কুমিল্লায় ভাশুর পুত্রের সাথে প্রবাসীর স্ত্রী উধাও!

ডেস্ক রিপোর্টঃ কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের শুভপুর ইউনিয়নের ধলুয়া গ্রামের পল্লী চিকিৎসক মো. আব্দুল হকের মেয়ে আফরোজা বেগম পরকীয়া প্রেমের টানে ভাশুর পুত্র শাকিলের হাত ধরে ওমান পাড়ি দিয়েছে। সে পাশ্ববর্তী নাঙ্গলকোট উপজেলার পেরিয়া ইউনিয়নের কৈয়া গ্রামের মাওলানা এনামুল হকের পুত্রবধূ। তার স্বামীর নাম মাওলানা মাঈন উদ্দীন।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ২ সন্তানের জননী আফরোজা গত বৃহস্পতিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) তার স্বামীর বড় ভাই আবুল বাশারের পুত্র ওমান প্রবাসী তাজুল ইসলাম শাকিলের সাথে ওমানে পাড়ি দিয়েছে। পরকীয়া প্রেমিক শাকিলও ৩ সন্তানের জনক বলে জানা গেছে।

জানা যায়, মাঈন উদ্দীনের প্রবাসে থাকার সুযোগে তার ভাতিজা একই বাড়ীর আবুল বাশারের পুত্র ওমান প্রবাসী তাজুল ইসলাম শাকিলের সাথে পরকিয়া প্রেমের গভীর সম্পর্ক গড়ে উঠে আফরোজার। চলতি বছরে শাকিল তার পরিবারের লোকদের না জানিয়ে কুমিল্লায় এসে বাসা ভাড়া করে ১ মাস তার চাচী আফরোজার সাথে অবৈধভাবে বসবাস করে আসছিল। ওই এক মাস আফরোজা তার স্বামী ও শ্বশুর পরিবারেরর লোকদেরকে জানায়, অসুস্থতার কারনে সে তার বাবার বাড়ী চৌদ্দগ্রামের ধলুয়াতে আছে। কুমিল্লায় চাচী-ভাতিজা থাকাকালীন আফরোজার পাসপোর্ট বানিয়ে ফটোকপি নিয়ে ওমান চলে যায় শাকিল। ভুয়া কাবিন তৈরি করে পাসপোর্টে শাকিলের নাম অন্তর্ভুক্তও করে সে। পরে ভিসা প্রসেসিং করে গত ২৭ সেপ্টেম্বর (বৃহস্পতিবার) তার চাচীকে ওমান নিয়ে যায় শাকিল। আফরোজার ছেলে ৬ষ্ট শ্রেণীতে ও মেয়ে ৪র্থ শ্রেণীতে পড়ে। শাকিলের বড় ছেলে দাখিল পরীক্ষার্থী, মেয়ে সপ্তম শ্রেণীতে ও অপর ছেলে প্রথম শ্রেণীতে পড়ে বলে জানা গেছে।

এ ঘটনায় বাহরাইন প্রবাসী মাওলানা মাঈন উদ্দীনের পিতা মাওলানা এনামুল হক বাদী হয়ে শাকিল ও আফরোজার বিরুদ্ধে গত শুক্রবার (২৮ সেপ্টেম্বর) নাঙ্গলকোট থানায় একটি অভিযোগ দাখিল করেছে। এদিকে চাচী-ভাতিজার ঘৃণিত এই প্রেমকাহিনী ছড়িয়ে পড়ায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

আরো পড়ুন