুমেক) হাসপালে প্রেরণ করেন।

এই সংবাদ লিখা পর্যন্ত জানা যায় মোঃ হৃদয় হোসেন ও মোঃ ইস্রাফিল হোসেন এর অবস্তা আশংখাজনক দেখে কুমেকের কর্তব্যরত ডাক্তার তাদের ঢাকা মেডিকেল কালেজ (ঢামেক) হাসপাতালে প্রেরণ করেন। অপর দিকে এই সংবাদ লিখা পর্যন্ত থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।

আরো পড়ুন