কুমিল্লায় ভোটার বেড়েছে ৩ লাখ ৫৯ হাজার

সারা দেশের মতো কুমিল্লায়ও চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশিত হয়েছে। গত ১ মার্চ বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন এই ভোটার তালিকা প্রকাশ করে। প্রকাশিত তালিকায় ভোটার বেড়েছে ৩ লাখ ৫৯ হাজার ৬৮২ জন।

তালিকা হিসেবে বর্তমানে এ জেলার মোট ভোটার সংখ্যা দাঁড়ালো ৪২ লাখ ৩১ হাজার ৪১৪ জন। এর আগে ২০১৮ সালে এ জেলার ভোটার সংখ্যা ছিল ৩৮ লাখ ৭১ হাজার ৭৩০ জন।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, জেলায় পুরুষ ভোটার ২ লাখ ৩ হাজার ৫২৯ জন এবং নারী ভোটার ১ লাখ ৫৬ হাজার ১৫৩ জন। পুরুষের চাইতে নারী ভোটারের সংখ্যা কমেছে ৪৭ হাজার ৩৭৬ জন।

কুমিল্লা জেলায় সবচেয়ে বেশি ভোটার বেড়েছে মুরাদনগর উপজেলায়। এখানে ভোটার সংখ্যা বেড়েছে ৩৬ হাজার ৭৯১ জন। আর ভোটার সংখ্যা কমেছে মেঘনা উপজেলায়। এখানকার ভোটার সংখ্যা ৮ হাজার ২৫৫ জন।

২০১৯ সালে ২৩ এপ্রিল থেকে তথ্য সংগ্রহের কাজ শুরু হয়ে ১৪ অক্টোবর শেষ হয়। একই বছরের ১৫ মে থেকে নিবন্ধন কাজ শুরু হয়ে ২০ অক্টোবর শেষ হয়।

গত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জেলায় ভোটার সংখ্যা ছিল ৩৮ লাখ ৭৯ হাজার ৭৯১ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১৯ লাখ ৫৪ হাজার ৫৮৩ জন এবং নারী ভোটার ১৯ লাখ ২৫ হাজার ২০৮ জন। ভোটার তালিকা হালনাগাদ কর্মসূচির আওতায় ভোটারের নতুন অন্তভুক্তি ছাড়াও মৃত ভোটারের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৭০ হাজার ২২৩ জন। ভোটার স্থানান্তর হয়েছে ৭ হাজার ৬৩১ জন।

সূত্র আরও জানায়, জেলার উপজেলা ভিত্তিক চুড়ান্ত ভোটার তালিকায় ভোটারের সংখ্যা হচ্ছে, আদর্শ সদরে মোট ভোটার ৩ লাখ ৮৩ হাজার ৭৬০ জন। কুমিল্লা সদর দক্ষিণে মোট ভোটার ১ লাখ ৮৯ হাজার ৫০৪ জন। চৌদ্দগ্রামে মোট ভোটার ৩ লাখ ৬০ হাজার ৪৫৪ জন। লাকসামে মোট ভোটার ২ লাখ ৫ হাজার ৬৯৬ জন। বরুড়ায় মোট ভোটার ৩ লাখ ২০ হাজার ৫৪ জন। নাঙ্গলকোটে মোট ভোটার ৩ লাখ ৭২৯ জন। মনোহরগঞ্জে মোট ভোটার ১ লাখ ৯০ হাজার ২৬১ জন। মেঘনায় মোট ভোটার ৯৬ হাজার ৬৬৪ জন। দাউদকান্দিতে মোট ভোটার ২ লাখ ৮২ হাজার ৮৮৫ জন। তিতাসে মোট ভোটার ১লাখ ৪৮ হাজার ২৬৫ জন। হোমনায় মোট ভোটার ১ লাখ ৬২ হাজার ৭৮৬ জন। মুরাদনগরে মোট ভোটার ৪ লাখ ২০ হাজার ৭৫৭ জন। দেবিদ্বারে মোট ভোটার ৩ লাখ ৪৩ হাজার ৯৫৯ জন। চান্দিনায় মোট ভোটার ২ লাখ ৮০ হাজার ৯২০ জন। ব্রাহ্মণপাড়ায় মোট ভোটার ১ লাখ ৬৪ হাজার ৪৯৯ জন। বুড়িচংয়ে মোট ভোটার ২ লাখ ৩৩ হাজার ৬৯৩ জন। লালমাইয়ে মোট ভোটার ১ লাখ ৪৬ হাজার ৫২৮ জন।

কুমিল্লার সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ইতোমধ্যে খসড়া ভোটার তালিকা ইউনিয়ন পরিষদ, উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়, জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়সহ সংশ্লিষ্ট সব স্থানে প্রদর্শনের জন্য রাখা হয়েছিল। খসড়া তালিকায় ভুল থাকলে বা কেউ যুক্ত হতে চাইলে বা কোন সংশোধন করার আবেদন ৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত গ্রহণ করা হয়েছে। আবেদন গত ১২ ফেব্রুয়ারি নিষ্পত্তি করা হয়। এরপর নির্দিষ্ট প্রক্রিয়া শেষে ১ মার্চ চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে।

আরো পড়ুন