লাকসাম-মনোহরগঞ্জ সড়ক, যোগাযোগে সৃষ্টি হয়েছে নতুন দিগন্ত

আকবর হোসেনঃ লাকসাম-মনোহরগঞ্জ সড়ক যোগাযোগের ক্ষেত্রে নতুন দিগন্ত সৃষ্টির লক্ষ্যে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি মোঃ তাজুল ইসলাম এমপি পরিকল্পনা গ্রহণ করেছেন। তারই গৃহিত পরিকল্পনা অনুযায়ী নির্মিত হয়েছে লাকসাম-মনোহরগঞ্জ নতুন সড়ক। রাস্তাটি ১২ ফিট থেকে ১৬ ফিট করা রয়েছে। এতে সড়ক যোগাযোগে লাকসাম ও মনোহরগঞ্জ উপজেলায় নতুন নেটওয়ার্কের আওতায় এসেছে। ফলে প্রতিটি গ্রাম থেকে পাকা সড়কে যেকোন মুহুর্তে যেকোন জায়গায় যাতায়াত করা সহজ হয়ে গেছে। এতে উপকৃত হবে দুই উপজেলার ১৯টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার প্রায় প্রায় সাড়ে সাত লক্ষাধিক মানুষ।

লাকসাম উপজেলা প্রকৌশলী খোন্দকার গোলাম শওকত জানান, জাতীয় সংসদ সদস্য মোঃ তাজুল ইসলামের পরামর্শ ও নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা লাকসাম থেকে আশিরপাড় পর্যন্ত রাস্তাটি পুনঃপাকাকরণ ও ১২ থেকে ১৬ ফিটে উন্নতিকরণের পরিকল্পনা গ্রহণ করেছি। তারই প্রেক্ষিতে ২০১৬-১৭ অর্থবছরে লাকসাম অংশের ৬.৫ কিলোমিটার রাস্তার পাকাকরণ করা হয় এবং ১২ ফিট থেকে ১৬ ফিট করা হয়। এজন্য বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে প্রায় সাড়ে চার কোটি টাকা। আমাদের রাস্তার কাজ সম্পূর্ণ হয়েছে।

অন্যদিকে মনোহরগঞ্জ উপজেলা প্রকৌশলী মোহাম্মদ আল আমিন সরদার জানান, জাতীয় সংসদ সদস্য মোঃ তাজুল ইসলামের পরামর্শ ও নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা মনোহরগঞ্জ থেকে আশিরপাড় পর্যন্ত রাস্তাটি পুনঃপাকাকরণ ও ১২ থেকে ১৬ ফিটে উন্নতিকরণের পরিকল্পনা গ্রহণ করেছি। তারই প্রেক্ষিতে ২০১৭-১৮ অর্থবছরে মনোহরগঞ্জ অংশের ৪.৫ কিলোমিটার রাস্তার পাকাকরণ করা হয় এবং ১২ ফিট থেকে ১৬ ফিট করা হয়। এজন্য বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে প্রায় সাড়ে তিন কোটি টাকা। আমাদের রাস্তার কাজ সম্পূর্ণ হয়েছে। লাকসাম-মনোহরগঞ্জ সড়কটি পুনঃ পাকাকরণ করায় এবং ১২ থেকে ১৬ ফিট করায় যাতায়াতে সময় লাগে মাত্র ১৫ মিনিট। গাড়ির চালকরা জানান, আগে এ রাস্তা দিয়ে গাড়ি চালানো আমাদের জন্য খুব কষ্টদায়ক ছিল। এখন খুব সহজেই গাড়ি চালাতে পারছি। রাস্তাটি নির্মাণ করায় আমরা খুবই খুশি।

যাত্রীরা জানান, এ রাস্তা দিয়ে চলাফেরায় আমাদের অনেক কষ্ট হতো। এখন খুবই আরামে চলাফেরা করতে পাচ্ছি। অনেক সময়ও বেঁচে যায়। এজন্য আমরা লাকসাম-মনোহরগঞ্জ আসনের মাননীয় জাতীয় সংসদ সদস্য মোঃ তাজুল ইসলাম এমপি মহোদয়ের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।

আরো পড়ুন