লাকসামে ধর্ষনের অভিযোগে এক ভূয়া ডাক্তার আটক, ৩০ বারের অধিক ধর্ষন

ডেস্ক রিপোর্টঃ লাকসামে ধর্ষনের অভিযোগে এক ভূয়া ডাক্তারকে আটক করেছে র‌্যাব। ওই ভূয়া ডাক্তার লাকসাম শহরের জংশন এলাকায় ডিজিটাল হেলথ কেয়ারের মালিক। চাকুরী দেয়ার নামে ওই চেম্বারে অসংখ্য মহিলাকে সে ধর্ষন করেছে। বুধবার কুমিল্লা র‌্যাব-১১ অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমান যৌন উত্তেজক টেবলেট, কনডমসহ বিভিন্ন অবৈধ নেশাজাতীয় দ্রব্যসহ তাকে আটক করে। সে পৌর শহরের বাইনচাটিয়া গ্রামের খোরশেদ আলমের ছেলে।

কুমিল্লা র‌্যাব-১১ এর নিকট লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, শহরের জংশন এলাকায় ডিজিটাল হেলথ কেয়ারে কর্মরত জোসনা (ছদ্মনাম) চার মাস যাবত হেলথ সহকারী হিসেবে কর্মরত ছিলাম। ওই হেলথ কেয়ারের মালিক ডাঃ মীর হোসেন চাকুরীর শুরু থেকেই আমাকে বিভিন্ন ভাবে উত্ত্যক্ত করে আসছিল। কিন্তু আমি চাকুরী রক্ষা ও জীবিকা নির্বাহের স্বার্থে সবকিছু সহ্য করে আসছিলাম। এক পর্যায়ে ডাঃ মীর হোসেন আমার ইচ্ছার বিরুদ্ধে আমাকে জোর পূর্বক ধর্ষন করে। গত চার মাসে সে আমাকে ৩০ বারের অধিক ধর্ষক করে। প্রতিবার ধর্ষন করার পর সে আমার শরীরে ব্যথা নাশক অজ্ঞাত একটি ইনজেকশান পুশ করতো। ধর্ষনের পর মীর হোসেন আমাকে হুমকী ধমকি দিয়ে বলে এ কথা যদি কেউ জানতে পারে তাহলে আমাকে চাকুরিচ্যুত করে মিথ্যা মামলা দিবে বলে ভয় দেখায়। আমি দ্ররিদ্র ও অসহায় পরিবারের একমাত্র উপার্জক্ষ হওয়ায় তার এ নির্যাতন সহ্য করে আসছিলঅম। কিন্তু দিন দিন তার অত্যাচার নির্যাতন বেড়ে চলায় নিরুপায় হয়ে গত সোমবার কুমিল্লা র‌্যাব-১১ এর নিকট লিখিত অভিযোগ দায়ের করি।

স্থানীয় ভাবে জানা যায়, ডাঃ মীর হোসেন একই ভাবে তার চেম্বারে বহু তরুনীকে চাকুরী দেয়ার নাম করে সর্বনাশ করেছে। তার হুমকী ধমকীর কারনে কেউ মুখ খুলার সাহস করেনি। এছাড়া ভূয়া ডাঃ মীল হোসেনকে বেশ কয়েক বার ভ্রাম্যমান আদালত পডরিচালান কওে তার বন্ধ কওে দেয়া হয়। কিছু দিন পর আবার সে কৌশলে আবার চেম্বার খুলে তার পুরোনো অপকর্ম শুরু কওে থাকে।

কুমিল্লা র‌্যাব-১১ কোম্পানী কমান্ডার প্রণব কুমার জানান, ওই মেয়র লিখিত অভিযোগ পেয়ে আমরা লাকসাম ডিজিটাল হেলথ কেয়ারের মালিক ডাঃ মীর হোসেনের চেম্বারে অভিযান চালিয়ে যৌন উত্তেজক টেবলেট, বিপুল পরিমান কন্ডমসহ বিভিন্ন অবৈধ নেশাজাতীয় দ্রব্য পাওয়া যায়। সে কোন ডাক্তার নয়। সে চাকুরী দেয়ার নামে এই চেম্বারে অসংখ্য মহিলাকে ধর্ষন করেছে। তাকে ও তার চেম্বারে কর্মরত অপর এক মেয়েকে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য কুমিল্লা র‌্যাব-১১ কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

আরো পড়ুন