কুমিল্লায় আ.লীগের ২ পক্ষের দ্বন্দ্ব, হ্যান্ডমাইকে একে অপরকে হুমকি

কুমিল্লা শহরতলীর ধর্মপুরে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের বিরোধের জের ধরে একপক্ষের লোকজনকে অন্যপক্ষকে হ্যান্ডমাইক দিয়ে গালমন্দ ও হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।

বৃহস্পতিবার (২৫ আগস্ট) কুমিল্লা শহরতলীর ধর্মপুরে ঘটেছে এমন ঘটনা।

এদিকে বিরোধের ঘটনার পাঁচ দিন হয়ে গেলেও কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি। অভিযোগ দেওয়ার চারদিনেও মামলা নেয়নি পুলিশ। এমনকি ঘটনার বিষয়ে কোনো খোঁজ নেওয়া হয়নি পুলিশের পক্ষ থেকে। তবে র‌্যাবের পক্ষ থেকে অভিযোগকারীদের খোঁজখবর নেওয়া হয়েছে। এছাড়া মামলা হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানিয়েছে র‌্যাব।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আদর্শ সদর উপজেলার দক্ষিণ দুর্গাপুর ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য আবদুল হান্নান সোহেল ও ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য ফখরুল ইসলাম রুবেলের গ্রুপের মধ্যে নির্মাণ সামগ্রীর ব্যবসা নিয়ে দ্বন্দ্ব চলছিল। তারা আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত।

আবদুল হান্নানের চাচা শহিদুল ইসলাম বলেন, থানায় লিখিত অভিযোগ জমা দেওয়ার চারদিন হয়ে গেলেও মামলা পুলিশ নেয়নি। বৃহস্পতিবার প্রতিপক্ষের লোকজন হ্যান্ডমাইকে আমাদের গালাগাল ও হুমকি দিয়েছেন। ঘটনার পাঁচদিনেও পুলিশ আমাদের সঙ্গে কথা বলেনি। তবে র‌্যাব নানা বিষয়ে খোঁজখবর নিয়েছে। তারা মামলার অপেক্ষায় রয়েছে বলেও জানিয়েছে।

কুমিল্লার সচেতন নাগরিক কমিটির সাবেক সভাপতি বদরুল হুদা জেনু বলেন, ধর্মপুরে টানা বিশৃঙ্খলা ও অস্ত্রের মহড়ার খবর পাচ্ছি বিভিন্ন গণমাধ্যমে। এ বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মামলা না নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। তারা নাগরিকের নিরাপত্তার জন্য হলেও ব্যবস্থা নিতে পারতেন। তাদের এই নিশ্চুপ থাকা বেমানান। কোনো প্রাণহানি হলে এর দায়ভার কে নেবে?

কোতোয়ালি মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আবু হানিফ সরকার বলেন, মামলার বিষয়টি নিয়ে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বলতে পারবেন। তবে আমরা এটা নিয়ে কাজ শুরু করেছি।

র‌্যাব কুমিল্লার কোম্পানি অধিনায়ক মেজর মো. সাকিব হোসেন বলেন, ধর্মপুরের বিষয়টি আমরা জেনেছি। তবে তদন্তের স্বার্থে এখনই কোনো মন্তব্য করতে চাই না।

উল্লেখ্য, আবদুল হান্নান সোহেল ও ফখরুল ইসলাম রুবেলের গ্রুপের মধ্যে গত রোববার (২১ আগস্ট) ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। পরে সোমবার (২২ আগস্ট) সেটির একটি সিসিটিভি ফুটেজ ভাইরাল হয়। ফুটেজে দেখা যায়, বন্দুক হাতে মহড়া দিচ্ছেন দুইজন। স্থানীয়রা তাদেরকে রুবেল ও চপল বলে উল্লেখ করেন। এছাড়া সিসিটিভির ক্যামেরা ভাঙতে দেখা যায় জনি নামে এক ব্যক্তিকে।

ওই দিন তারা সাত ঘণ্টা ধরে অস্ত্রের মহড়া দিয়েছিলেন। এছাড়া ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালামাল লুট করা হয়। ভাঙচুর করা হয়েছে ওই এলাকায় অবস্থিত ভিক্টোরিয়া কলেজের ডিগ্রি শাখায়। এরই জের ধরে সোমবার এবং মঙ্গলবার ওই এলাকায় অস্ত্রের মহড়া দেওয়া হয়। এছাড়া পুকুরের মাছ ও ঘরের ছাগল লুট করা হয়।

আরো পড়ুন