কুমিল্লার গোমতীর চরে আলুর বাম্পার ফলন, কৃষকের মুখে হাসি

মো.জাকির হোসেনঃ কুমিল্লার প্রধান নদী গোমতীর চরে সবুজের ব্যাপক হাতছানি, কৃষকরা ব্যস্ত সময় পার করছে। আলুর বাম্পার ফলনে কৃষকের মুখে হাসি। এখন কৃষকেরা পার করছে ব্যস্ত সময়। জেলার প্রধান এই নদীর চর এলাকায় এবছর ব্যাপক গোল আলুর ফলন হয়েছে। আগামী কিছু দিনের মধ্যেই কৃষক উৎপাদিত আলু ঘরে তুলবে। এচিত্র কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার গোমতীর চরের বিভিন্ন এলাকায়। এ বাম্পার ফলনের পেছনে কারণ রয়েছে চলতি বছর শীত মৌসুমে আবহাওয়া অনুকূলে থাকা। এবারে জমিতে কোন রোগবালাই না থাকায় কৃষকদের মাঝেও খুশির আমেজ। ফলে বাম্পার ফলনের আশা করছে কৃষকরা। কৃষকরা এ লক্ষ নিয়ে এখন মাঠে আলুর জমিতে ঔষুধ প্রয়োগ ও আলুর গাছের পরির্চযায় ব্যস্ত সময় পাড় করছেন।

সরেজমিনে ঘুরে জানা যায়, জেলার অন্যতম বৃহৎ উর্বর এলাকা গোমতীর চর। প্রতিবছর এই চরে মৌসুমী বিভিন্ন তরিতরকারির আবাদ হয়। আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় গোমতীর বুড়িচং উপজেলা অংশের চরের বিভিন্নস্থানে এবছর ব্যাপক গোল আলুর আবাদ হয়েছে। উপজেলার নদী তীরবর্তী ময়নামতি,ষোলনল ,ভারেল্লা উত্তর,ভালেল্লা দক্ষিণ,পীরযাত্রাপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামের কৃষি জমিতে এবার কৃষকরা অধিক আগ্রহ নিয়ে আলু চাষ করেছেন। কৃষকরা এখন মাঠে ঘাঠে আলু ক্ষেতের জমিতে আলু গাছের পরির্চযায় ব্যস্ত সময় পাড় করছেন। গোমতী নদীর চরে আলু চাষে এবার সবুজের সমাহার আর বিপ্লব ঘটেছে। মাঠ ও গোমতীর চর জুড়ে শুধু সবুজের হাতছানি দেখা যাচ্ছে। এই হাতছানি দেখে কৃষকরা খুশী ও আনন্দে আত্মহারা ।

উপজেলার পীরযাত্রাপুর ইউনিয়নের গোমতী নদীর চর এলাকা গোবিন্দপুর, শ্রীপুর, বাহেরচর, মিথিলাপুর, নানুয়ারবাজার, ও ভারেল্লা ইউপির এদবারপুর, কুসুমপুর, কাঠালীয়া, রামচন্দ্রপুর, কংশনগর, হাসনাবাদ সহ বিভিন্ন গ্রামের কৃষকদের সাথে আলাপ করে জানা গেছে এই বছর শীত মৌসুমে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় আলুতে বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে। এবদারপুরের কৃষক ইসমাইল হোসেন, আব্দুল আজিজ, গোবিন্দপুর গ্রামের মোবারক হোসেন জানান গত বছর আলু চাষে তাদের আর্থিক লোকসান হয়েছে। আলুর দামও কম হওয়ায় এধরনের লোকসান হয়েছে। এ বছর আলুর দাম সেই অনুযায়ী ভাল পাওয়া গেলে লাভবান হওয়ায় সম্ভাবনা রয়েছে বলে আশাবাদী কৃষকরা।

শ্রীপুর গ্রামের কৃষক রুহুল আমীন জানিয়েছে গোমতী নদীর চরে তার এক কানি জমিতে তিনি আলু চাষ করেছেন। এতে তার জমির আলু গাছে ঔষুধ প্রয়োগ, সেচ, সার, মজুরীসহ প্রায় ১৫ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। ক্ষেতের অবস্থা দেখে তিনি খুশী তাই তিনি লাভবান হওয়ার সম্ভাবনা দেখছেন বেশি।

বুড়িচং উপজেলা কৃষিবিদ কৃষি কর্মকর্তা মোঃ শামিম হোসেন বলে এ বছর আলু চাষের লক্ষ্য মাত্রা নিধারণ ছিল সাড়ে ৯ শত ৫০ হেক্টর জমি। লক্ষ্যমাত্রা শতভাগ অর্জিত হয়েছে। এবার যেহেতু আবহাওয়া অনুকূলে,রোগবালাইও নেই তাই ফলণ খুবই ভালো, বাম্পার বলা যায়। শৈত প্রভাহ, ঘন কুয়াশার কারনে আলুর মরক রোগ হয়। এ বছর কৃষকরা বরাবরের মত কৃষি মাট কর্মীদের এবং সরাসরি অফিসে আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখে। আমাদের পরামর্শ মেনে কৃষকরা নিয়মিত আলুর জমিতে রোগ বালাই নাশক স্প্রে বা ঔষধ সেচ কাজ, করে। যার ফলে বিভিন্নধরনের রোগ বালাই বা কোন ধরনের রোগ আক্রমন করে নি। যার ফলে এ বাম্পার ফলনে সম্ভব হয়েছে। তিনি আরো বলেন, এরই মাঝে উপজেলার গোমতি নদীর চর এলাকার কিছু কিছু স্থানে আলু তোলা শুরু হয়েছে।

আরো পড়ুন