কুমিল্লায় বৃদ্ধ দম্পতিকে হ’ত্যায় মামলা, পুত্রবধূসহ গ্রেপ্তার ৩

কুমিল্লায় বাড়িতে ঢুকে পল্লি চিকিৎসক ও তার স্ত্রীকে হ’ত্যার ঘটনায় তাদের পুত্রবধূসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তারা হলেন পুত্রবধূ নাজমুন নাহার শিউলী, তার খালাত ভাই জহিরুল ইসলাম মজুমদার ও জহিরুলের বন্ধু মেহেদী হাসান।

জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এএসপি- প্রশাসন) আব্দুর রহীম মঙ্গলবার সকালে সংবাদ সম্মেলনে একথা জানিয়েছেন। এসপি বলেন, ঘটনার পর শিউলীকে আটক করে। পরে তার দেয়া তথ্য অনুযায়ী নগরীর চর্থা থেকে জহিরুল ইসলাম ও বরুড়া উপজেলা থেকে মেহেদীকে আটক করা হয়।

হ’ত্যাকাণ্ডের পরই নি’হত দম্পতির মেয়ে সৈয়দা বিলকিস আক্তার কোতোয়ালি মডেল থানায় শিউলীকে প্রধান আসামি করে মামলা করেন। অজ্ঞাতপরিচয় আরও দুই থেকে তিনজনকে আসামি করা হয়। এই মামলায় তিনজনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।

এএসপি রহীম আরও জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যার দায় স্বীকার করেছেন শিউলী। তিনি জানান, পারিবারিক কলহের জেরে পরিকল্পনা করেই হ’ত্যা করা হয় শ্বশুর পল্লি চিকিৎসক বিল্লাল হোসেন ও শাশুড়ি সফুরা বেগমকে।

শিউলীর বরাত দিয়ে এএসপি বলেন, পরিকল্পনা অনুযায়ী সোমবার রাতে শিউলীর শ্বশুরবাড়িতে যান জহিরুল ও মেহেদী। তখন বিল্লাল বাসায় ছিলেন না। তারা সফুরাকে হাত-পা বেঁধে বালিশচাপা দিয়ে হ’ত্যা করেন। শ্বশুর বাড়ি ফিরলে তাকেও এভাবে হ’ত্যা করা হয়।

আদর্শ সদর উপজেলার পাঁচথুবী ইউনিয়নের সুবর্ণপুর গ্রামে রোববার (৬ সেপ্টেম্বর) রাতে এ ঘটনা ঘটে। গভীর রাতেই ম’রদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

পরদিন গণমাধ্যমকর্মীরা ঘটনাস্থলে গেলে নি’হতের মেয়ে বিলকিস অভিযোগ করেন, তার বড় ভাইয়ের স্ত্রী শিউলীর বিয়েবহির্ভূত সম্পর্কের জেরেই এই হ’ত্যাকাণ্ড।

তিনি আরও জানান, ওই বাড়িতে বিল্লাল ও তার স্ত্রীর সঙ্গে থাকতেন দম্পতির বড় ছেলের স্ত্রী শিউলী আক্তার। তাদের দুই ছেলেই দেশের বাইরে থাকেন। আর দুই মেয়ে থাকেন অন্য এলাকায় নিজ নিজ শ্বশুরবাড়িতে।

তার অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে শিউলীকে সে সময় আটক করে পুলিশ।

আরো পড়ুন