মনোহরগঞ্জের ভাতিজার রোষানলে বিপাকে ষাটোর্ধ্ব চাচার পরিবার

কুমিল্লার মনোহরগঞ্জের ভাতিজার রোষানলে সন্তান-সন্তুুতি নিয়ে বিপাকে ষাটোর্ধ্ব চাচার পরিবার। ঘটনাটি উপজেলার বাইশগাঁও ইউনিয়নের ফুলপুকুরিয়া গ্রামের। সম্প্রতি এ বিষয়ে ভুক্তভোগী মাওলানা মোহাম্মদ মোস্তফা ও তার ছেলে ওছমান গনি বাদি হয়ে কুমিল্লার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করেছেন।

মামলার এজাহার ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে বাইশগাঁও ইউনিয়নের ফুলপুকুরিয়া গ্রামের মৃত কারী মোহাম্মদ হোসেনের ছেলে মাওলানা মোহাম্মদ মোস্তফার সাথে পৈত্রিক ও ক্রয়কৃত সম্পত্তিসহ বিভিন্ন বিষয়াদি নিয়ে বিরোধ সৃষ্টি করে আসছে তার ভাতিজা মোজাম্মেল হোসেন। একই বাড়ির বাসিন্দা হওয়ার সুবাদে মাওলানা মোহাম্মদ মোস্তফা ও তার পরিবারের সদস্যদেরকে বিভিন্ন ভাবে উত্তক্ত করে আসছে অভিযুক্ত মোজাম্মেল। সর্বশেষ গত ১০ জুলাই তিনি মাওলানা মোস্তফার মালিকীয় জায়গা থেকে ৩০ হাজার টাকা সমমূল্যের একটি রেইন ট্রি কড়ই গাছ কেটে নেন। এর ২ সপ্তাহ পর গত ২৫ জুলাই পুনরায় মাওলানা মোস্তফার মালিকীয় জায়গা থেকে প্রায় ২৫ হাজার টাকা সমমূল্যের মাটি কেটে নেন অভিযুক্ত মোস্তফা। এ বিষয়ে ভুক্তভোগী মাওলানা মোস্তফা ও তার ছেলে ওছমান গনি বাদি হয়ে কুমিল্লার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পৃথক দু’টি মামলা দায়ের করেছেন।

সরেজমিন অনুসন্ধানে গাছ কর্তন ও মাটি বিক্রির অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিৎ করেছে স্থানীয় একাধিক সূত্র। অনুসন্ধানকালে দেখা গেছে মাওলানা মোস্তফার চলাচলের পথে অভিযুক্ত মোজাম্মেল গাছের ডাল ফেলে এবং গর্ত করে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে রেখেছে। মোজাম্মেলের রোষানল থেকে মুক্তি পেতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ভুক্তভোগীরা।

ভুক্তভোগী মাওলানা মোহাম্মদ মোস্তফা বলেন, ‘মোজাম্মেল আমার আপন ভাইয়ের ছেলে হয়েও সে আমার এবং আমার পরিবারের সদস্যদের সাথে সর্বাত্মক শত্রুতা প্রদর্শন করছে। সে সার্বিক ভাবে আমাদেরকে উত্তক্ত করছে। আমার নিজ নামীয় সম্পত্তি সে জালিয়াতি করে তার স্ত্রীর নামে করে নিয়েছে। সম্প্রতি আমার মালিকীয় জায়গা থেকে একটি বড় গাছ কর্তন এবং মাটি কেটে নিয়েও সে ক্ষান্ত হয়নি। আমাদের চলাচলের পথে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করে রেখেছে। আমরা প্রতিবাদ করায় সে আমাদেরকে সপরিবারে হত্যার হুমকি দিচ্ছে। মোজাম্মেলের রোষানলে আমরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। আমরা আশাবাদী প্রশাসন এবং স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের হস্তক্ষেপে আমরা এ পরিস্থিতি থেকে মুক্তি পাবো।’
এ বিষয়ে অভিযুক্ত মোজাম্মেল হোসেনকে মুঠোফোনে একাধিকবার চেষ্টা করেও বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।

আরো পড়ুন