কুবি শিক্ষক সমিতির নির্বাচনে ভোটাধিকার নেই দুই শিক্ষকের

কুবি প্রতিনিধি: নিয়মবির্হভূতভাবে শিক্ষকদের বেতনের টাকা কেটে প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে দেওয়ার নামে অর্থ আত্মসাতের প্রচেষ্টার অভিযোগে সম্প্রতি ড. কাজী মোহাম্মদ কামাল উদ্দিন ও ড. দুলাল চন্দ্র নন্দীর সদস্য পদ স্থগিত করে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি। এতে শিক্ষক সমিতির আসন্ন ১১ জানুয়ারিতে অনুষ্ঠিতব্য কার্যনির্বাহী পরিষদ-২০১৮ এর নির্বাচনে ঐ দুই শিক্ষকের নাম ভোটার তালিকায় রাখেনি শিক্ষক সমিতির নির্বাচন কমিশন। এতে ভোটাধিকার চেয়ে গত ৮ জানুয়ারি মহামান্য হাইকোর্টে রিট পিটিশন দাখিল করলে ৯ জানুয়ারি শুনানি শেষে তাদের পিটিশন খারিজ করে দেন হাইকোর্ট। বিচারপতি জনাব নাইমা হায়দার ও বিচারপতি জনাব জাফর আহমেদের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের বেঞ্চ এ খারিজাদেশ দেন।

শিক্ষক সমিতির পক্ষের আইনজীবী এ্যাভোকেট মোতাহের হোসেন সাজু জানান, রিটকারীদের বিরুদ্ধে শিক্ষকদের বেতন কেটে প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে দেওয়ার কথা বলে অর্থ আৎসাতের চেষ্টার অভিযোগ ছিল। যা ক্রিমিনাল ওফেন্স বা ফৌজদারী অপরাধ বলে হাইকোর্ট অভিমত দেন। রিটকারীদের কেন ভোটাধিকার দেওয়া হবে না, ভোটার তালিকায় নাম অর্ন্তভূক্ত করে ভোটের সুযোগ প্রদান ও তত দিন পর্যন্ত নির্বাচনের স্থগিতাদেশ চেয়ে রিট করেন তারা। শিক্ষক সমিতির সাধারণ পরিষদ তাদের সদস্য পদ স্থগিত করে এবং সেখানে তাদের ভোটাধিকার নেই। এতে শিক্ষক সমিতির নির্বাচন নিয়ে যে দোঁয়াশা ছিল তা কেটে গেল। খারিজাদেশের পরে শিক্ষক সমিতির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে আর কোন বাধা রইল না বলে জানান এ আইনজীবী।

শিক্ষক সমিতির সভাপতি ড. মো: আবু তাহের বলেন, ‘তারা অন্যায় করেছেন। আজ (মঙ্গলবার) হাইকোর্টের খারিজাদেশে এটা প্রমানিত হলো যে তারা দুর্নীতি করেছেন এবং শিক্ষক সমিতি সঠিক পথেই রয়েছে।’
রীট আবেদনকারী শিক্ষকদের একজন ড. কাজী মোহাম্মাদ কামাল উদ্দিন বলেন, ‘আমাদের আইনজীবী বলেছেন যেহেতু নির্বাচন সন্নিকটে আপনাদের আরও আগে আসা উচিত ছিল। সরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের বিষয়গুলো নিজেরা বসে সমাধান করা ভালো।’

উল্লেখ্য, শিক্ষকদের স্বাক্ষর জালিয়াতির মাধ্যমে বন্যাদূর্গতদের জন্য প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে অনুদান প্রদানের নামে অর্থ আত্মসাৎ প্রচেষ্টার অভিযোগে গত ১৯ ডিসেম্বর বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর ড. কাজী মোহাম্মদ কামাল উদ্দিন এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের প্রাধ্যক্ষ ড. দুলাল চন্দ নন্দীর সদস্যপদ অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত করে শিক্ষক সমিতি। শিক্ষকদের ব্যাংক হিসাব থেকে বন্যার্তদের জন্য প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলের কথা বলে ২০ সেপ্টেম্বর কোন বাহকের নাম উল্লেখ না করে ৮০ হাজার ৭১ টাকার একটি চেকে স্বাক্ষর করেন সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো: আলী আশরাফ এবং অর্থ ও হিসাব শাখার উপ-পরিচালক কামাল উদ্দিন। গত নভেম্বর এ নিয়ে বিভিন্ন জাতীয় ও স্থানীয় গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়।

আরো পড়ুন