কুমিল্লায় পুলিশ কর্মকর্তার ক্রীড়া সামগ্রী পেয়ে উচ্ছ্বাসিত মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা

মো.জাকির হোসেনঃ কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলার শিমড়া হুব্বুন্নাবী হাফিজিয়া এতিমখানা-মাদ্রাসায় অর্ধশত শিক্ষার্থীও মাঝে ক্রীড়া সামগ্রী বিতরণ করেছেন কুমিল্লা জেলা পুলিশের পদোন্নতি প্রাপ্ত পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ্ আল-মামুন,যিনি অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) হিসেবে কর্মরত আছেন। ক্রীড়া সামগ্রী পেয়ে উচ্ছাসিত মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা।

শিমড়া হুব্বুন্নাবী হাফিজিয়া এতিমখানা ও মাদ্রাসার হাফেজ শিক্ষার্থী হৃদয় বলেন, আমার মা নেই। আমি এখান থেকে কোরানের হাফেজ হয়েছি। আমি যখন কোরান শিখতাম তখন থেকে স্যার আমাদের জন্য বিভিন্ন সময়ে খাবার নিয়ে হাজির হতেন, এখনো আসেন। আমাদের মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের অনেক ভালোবাসেন। আমাদের মাথায় হাত বুলিয়ে আদর করেন। আমাদের জন্য ফুটবল,ক্রিকেট বল-ব্যাট স্ট্যাম্প নিয়ে এসেছেন। স্যার অনেক ভালো মানুষ।

শিমড়া হুব্বুন্নাবী হাফিজিয়া এতিমখানা ও মাদ্রাসায় পরিচালক মো:আনিছ মোর্শেদ জানান, আমাদের মাদ্রাসাটি গ্রামের মানুষদের সাহায্য সহযোগিতায় চলে। তবে আব্দুল্লাহ আল মামুন স্যার বিভিন্নভাবে মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের সহযোগিতা করে থাকেন। শিক্ষার্থীদের জন্য উনার সাধ্য অনুযায়ী খাবার সরবরাহ,মাদ্রাসার অবকাঠামোগত উন্নয়নে তিনি নেপথ্য থেকে কাজ করে যাচ্ছেন।গত কয়েক দিন আগে সার্বক্ষনিক বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য সৌর বিদ্যুতের ব্যবস্থা করেছেন। মাদ্রাসায় কার্পেটের ব্যবস্থা করেছেন। উনার উৎসাহ অনুপ্রেরণায় আমরা সামনে এগিয়ে চলার সাহস পাই। পুলিশ সুপার মহোদয় শুধু ক্রীড়া সামগ্রী বিতরণ করেই উনার দায়িত্ব শেষ করেন না। উনি সব সময় মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের খোঁজ খবর রাখেন।

এ বিষয়ের অনুভূতি ব্যক্ত করে পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ্ আল-মামুন বলেন, মাদ্রাসাটিতে অর্ধশত ছোট শিক্ষার্থী রয়েছে। যাদের কারো বাবা নেই,কারো মা নেই, কারো আবার বাবা-মা কেউ নেই। নিষ্পাপ এই শিশুদের প্রতি বড় মায়া কাজ করে। তারচেয়ে বড় কথা এই শিশুদের সুন্দর ভবিষ্যত তৈরী করে দেয়া আমাদের সকলের দায়িত্ব-কর্তব্য। তারা যেন ধর্মান্ধ না হয়ে মানবিক গুনাবলি সম্পন্ন সচেতন মানুষ হয়ে সমাজে বেড়ে উঠতে পারে। সে জন্য তাদের লেখাপড়ার পাশাপাশি খেলার সামগ্রী সরবরাহ করেছি।

মাদ্রাসাটিতে একটি সোলার প্যানেলের জন্য আদর্শ সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এড.আমিনুল ইসলাম টুটুলকে অনুরোধ করেছিলাম। উনি সোলার প্যানেলের ব্যবস্থা করেছেন। এড.টুটুল ভাইয়ের প্রতি কৃতজ্ঞতা। আসলে আমি আমার দায়িত্বটা পালন করছি মাত্র এবং এই কাজে এক ঐশ্বরিক প্রশান্তি রয়েছে।

আরো পড়ুন