‘ভুল চিকিৎসার’ শিকার পরিকল্পনামন্ত্রী লোটাস কামাল!

ডেস্ক রিপোর্টঃ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে কারাগারে থাকার সময় তার দাঁতে ব্যাথা হলে সেটি তুলে ফেলেছিলেন চিকিৎসক। পরে মুক্তি পেয়ে যুক্তরাজ্যে যাওয়ার পর সেখানকার চিকিৎসক জানান, তার দাঁত তুলে ফেলার মতো ছিল না।

মঙ্গলবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি মিলনায়তনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে একনেক সভা শেষে সাংবাদিকদের এই গল্প বলেন মন্ত্রী।

‘শেখ লুৎফুর রহমান ডেন্টাল কলেজ ও হাসপাতাল’ স্থাপন প্রকল্পের কথা তুলে ধরতে গিয়ে মন্ত্রী তার এই অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন।

মন্ত্রী বলেন, ‘আমি তখন জেলে ছিলাম, আমাক দাঁতে ব্যথা করেছিল। আমি ডাক্তার দেখালাম সরকারি প্রতিষ্ঠানেই। তারা আমার দাঁতই উঠিয়ে ফেলল।’ “এর পর জেল থেকে বেরিয়ে লন্ডনে গিয়ে চিকিৎসা করতে গেলাম। দাঁতে তখনও ব্যাথা ছিল প্রচণ্ড। লন্ডনের চিকিৎসক আমাকে বলল ‘তোমার এ কাজটি কে করল? তোমার দাঁতের যে কাঠামো দেখলাম তাতে দাঁত উঠিয়ে ফেলার মতো কিছুই হয়নি। দাঁত উপরে ফেলার দরকার ছিল না। চিকিৎসা করলেই হতো’।” মন্ত্রী বলেন, ‘আমি বললাম, আমি জেলে ছিলাম তাই বার বার আসতে পারবো না এই জন্য।’

তখন যুক্তরাজ্যের চিকিৎসক জানতে চান মন্ত্রী কেন জেলে গিয়েছিলেন, তিনি কাউকে মেরেছেন কি না। আর মন্ত্রী তাকে বলেন, ‘রাজনীতি করলে জেলে ঢুকতে হয় এটা ওদের দেশে নেই।’

এই বলে পরিকল্পনামন্ত্রী হেসে দিয়ে বলেন, ‘আমি এটা বলে বিপদে পরলাম। দেখলাম তার চেহারা পরিবর্তন হয়ে গেল। আমার মনে হলো সে আমাকে রোগী হিসেবে চিকিৎসা করছে না। সে আমাকে অপরাধী হিসেবে চিকিৎসা করছে। আমি সত্যি বলে বিপদে পরলাম।’

এর পর তিনি দাঁতের ব্যাপারে যত্ন নিতে সবাইকে সচেতন করে বলেন, ‘দাঁত কিন্তু আমাদের মূল্যবান সম্পদ। কথায় আছে দাঁত থাকিতে দাঁতের মূল্য বোঝা যায় না’।

এরপর পরিকল্পনা মন্ত্রী গোপালঞ্জে (প্রথম সংশোধিত) প্রকল্প শেখ লুৎফুর রহমান ডেন্টাল কলেজ ও হাসপাতাল স্থাপন প্রকল্পর কথা তুলে ধরেন। এ প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ১১২ কোটি ৮২ লক্ষ টাকা। প্রকল্পটি ২০২০ সালের ডিসেম্বরে বাস্তবায়িত হবে।

এ প্রকল্পের পটভূমি তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশে ১৫ কোটি লোকের জন্য তিনটি জেলায় মাত্র তিনটি সরকারি ডেন্টাল কলেজ আছে। ডেন্টাল সার্জনের অপ্রতুলতার জন্য জনগণ স্বল্প ব্যয়ে উন্নত সেবা পাচ্ছে না। এ প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে জনসংখ্যার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে আনুপাতিক হাবে অধিক সংখ্যক দন্তশল্যবিধ তৈরি হবে।

আরো পড়ুন