লাকসামে বিএনপি প্রার্থীর উপর ফের সন্ত্রাসী হামলা

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ আগামী বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিতব্য কুমিল্লার লাকসাম উপজেলার মুদাফফরগঞ্জ উত্তর ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে বিএনপির মনোনীত ধানের শীষ প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. শাহ আলমের উপর ফের কয়েক দফা সন্ত্রাসী হামলা চালানো হয়েছে। এ সময় সন্ত্রাসীরা ওই প্রার্থীর আপন ভাইকে কুপিয়ে এবং ৫ জন কর্মীকে পিটিয়ে আহত করে তাঁর ব্যবহৃত গাড়িটি ভাঙচুর করেছে।

আজ সোমবার বিকেলে ইউনিয়নের কাঠালিয়া গ্রামে নির্বাচনী গণসংযোগকালে কয়েক দফায় এই হামলার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় প্রতিপক্ষ আওয়ামী লীগের মনোনীত নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. শাহীদুল ইসলাম শাহীনকে দায়ী করেছেন বিএনপির এই চেয়ারম্যান প্রার্থী।

আজ সন্ধ্যায় ধানের শীষ প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. শাহ আলম অভিযোগ করে কালের কন্ঠকে বলেন, আমি ইউনিয়নের কাঠালিয়া গ্রামের মজুমদার বাড়ির সামনে আমার প্রাইভেটকারটি (ঢাকা-মেট্টো-গ-১১-৪৩৬৪) রেখে পাশে বাড়িতে গণসংযোগে গেলে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মো. শাহীদুল ইসলাম শাহীনের ভাই মেজবাউল করিম মেঝ ও কর্মী বাবুলের নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী রড, জয়েন্টপাইপ ও ইটপাটকেল দিয়ে প্রথমে আমার গাড়িটি ভাংচুর করে।

এ সময় গাড়িতে থাকা ড্রাইভার শাহাবুদ্দিনকে মারধর করে আহত করে ওই সন্ত্রাসীরা। এ খবর পেয়ে লোকজন ছুটে এলে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। পরে ওই সন্ত্রাসীরা আবারো সংঘবদ্ধ হয়ে জড়ো হওয়া লোকজনসহ আমার উপর হামলা সন্ত্রাসী হামলা চালায়। এ সময় আমাকে চাইনিজ কুড়াল দিয়ে কোপ দিলে আমার আপন ছোট ভাই খোরশেদ তা প্রতিহত করে। পরে ওই সন্ত্রাসীরা খোরশেদের ঘাঁড়ে ও পিঠে ২/৩টি কোপ দেয়। তাকে কুমিল্লার একটি হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

এছাড়া সন্ত্রাসীদের পিটুনিতে স্থানীয় ছাত্রদল নেতা রাজিব, যুবদল নেতা আনিছুর রহমান দুলাল, আবুল বাশার ওয়াজকুরুনিসহ আরো ৫ জন আহত হয়েছেন।

বিএনপির ওই চেয়ারম্যান প্রার্থী আরো জানান, হামলার পর পরই উপজেলা প্রশাসন, নির্বাচন কর্মকর্তা ও পুলিশ প্রশাসনকে বিষয়টি অবগত করা হলেও প্রায় দেড়ঘন্টা পর ঘটনাস্থলে পুলিশ আসে। পরে পুলিশের সামনেই তারা দ্বিতীয় দফায় সন্ত্রাসীরা আমার উপর হামলা চালায়। পরে জেলা পুলিশ সুপারকেও ঘটনা অবগত করেছি। এর আগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর কর্মীরা বহিরাগত সন্ত্রাসীদের নিয়ে আমার উপর হামলা করেছে। পুরো ইউনিয়নে সুষ্ঠু নির্বাচনের কোন পরিবেশ দেখছি না।

তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করে নৌকা প্রতীক চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. শাহীদুল ইসলাম শাহীন কালের কন্ঠকে বলেন, আমি এলাকাতে নেই। কে বা কাহারা এ ঘটনা করেছে আমি জানি না। এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যাওয়া লাকসাম থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) নাজিম আহমেদ জানান, গাড়ি ভাংচুরের সত্যতা পাওয়া গেছে। বর্তমানে ওই এলাকার পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ওই ইউপি নির্বাচনের দায়িত্বে থাকা রিটার্নিং অফিসার নিজাম উদ্দিন জানান, মৌখিক অভিযোগ পাওয়ার পর ঘটনাস্থলে পুলিশ ফোর্স পাঠানো হয়েছে। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ রফিকুল হক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এ ঘটনায় ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।

আরো পড়ুন