খুলনার দৌলতপুর এলাকায় ৩য় শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যাকাণ্ডের মামলায় আসামি প্রিতম রুদ্রকে (২৭) গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শনিবার (৩০ জানুয়ারি) তাকে আদালতে হাজির করা হলে এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দেয় প্রিতম। মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. সরোয়ার আহম্মেদ ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় আসামির জবানবন্দি রেকর্ড করেছেন।
ময়নাতদন্ত শেষে গত শুক্রবার দুপুরে নগরীর রূপসা মহাশ্মশানে আট বছরের ওই শিশুর শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়েছে। পুলিশের একাধিক সূত্র জানায়, গত ২২ জানুয়ারি বিকালে খেলার ছলে খুলনা মহানগরীর দৌলতপুরের পাবলা বণিকপাড়ার ‘বীণাপানি’ ভবনে নেওয়া হয় শিশুটিকে। এরপর থেকে সে নিখোঁজ হয়। পুলিশ প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত হয়েছে, ওই দিন সন্ধ্যায় বীণাপানি ভবনের ছাদে প্রথমে তাকে ধর্ষণ ও পরে জুতার ফিতা, নাইলন ও জালের দড়ি দিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়। এরপর লাশ একটি প্লাস্টিকের বস্তাতে ভরে সিঁড়ি ঘরে লুকিয়ে রাখা হয়। সিঁড়ি ঘরের ওই স্থান ও ছাদের একাধিক স্থানে রক্তের দাগ, ভেজা কাপড় ও বেশ কিছু আলামত দেখে পুলিশ তা নিশ্চিত করেছে।
পুলিশের তদন্তে ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় দুইজনের সম্পৃক্ততার প্রাথমিক প্রমাণ মিলেছে। এর একজন ওই ভবনের মালিক প্রীতম ও বাড়ির কেয়ারটেকার শ্যামল। তাদের দুজনকেই আটক করেছে পুলিশ। এছাড়া বাড়ির ছাদের চাবি যে নারীর কাছে সার্বক্ষণিক থাকতো সেই অনিতা দত্ত ও তার মেয়ে সৃষ্টি দত্তকে গত শুক্রবার দুপুরে আটক করেছে পুলিশ। তাদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
নগরীর দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত) মো. আমিনুল ইসলাম বলেন, ওই বাড়ির ছাদে রক্তের দাগ পেয়ে ধারণা করা হচ্ছে শিশুটিতে ভবনের ছাদেই হত্যা করা হয়েছে। গত ২২ জানুয়ারি ওই শিশুটি নিখোঁজ হওয়ার পর নগরীর দৌলতপুর থানায় প্রথমে জিডি ও পরে অপহরণ মামলা করেন তার বাবা। গত ২৮ জানুয়ারি তার লাশ উদ্ধারের পর অপহরণ মামলাটি হত্যা মামলায় রূপান্তরিত হয়।
ইউটিউবে আমাদের চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব করুন: